"বনমালী তুমি পরজনমে হইয়ো রাধা"
৫/
এখানে অনেক খোয়াব। হাতছানি দিয়ে যাওয়া সকলি পরিত্রাণ নয় লতিফা। এই যে রাস্তা শুরু হলো চলার, এ তো হঠাৎই! না ফুরোনো কথারা চলবে অনর্গল অথবা থেমে যাবে এক ঝটকায়। আমরা যত্নে থাকবো অথবা ভেঙে পড়বো– কিছুই পূর্বনির্ধারিত নয়।
ঘন ঘন মূর্ছা যায় যে মেয়েটি, তাকে এখনো জানানো হয়নি তৃতীয় বিশ্বের লাগাম। পড়ে পাওয়া চোদ্দোআনা এই আজাদীর গল্প। বলা হয়নি তিন তালাকেই রাতারাতি স্বামী কেমন কোলের ছেলে হয়ে উঠেছিল মেহেরুন্নিসার! আর শ্বশুর, স্বামী! সবখানেই মৃত্যু আমাদেরই লতিফা। গলা পর্যন্ত কাঁটা, নর্দমার পাক। সে এক অভাবিত জুয়াড়ি আমাদের ভিতর দান ফেলতে ফেলতে মেহমান হেঁকে যায়। দেদার নিঃস্ব হতে হতে শেষ পর্যন্ত আমাদের টুটি থেকে যায় তার হাতের মুঠোয়।
দরজা মনে পড়ে। মনে পড়ে উঠোন...চৌকি...বেড়ে দেওয়া ভাতের থালার সামনে সন্তানের উদাসীন মুখ। আমরা লড়ে যাই খতম। আমরা লড়ে যাই কেয়ামত তক। একটা ছেঁড়াফাটা দিনের পর আর একটা ছেঁড়াফাটা দিন। আর একটার পর আর একটা। আর একটার পর আর একটা। পরিভ্রমণ সংক্রামিত হতে থাকে এভাবেই। সংকেত ভেঙে গেলে তুমিও জানো, অন্ধত্ব গ্রাস করে অধিকারবোধ।
ভূ-ত্বকের নীচে জমতে থাকে ঝুরো ঝুরো বরফ...
ছবি - অন্তর্জাল
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন