রবিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২০

পিয়ালী বসু ঘোষ

                          


বাঁধ_ভেঙে_যায় 

-------------------------

নদীর সাথে তখন চূড়ান্ত সঙ্গম তার 
তবু,ছেলেখেলাগুলো ফুরিয়ে গেছে আচমকা 
সূর্যকে সাথে নিয়েই আস্ত একটা জীবনও 
জলের তোড়ে পেটে গেছে ডাইনির 

বন্যার জল নেমে গিয়ে 
বাঁধ মেরামতি করছে অসফল আত্মহত্যাকারী 
ডাকিনি হাওয়া এসে হাতছানি দিচ্ছে 
আবারও নদীর বুকে যাবার নেশায় 
টুকরো হয়ে যাচ্ছে নিজের ভিতরের মানুষটা 

নীরবতা ভেঙে যাচ্ছে কাছিমের পায়ে পায়ে 
নিঃশব্দে সময় নিয়ে খেলছে ঘড়ি 
ভিতরে বোবা হয়ে আছেন ঈশ্বর 
নিজের হাতে  বাঁধ মেরামত করছে ধ্বংসকামী লোকটা 
যদিও জানে, 
আগামী বর্ষায় আবার নদী  গিলে নেবে সবটা  |






#বৃষ্টি_মুখর_পদ্য 

________________

সারাদিন বনে জঙ্গলে উড়ে বেড়ায় ধুলো।অন্ধ ফকির হারিয়ে যাওয়া গোধূলী খোঁজে কিম্বা বুনো ফুল ।কুয়াশায় মেতে ওঠে প্রকৃতি কথার নিঃশব্দ প্রেক্ষিত ।এসব কিছুতেই আমার অধিকার নেই তবু নিয়ামক মেটান জিভের স্বাদ ।আমি কাঁচা হাতে বুনি লাল রঙের কার্পেট ।ছড়িয়ে যায় উলের লাছি ।নির্মোহ মায়া বাদামি ঠোঁটের খাঁচা খুলে উড়ে গিয়ে বসে অন্যমনস্কতার আত্মপরিচয়ে ।খেয়াল হয় আচমকাই কোলঘেঁষে বেড়ালছানাটা নেমে গেছে কখন !কলঘরে জল পড়ে যাচ্ছে বৃষ্টিমুখর পদ্য ।

দুপুর গড়ায় ।চেনা সময় শব্দে ধরা দেয়না ।গরম মশলার গন্ধে বহু তাপ্পি দেওয়া শোক উঁকিঝুঁকি দেয়।মুখোশ চিনে ফেলার অসুখ হলে হাতানিয়া দোয়ানিয়ায় ভেসে যায় সধবা সুখ।স্বপ্নে আসে এসব।ঘুমের ভিতরে খুলে রাখি চোখ ।বিছানায় নেমে আসে জিরানো ছায়া,শিমুল তুলো আর সেতুবিচ্ছেদের শব্দ ।

আসি আসি করে নিঃস্ব ডাক আসে।দেখি সে ফিরে এসেছে বর্ষাবলয় অতিক্রম করে আরক্ত বিকেলে ।আমি চিনতে পারছিনা তাকে।বড্ড মেদহীন সে।জীর্ণ পাতার জালকের মতো তার শরীরেও অসংখ্য নদীপথ ।"এতো নদী তুমি বয়ে বেড়াচ্ছ কি করে" ভাপের মত উড়ে যায় ছদ্ম আলো ।ততক্ষণে সন্ধ্যা নামে।নিষ্পলক অন্ধকারে ভিজে যায় ঈশ্বরের বিচার ,ঝাপসা হয় ওপারের সেতু।

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন