সোমবারের#অনুগল্প
একা ও একা—
সুর্য ওঠে রোজ একা, ভরপেট খেয়ে পরে থাকা অজগরের মতো দমবন্ধ করা দিনটাকে কাটায় অবহেলায়, অধৈর্যের সাথে, আবার সন্ধ্যার পর একা একাই শুতে যায়। ওর ঘরের দরজার বাইরে, ও জানে, একটা অনেকদিন অব্যবহৃত মরচে ধরা তালা লাগানো আছে। বাইরে যাওয়ার সিঁড়ি সেদিকেই। অন্যদিকে দুখানা জানালা, আরো একটা দরজা সেটা খোলাই থাকে দিবারাত্র। দরজার বাইরে একটা ছোট্ট বারান্দায় ওর সাধের ইজিচেয়ারটা পাতা। দিনের বেলা যায় না। বাইরের দরজা দিনে রাতে দুবার খোলে। চাঁদনী আসে ওর খাবার নিয়ে। সকাল বিকেলের চা সুর্য নিজেই বানিয়ে নেয়। হরেক রকমের বিস্কিট, মুড়ি, চিঁড়ে ওর ঘরের সাথে লাগানো ছোট্ট কিচেনেই থাকে।
সন্ধ্যের পর যখন আলোর রেখা মুছে যায় আকাশ থেকে, একটা দুটো করে তারারা দেখা দেয় আকাশের কালো আঁচলের আড়াল থেকে, তখন বাইরে আসে ও। বড় মগে কফি করে আনে, কালো, চিনি ছাড়া। চোখ থেকে কালো কাঁচের চশমাটা খুলে তারা গোনে, বেড়ায় ছায়াপথ ধরে, উল্কার পিঠে চড়ে কথা বলে আসে কালপুরুষের সাথে। সপ্তর্ষী মণ্ডলের ঋষিদের জানায় সশ্রদ্ধ প্রণাম। ছায়াপথের অপর পারে থাকা মহাকাশে পাঠায় চিঠি, লম্বা লেজওয়ালা কোন ধূমকেতুর সাথে। ফিরে আসতেই হয়, আসার আগে ক্ষয়াটে দুর্বল চাঁদের গায়ে বুলিয়ে আসে স্নেহাস্পর্শ।
যখন সৃষ্ঠির কাজে লিপ্ত থাকে সুর্য। ছোটছোট টানে নানা রঙের কাগজে ফুটে ওঠে মনভরানো ছবি। সাদা পাতায় কলমের দ্রুত দৃপ্ত পদক্ষেপে চোখ মেলে গল্প, উপন্যাস, কবিতারা। আঁধারে, আবডালে থাকা ভালোলাগার ক্ষণ, রাগ অনুরাগের মুহূর্তগুলো খিলখিলিয়ে ওঠে সুর্যর আঙুলের স্পর্শে। তারপর ধূসর কাগজের খামে ঢুকে এগিয়ে যায় অসংখ্য অনুরাগীর মন জয় করার উদ্দেশ্যে। সেই সব রাতে, আলো আঁধারি ঘরে চাঁদনী আসে। এমনিই আসে। ক্ষয়ে ক্ষয়ে চতুর্থীর চাঁদ হয়েও আসে। দূর থেকে মেখে নেয় সুর্যরশ্মি। জ্বলে ওঠে অকাল পূর্ণিমার আলোয়।
ব্যস ওইটুকুই। এর বেশি সুর্যের কাছে যাওয়ার উপায় নেই ওর। এই স্বেচ্ছা নির্বাসনে যখন পা বাড়িয়েছিল সুর্য, তাকে হাত ধরে যে এগিয়ে দিয়েছিল চাঁদনীই। একটা আকাশে সুর্য একাই থাকে, চাঁদনীও। সুখ, সৃষ্ঠি খুঁজতে গিয়ে আজ দুজনেই একা, বন্দী যার যার নির্জন দ্বীপে।
একা ও একা—
সুর্য ওঠে রোজ একা, ভরপেট খেয়ে পরে থাকা অজগরের মতো দমবন্ধ করা দিনটাকে কাটায় অবহেলায়, অধৈর্যের সাথে, আবার সন্ধ্যার পর একা একাই শুতে যায়। ওর ঘরের দরজার বাইরে, ও জানে, একটা অনেকদিন অব্যবহৃত মরচে ধরা তালা লাগানো আছে। বাইরে যাওয়ার সিঁড়ি সেদিকেই। অন্যদিকে দুখানা জানালা, আরো একটা দরজা সেটা খোলাই থাকে দিবারাত্র। দরজার বাইরে একটা ছোট্ট বারান্দায় ওর সাধের ইজিচেয়ারটা পাতা। দিনের বেলা যায় না। বাইরের দরজা দিনে রাতে দুবার খোলে। চাঁদনী আসে ওর খাবার নিয়ে। সকাল বিকেলের চা সুর্য নিজেই বানিয়ে নেয়। হরেক রকমের বিস্কিট, মুড়ি, চিঁড়ে ওর ঘরের সাথে লাগানো ছোট্ট কিচেনেই থাকে।
সন্ধ্যের পর যখন আলোর রেখা মুছে যায় আকাশ থেকে, একটা দুটো করে তারারা দেখা দেয় আকাশের কালো আঁচলের আড়াল থেকে, তখন বাইরে আসে ও। বড় মগে কফি করে আনে, কালো, চিনি ছাড়া। চোখ থেকে কালো কাঁচের চশমাটা খুলে তারা গোনে, বেড়ায় ছায়াপথ ধরে, উল্কার পিঠে চড়ে কথা বলে আসে কালপুরুষের সাথে। সপ্তর্ষী মণ্ডলের ঋষিদের জানায় সশ্রদ্ধ প্রণাম। ছায়াপথের অপর পারে থাকা মহাকাশে পাঠায় চিঠি, লম্বা লেজওয়ালা কোন ধূমকেতুর সাথে। ফিরে আসতেই হয়, আসার আগে ক্ষয়াটে দুর্বল চাঁদের গায়ে বুলিয়ে আসে স্নেহাস্পর্শ।
যখন সৃষ্ঠির কাজে লিপ্ত থাকে সুর্য। ছোটছোট টানে নানা রঙের কাগজে ফুটে ওঠে মনভরানো ছবি। সাদা পাতায় কলমের দ্রুত দৃপ্ত পদক্ষেপে চোখ মেলে গল্প, উপন্যাস, কবিতারা। আঁধারে, আবডালে থাকা ভালোলাগার ক্ষণ, রাগ অনুরাগের মুহূর্তগুলো খিলখিলিয়ে ওঠে সুর্যর আঙুলের স্পর্শে। তারপর ধূসর কাগজের খামে ঢুকে এগিয়ে যায় অসংখ্য অনুরাগীর মন জয় করার উদ্দেশ্যে। সেই সব রাতে, আলো আঁধারি ঘরে চাঁদনী আসে। এমনিই আসে। ক্ষয়ে ক্ষয়ে চতুর্থীর চাঁদ হয়েও আসে। দূর থেকে মেখে নেয় সুর্যরশ্মি। জ্বলে ওঠে অকাল পূর্ণিমার আলোয়।
ব্যস ওইটুকুই। এর বেশি সুর্যের কাছে যাওয়ার উপায় নেই ওর। এই স্বেচ্ছা নির্বাসনে যখন পা বাড়িয়েছিল সুর্য, তাকে হাত ধরে যে এগিয়ে দিয়েছিল চাঁদনীই। একটা আকাশে সুর্য একাই থাকে, চাঁদনীও। সুখ, সৃষ্ঠি খুঁজতে গিয়ে আজ দুজনেই একা, বন্দী যার যার নির্জন দ্বীপে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন