সোমবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৮

শুভশ্রী সাহা




নির্জনতার কাছে---

বহুদিন পর অনিরুদ্ধ এলো এই জায়গাটায়। সিমলিপালের পাহাড় এখান থেকে কিছুটা দুরেই।  কোর জঙ্গল, ভেতরে পোচার্ডের ভয়ে ওড়িশা গভার্মেন্ট রেস্ট্রিক্টেড করে দিয়েছে জঙ্গলে ঢোকার রাস্তা।   বেশ কিছু প্ল্যান্টেশন এর কাজ চলছে বারিপদায়। অনিরুদ্ধ সেই সব কাজ নিয়েই এসেছে হরিপুরে। এই স্বেচ্ছানির্বাসন এই নির্জনতা অনির একার ই।  মুম্বাই বায়োটেক্সের লোভনীয় চাকরি ছেড়ে সে আজ এখানে। যার জন্যে এসেছিল সেই লহরী আজ আসছে দেখা করতে। অনিরুদ্ধ জীপ থেকে নেমে এক বিশাল পাথরের পৈঠার উপর বসল। তার পায়ের নিচে ছিপছিপে সালান্ডী নদী শাড়ির আচঁলের মত ছড়ানো। সে দিকে তাকিয়ে মনে পড়ে গেল লহরীর কথা। লহরী বিবাহিত জেনেই জড়িয়ে গেছিল অনি তার সাথে। লহরী পাগলের মত ভালবাসত তাকে। তার বদ্ধ ঘরে একমাত্র অক্সিজেন ছিল অনি। শান্তুনুদা তার মাসতুতো দাদা, লহরী বউদি।  লহরী নি:সন্তান শুধু একটি দিন দাবী করেছিল অনির কাছে সন্তানের জন্যে। পারেনি দিতে, চোরের মত সে এখানে চলে আসে, কেন জানেনা, সেকি তবে কাপুরুষ!!  লহরী তাকে চায় যে ভাবে, সে কেন চাইতে পারেনা লহরীকে এ ভাবে!!!! কিন্তু ভালোবাসে সেও তো ------
আজ ও লহরী হয়ত এই নির্জনে মিলিত হতে চাইবে! কি করবে সে! এই জঙ্গল, নিঝুম প্রান্তরাজি, এই অসীম নির্জনতা ছাড়া সে যে কারুর কাছেই নগ্ন হতে পারেনা ! যদি তার পৌরষত্ব জাগ্রত না হয়! কি বলবে সে লহরীকে! তার থেকে ও ফিরে যাক বরাবরের মত আশা নিয়েই নতুন করে, আর নির্জনতাকে নিয়ে থাক অনিরুদ্ধ , তার মত--- জিপে ফিরে গেল সে এবারও--( 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন