সমাধি
ছড়ানো তাসের নামগুলি উচ্চারণ করতে-করতে
শেষমেশ তোমার অন্ধ-নাবিক চোখ
দ্বিতীয়বার স্ফুরিত হবে
কন্ঠস্বর,দাঁড় টানার অদ্ভুত নীল নেপথ্যে
গেয়ে ওঠা সেই নৌকো-গান আর
রুপালি বাঁকের অশ্রু নিয়ে একঝাঁক স্লেজ যেন
মিশে যাচ্ছে দূরে,আরো দূরের তুষার-অরণ্যে,
নরম কবোষ্ণ জলে কার্নিভাল ও ক্যানারি পাখির
ঝলমলে মুহূর্তরা এভাবেই ডাকে
উনুন থেকে সদ্য নামানো রুটির গোল অন্ধকার
আরো বহুদিন বয়ে বেড়াব আমরা
আর টুপি খুলে নিরুদ্দেশে উড়িয়ে দেওয়া হবে
স্মৃতির নভোচরটিকে
চিঠি
শেষ রাতে ঘুমের গায়ে সাদা আলোর ছিটে
চোখ ধাঁধিয়ে দেয়,দরজার ছটপটানির অপার সীমানায়
মুষড়ে পড়ে সময়-পাখি,
শৈশবকে উদ্ধার ক’রে বয়ে আনে এই যুদ্ধপ্রান্তরে
অক্ষরহীন নিঃশ্বাসে কে যেন চমকে ওঠে
আমারই হারানো চটি পায়ে ব্যারিকেডের ওপার থেকে
কারা যে নিরন্তর ছুঁড়ে দেয় অন্ধকার!
চূড়ান্ত নগ্নতার মসলিন চৌকাঠ জেগে আছে
যেন অভিঘাত,যেন বেকুব শুদ্ধ বাতাস –
ফালা-ফালা করছে অক্ষয় আসমানী পর্দা
ব্যস্ততার অমোঘ ভোল পাল্টে স্থিতি ও নিঃশ্বাসের
এক জন্মে সন্ধ্যার ঠোঙা উড়ে আসে
ধ্বংসের চিঠির মতন দূরে পড়ে থাকে তার বার্তা
আলাপ
ঘুরে-ফিরে আসে আমাদের বায়স-যৌবন
দৃষ্টি ও তুণীরের পরিকল্পনা –
শিকারের প্রত্যক্ষ দর্শন থেকে
অভিজাত শিকড়ে ঢাকে অপূর্ণ চাঁদটিকে
কেমন সাদামাটা ব্যথায় পাশ ফিরে দীর্ঘ সুতোর মতন
আমারই আঙুলে দেখেছি পুতুল-নাচের সাযুজ্য
ভারি হয়ে নেমে আসে ঘুমে তারপর
তর্কের আঠা ও দু’কশের বোবা নিরুদ্দেশ অভিভাবকেরা
সমাধি ও আলাপ ভীষণ ভালো লাগলো
উত্তরমুছুনআপনার কবিতা নিয়ে নতুন করে আর কীই বা বলি!
উত্তরমুছুনপ্রতিটি গুচ্ছেই নতুনভাবে বিস্মিত করেন আপনি। এই গুচ্ছে প্রতিটি লেখায় নিহিত বক্তব্য ও দৃশ্যকল্প মনে থেকে যাবে।
এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
উত্তরমুছুনসমাধি আর আলাপ ভীষণ ভালো লাগলো
উত্তরমুছুন