রবিবার, ২০ জুন, ২০২১

নিলয় নন্দী


 


যদিও ঋতুর নাম বর্ষা ছিল না 


এই তো সেদিন। তখন রাত। ধানসিঁড়ি নদীর কিনারে শুয়েছিলেন তিনি। নীলাভ চাঁদের জ্যোৎস্নায় অদূরে ঘাইহরিণী ডেকে উঠলে আমাকে বলে ওঠেন "শুনেছো?" আমি না শোনার ভান করে দূরে সরে যাই, প্রেম অপ্রেম থেকে দূরে... 

যদিও ঋতুর নাম বর্ষা ছিল না, তবুও বৃষ্টি এলো। চাঁদ ভিজে গেলো চুপচুপে। জল চুঁইয়ে পড়ছে মাধবীলতায়। মাধবীলতা কেবল শরীর! শ্রাবণের চিত্রকল্প! প্রেমিকের আনাগোনা। ফ্যাকাশে দিনের আয়ু উড়ে যায় বৃষ্টির স্কেচে। লেডিবার্ড মিশে যায় বিপন্ন স্নানে। তারপর গুঁড়ো কাচ, প্রতিবিম্ব নদী। লতা বা মাধবী, নৌকা নয় নারী, বা অপর্যাপ্ত শীৎকার...

হরিণী সবুজ ঘাসে হেঁটে যায় বুড়িচাঁদ বৃষ্টিদানা। অতর্কিত ট্রাম এসে গেলে রক্তে ভেসে যায় নাগরিক মেকওভার। পুরনো চৌকাঠ, কড়িবরগা, বৃষ্টি নামলে ছোপ ছোপ শ্যাওলা আর মুখবন্ধ খাম। "পড়বে না কী লিখে গেলাম হলুদ বিকেলে?"... ধূসরতা সম্বল। অভিমান আঁধারিয়া ক্যালিগ্রাফি। রঙিন ছাতার নীচে লেখা থাকে নাবালক চুম্বনকাব্য। গন্ধস্বাদ উবে গেলে বৃষ্টির কবিতা পড়তে হয় রাতভোর। এ বৃষ্টি ক্লান্তিহীন। জলের ভিতরে জল। কার চোখে রেখে গেলে ম্লান বেতফল? তুমিও না শোনার ভান করে দূরে সরে যাও...

এখন ধানসিঁড়ি মানে সাইরেন অবুঝ বর্ষাদিন
থরহরি হরি তোর... থরহরি হরি তোর...

এভাবে শেষ হওয়ার কথা ছিল না।

৯টি মন্তব্য: