রবিবার, ২২ আগস্ট, ২০২১

পিয়াংকী

                          





তন্দুরি চিকেন


তন্দুর কী? একটি সিলিন্ড্রিক্যাল ক্লে ওভেন।মুরগীর মাংসের পিস,বিশেষ কিছু মশলা মাখিয়ে রোস্ট করার পদ্ধতিই হল তন্দুরি চিকেন। 


খ্রীস্টপূর্ব ৩০০০অব্দে সিন্ধু সভ্যতার সময়কালে প্রথম তন্দুর উনুনের সন্ধান পাওয়া যায়, ধরে নেওয়া হয় অবিভক্ত ভারতের ব্রিটিশ আমলে পাঞ্জাবে প্রথম এই পদের আবিস্কার হয়েছিল। এরপর ধীরে ধীরে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে, তন্দুরি চিকেন জনপ্রিয় হয় পেশওয়ারে মতিমহল নামের একটি রেস্টুরেন্টের হাত ধরে, সেটা প্রায় ১৯৪৬-৪৭। বিদেশে ১৯৬৩ তে লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস  পত্রিকায়  প্রথম এই রেসিপি শেয়ার করা হয়



রান্নার পদ্ধতিঃ


প্রথমে চিকেন পিসগুলো চিরে নিতে হবে।এটাই প্রথম এবং প্রধান স্টেপ ভালো তন্দুরি রান্নার।চেরা পিসগুলোতে লেবুর রস গোলমরিচগুঁড়া অরেঞ্জ ফুডকালার আর পরিমাণ মতো নুন দিয়ে মেখে সরিয়ে রাখতে হবে, এবার সময় তন্দুরি মশলা তৈরির। একটা বড় পাত্রে নিতে হবে হাংকার্ড অর্থাৎ জল ঝরানো টকদই।অন্তত ঘন্টা দুয়েক যেন জল ঝরানো থাকে। ওই দইতে একে একে কাশ্মীরী লাল লংকাগুঁড়ো আদারসুন বাটা শুকনোলংকাবাটা গরমমশলা সর্ষের তেল এবং সামান্য মধু মিশিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে একটা স্মুদ মিক্সচার তৈরি করে তাতে আগে থেকে ম্যারিনেট করে রাখা চিকেন পিস দিয়ে আবার সেকেন্ড স্টেপ ম্যারিনেশন করে রেখে দিতে হবে অন্তত একটা গোটা রাত।এক্ষেত্রে বলি আপনারা মধুর বদলে দিতে পারেন চিনিও। আমি ডায়েট চার্ট অনুযায়ী করেছি বলে চিনি দিই নি।এক রাত এভাবে রাখার পরদিন ভোরে উঠে ফ্রিজ থেকে নামিয়ে, আবারো হাল্কা হাতে ভালো করে মেখে নিতে হবে। গ্যাসে বসাতে হবে একটা ননস্টিক প্যান। একটুকরো বাটার দিয়ে প্যানের বেসটা গ্রিজ করে নিয়ে সাজিয়ে  দিতে হবে পিসগুলো, এরপর বাকিটা সম্পূর্ণ নিজস্ব কায়দা । ওভেনের আঁচ কমিয়ে বাড়িয়ে চিকেন পিসগুলো ওলটপালট করে রোস্ট করার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে আসল কৌশল। কোনসময়ই গ্যাস বাড়িয়ে কাজটা করতে নেই, তাহলে মশলা পুড়ে যায়। রোস্ট করার পর একটুকরো কাঠকয়লা বাটার মাখিয়ে জ্বালিয়ে নিয়ে প্যানে বসিয়ে ঢাকনা চাপা দিয়ে রেখে দিতে হয় যতক্ষণ না কাঠকয়লার ধোঁয়া ধোঁয়া গন্ধটা মাংসের মধ্যে ঢুকে না যায়। এই স্টেপটা কমপ্লিট হয়ে গেলে একটা রুটিসেঁকা ছাঁকনি বা তারজালি সরাসরি আগুনের ওপর বসিয়ে গরম করে তার ওপর রোস্ট করা চিকেন পিস দিয়ে হালকা পোড়া পোড়া করলেই তৈরি তন্দুরি চিকেন। 


আমি সার্ভ করেছি লেটুস পাতার ওপর। সাথে আছে শশা লেবু ধনেপাতা আর ঘরে পাটা টকদই।

কার্বোহাইড্রেট বিহীন ভরপুর প্রোটিন যুক্ত এই রেসিপি ডায়েট চলাকালীন খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতেই পারেন



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন