রবিবার, ৮ আগস্ট, ২০২১

বিভাগীয় সম্পাদকীয়

         




গত দেড়বছর যাবৎ আকস্মিক অণুদানবদের হম্বিতম্বি, চোখরাঙানিকে সয়েই নিজেদের মতো বয়ে চলেছি আমরা। হারিয়েছি অনেক বন্ধু ও সহযোদ্ধাদের। জিজীবিষায় ভর করে ফের ছন্দে ফিরছে জগৎসংসার। আমরা, যারা অক্ষর ও শব্দপ্রবাহের দোলায় ভেসে সময় কাটাতে ভালোবাসি, সহস্র উৎকণ্ঠা-উদ্বেগের মাঝেও চেয়েছি সেই আবহমান ছলোচ্ছলকে আঁকড়ে ধরতে। খুঁজে ফিরেছি নিরন্তর ঠাঁই। সেই সন্ধানের ষোলোকলা বেয়েই এগিয়ে চলেছে 'সৃজন'। 


যা হোক, কথায় কথায় মনে পড়ল আজকের তারিখ। সঙ্গে সঙ্গেই চোখের কোলে ফুটে উঠল ঝর্ণার মত সরল ও একরোখা, দুটি অমোঘ পংক্তি : 


'...আমার বিশ্বাস আজও কিছু বেঁচে আছে, তাই হব

পঁচিশে বৈশাখ কিংবা বাইশে শ্রাবণে আত্মঘাতী।' 


'আত্মঘাত' কবিতায় এমনই বলেছিলেন বরেণ্য কবিমানস শঙ্খ ঘোষ। সূয্যিধোয়া ঋষিভূমের আবির্ভাব ও প্রস্থানের শাশ্বত অনন্তে সন্দেহাতীতভাবে গড়িয়ে দিয়েছিলেন নির্বাণের পরমতম হাঁটুজোড়া। আজ, আমরাও এসে দাঁড়িয়েছি সেই তপস্বী প্রান্তরের ধূ ধূ ঢালে। গড়িয়ে পড়তে ইচ্ছে করছে ভীষণ। 


বোশেখের রোদ দুম করে ছুটি নিলে শ্রাবণের মনখারাপ তো দস্তুর। ঘটনাচক্রে, আজও ছুটিরই তারিখ। অলীক সমাপতন মাখা এই মেঘলা রবিবারের ভোরে, কথাগুলো লিখতে লিখতে জানালা ঠেলে হঠাৎই ঢুকে পড়ছে আলোভরা জল। যেন কেউ মাথায় শুভাশিস-আঙুল বুলিয়ে ফিসফিস করে জানান দিয়ে গেল, প্রতিটি শ্রাবণের কাঁধেই রয়েছে বৈশাখী আশ্বাস। অর্থাৎ? 


'ঠাকুর থাকবে সারাক্ষণ!'

1 টি মন্তব্য: