সোমবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৮

দীপঙ্কর বেরা



বয়েই গেছে 

তুমি আমাকে স্থান দাও না 
তাই তোমার বাড়িতে বসতে আমার বয়েই গেছে
মাঝে মাঝে আসব দেখা করব
তার বেশি জানাতে জানতে আমার বয়েই গেছে
তুমি ভাবো কে রে কি সব বলে 
সব বুঝি তাই তোমাকে বোঝাতে আমার বয়েই গেছে
মনোভাব অত সস্তা না, বিলোবো
সাধনা বিফল না তাই তোমাকে আমার বয়েই গেছে
স্থান দিয়ে তারপর অবহেলা
এমন ভাবের বিনিময়ে কাছে থাকতে বয়েই গেছে 

ভাল থেকো বলা হয় তাই বলি
তা না হলে জীবনের কথা বলতে আমার বয়েই গেছে। 
আমিও ভাল আছি আমার মত
তোমাকে সে ভাল লাগা বোঝাতে আমার বয়েই গেছে। 



ভাবনার প্রস্থে ও দীঘে 

ভেবে নেওয়া 
অনেকের গুছানো গান
সূত্রের বিভব বিন্যাসে
যতই ফুলবাহারী বিকল্প এনে দাও
সে ভাবনায় সে আরও বেশি সহজাত

ভুল জলে পা দিয়ে
ঢেউ নাড়িয়ে দেওয়া প্রবণতায়
অনেকেই বেশ প্রাঞ্জল

মাটির লাউডগা
মাচা বরাবর উর্বর পাতা মেলে
হাঁ-মুখে তার রৌদ্রের বাস
ধার দিতে দিতে ফুরিয়ে আসে
অনেককালের নিদান কথা

না ভাবনায় সে বড় হয়
আরও ভাবিয়ে ভাবায়।




প্রবেশাধিকার 

দাঁত বের করাই স্বভাব
সেই ভাবেই অধিকারের আঁচড় কাটে
বেরিয়ে আসে গুহা জীবনের আলো

সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে
প্রেমিক জীবন
ভালোবাসা রক্ষার বিষয়ী অনুভবে
শরৎ ছন্দ কাশবনে দোলে,
পাশ দিয়ে বেমক্কা হাওয়া
পাথর ঘষে বেরিয়ে যায়।

নায়ক নদীর নৌকো স্রোতে
এক টুকরো খড়কুটো
আমি ধরে অনেকেই বেঁচে যায়।

লক্ষিত জীবন
আজও বন্ধন জড়িয়ে
বেঁচে থাকে, বাঁচিয়ে রাখে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন