পুরভরা কাঁকরোল
ছুটি নেই,বলা ভালো ছুটি নিতে নেই।এই যে শনিবার রাতে জম্পেশ করে ঘুমোতে যাওয়া আদতে তো তা রবিবারের প্রস্তুতি। ঠিক সেইরকমই গতকাল রাতে শুয়ে শুয়ে ভাবছি আগামীকাল কী এমন করা যায়।সেসময়ই মনে পড়ল ফ্রিজে রাখা আছে কাঁকরোল।
কাঁকরোল যাকে স্বর্গীয় ফল আখ্যা দিতে বাধ্য হয়েছেন বিজ্ঞানীরা।ক্যান্সার এবং অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ থেকে শুরু করে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ এমনকি আপনার তারুণ্য ধরে রাখতে ভীষণভাবে সাহায্য করে এই ফল।প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি, এ, বিটা ক্যারোটিন, ফাইবার এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই সবজীকে খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন জলদি জলদি।
আজ যে রান্নাটা করব সেটা সকলের জানা।তবু যারা নতুন গৃহিণী বা যারা আচমকা কিছু রান্না করে রবিবারের দুপুর জমজমাট করতে চান তাদের জন্য রইল রেসিপি আর প্রতিটি পর্যায়ের ছবি।
একটু বড় সাইজের চারটি কাঁকরোল নিন। মাঝখান বরাবর দু'ভাগ করে একটা চামচ দিয়ে ভেতরের বীজগুলো বের করে রাখুন। ফেলবেন না কিন্তু, এটা কাজে লাগাব। আমরা মধ্যবিত্ত বাঙালী। খোসা থেকে বীজ কিছুই ফেলা আমাদের রাশিতে লেখা নেই।
যাই হোক যে কথা বলছিলাম,কাঁকরোলের যে গর্ত দেখতে বাটি তৈরি হল সেগুলোকে সামান্য নুন হলুদ দিয়ে মিনিট তিনেক গরম জলে সেদ্ধ করে জল ঝড়িয়ে রেখে দিন আলাদা করে।এবার পুর তৈরির পালা। খুব সোজা। আগে থেকে কুড়িয়ে রাখা বীজ সামান্য কালো সর্ষে একটু পোস্ত নিয়ে একসাথে বাটুন।মিক্সিতে মিনিট দুয়েক সময় লাগে, আমি শিলনোড়া প্রেমী একথা সবাই জেনে গেছেন এতদিনে🙂
কড়াইতে পাঁচ সাত কোয়া রসুনকুচি দিন।হালকা বাদামি হয়ে গন্ধ বেরিয়ে এলে দিন মাঝারি সাইজের একটা পেঁয়াজ কুচি।একটু কাঁচকাঁচ হয়ে রঙ বদলাতে শুরু করলে দিয়ে দিন ওই পেস্টটা।এরপর গ্যাসের আঁচ মাঝারি রেখে সময় নিয়ে কষিয়ে নিন। জল মরে গিয়ে শুকনো হয়ে এলে একটু আমচুর পাউডার দিন নতুবা দুটি হাজমোলা ট্যাবলেট। পুর তৈরি।
এবার যাব ফাইনাল স্টেপে।একটা বড় পাত্রে দেড়শ গ্রাম ব্যাসন দু'চার চামচ অ্যারারুট পরিমাণ মতো লবণ দু'চার দানা চিনি এক পিঞ্চ বেকিং সোডা আর সামান্য জোয়ান ( হাতের তালুতে ক্রাশ করে) মিশিয়ে জল দিয়ে দিয়ে মাঝারি ঘনত্বের ব্যাটার তৈরি করে নিন। জল ঝরানো কাঁকরোলগুলোয় পুর ভরুন। হাত দিয়ে চেপে চেপে ভরবেন যাতে কোন ফাঁক না থাকে। এরপর খুব সাবধানে ব্যাটারে ডুবিয়ে মাঝারি আঁচে রিফাইন্ড অয়েলে ডিপ ফ্রাই করে নিলেই তৈরি পুরভরা কাঁকরোল
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন