সোমবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৮

পিয়াংকী মুখার্জী






রোদ-চশমা
**********

*************** 

সমাজে এখন আগুন আর জলের সহাবস্থান 
তরলকণা প্রকৃতিতে পুড়ে পাথর করে দিয়েছে জন্মশোক 

 শিল্পী  আজকাল আর ছৌ নাচের মুখোশ পরেন না , শুধু পৃথিবী থেকে নিজেকে আড়াল করতে চোখে ঠেসে নেন রোদ-চশমা । 

বাষ্পের ধোঁয়াশায় ঘনীভূত হয় ঝাপসা আলো 
উন্মুখ মুখগুলো অনাবৃত অহংকারে ধুইয়ে দেয় পতাকার রং 

আমি পেশাদার খবর গ্রাহক , 
বাধ্যতামূলক শরীরে চাপিয়ে নিই বর্ম 

ওদের ঘর্মসিক্ত লবণজল আমার দেহ চুঁইয়ে অংকুরিত করে ভেজা মাটি 

সাময়িক সুখের পরিপূরক হয়তোবা ওই রোদ-চশমাই !

দ্বিতীয় কবিতা 
""""''''''""""""""""""

অপরিবর্তনীয় 
************

***************

আকাশকে ছুঁয়ে  পা মেপে মেপে মুক্তির পথে এগোয় ঔদাসীন্য । 
মেঘের নীল ঠোঁট বিনাকারণেই বিষাক্ত করে তোলে পাহাড়ের দেহ , 
জলীয়বাষ্প পর্বতারোহণের  সময় হাহাকার শুরু করে তৃষ্ণার্ত পথিকের মতো , 
ওর শরীর জুড়ে কামুক বাতাসের অবগাহন । 

নিম্নে নদী চাতকের মতো অপেক্ষার পোশাক  বুনেই চলে , 
যত শক্ত হতে থাকে বুনোট উল্টোপক্ষে ততই আলগা হয় মায়াজাল । 

ভূগোল বদলায় , 
গণিতের নতুন নতুন নিয়ম তৈরি হয়,  
বিজ্ঞান প্রতিনিয়ত আবিষ্কার করেই চলে প্রযুক্তি , 
সাহিত্য জগতেও জন্ম নেন আগামীর যোগ্য উত্তরসূরি 

কিন্তু সূর্য চন্দ্র সাক্ষী রেখে  ...
ইতিহাস অপরিবর্তিতই  থেকে যায় কালের নিয়মে ॥


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন