দিনকয়েক হল কাঁধে এসে একখানি গুরুদায়িত্ব বর্তেছে। তরুণ কবি ও তাঁদের কবিতাকে সৃজনের রবিবারের সংখ্যার জন্য খুঁজে আনা। এখানেই শেষ নয়। পাশাপাশি লিখতে হবে বিভাগীয় সম্পাদকীয়, এমনই নির্দেশ পারমিতা'দির। স্বভাবতই, এর ফলে আমার মত এক তুরীয় আনাড়ির পর্বতপ্রমাণ উৎকণ্ঠা ও হন্তদন্তের জোগাড়। যাই হোক, বলেই ফেলি।
'...Far between sundown's finish and midnight's broken toll
We ducked inside the doorway, thunder crashin'
As majestic bells of bolts struck shadows in the sounds
Seemin' to be the chimes of freedom flashin'
Flashing for the warriors whose strength is not to fight
Flashing for the refugees on the unarmed road of flight
And for each and every underdog soldier in the night
And we gazed upon the chimes of freedom flashin...'
আজকের দিনটা এলেই মনে পড়ে এই ক'টি চরণ। বিশ্বব্যাপী সঙ্গীতমায়ার অন্যতম যুগপুরুষ বব ডিলান এমনই বলেছিলেন তাঁরই লেখা ও সুরোরোপিত এক কালজয়ী গানে। চুয়াত্তর বছর কেটে গেছে। ঔপনিবেশিকতার ভয়াল বেড়ি ভেঙে হেঁটে চলেছে আমাদের দেশ। তবে স্বাধীনতার লড়াই, স্বাধীনতা চেয়ে লড়াই - এসবে ইতি পড়েনি একেবারেই। কবিগুরুর গীতিকল্পে বারবার ধ্বনিত হয়েছে, "আজ খেলা ভাঙার খেলা।" শৃঙ্খলের বাড়বাড়ন্ত তো সর্বত্রই। তা ভাঙার প্রয়াস নিশানায় নিয়েই আমাদের ছুটতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ধর্মান্ধতা, পিতৃতন্ত্র, সন্ত্রাস বা দুর্নীতি, মুখোমুখি হতে হচ্ছে নানান শেকলের। এদের মাঝে সবচেয়ে দুর্ভেদ্য? ভয়। যা চৌচির করে ফেলতে সম্বল ওই একটুখানি সাহস। কিংবদন্তি কবিমানস রবার্ট ফ্রস্টের কথায় ফিরে আসে, "Freedom lies on being bold."
অতঃপর? সন্ধান চলুক, বিস্ময়-চারণ ডিলানের লেখনীতে বেজে ওঠা সূদূরগামী ঘণ্টাধ্বনির। মধ্যরাত্রির বজ্রময় বিপদসংকেতের সমাবেশ ভেঙে যা দিকচক্রবালে বারবার ছড়িয়ে দেয় স্বাতন্ত্র্যের সমুজ্জ্বল সাতকাহন। যা ছুঁয়েই এগোতে পারি আমরা সব্বাই। নিজের কথায়, নিজের সুরে এগিয়ে যেতে পারে কবিতারাও...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন