ওকে বোঝার
আম জামের ভেতর ওকে বোঝার কেউ নেই
একটু লজ্জা এঁটেল মাটি ওর গালে গলায় দি
পরালে মানাবে এমন পাখির জেদি পদচিহ্ন
যার নিভু নিভু তিল উড়বে আকাশের নিচে
দূরে দেখাই যোগ করে করে গুছিয়ে দেখা
নৌকার চোখ চোখের জল নির বধির
শিশির ভেজা হেলদোল ওর অন্তর্বাস পরাবে
মনের কাদা উতরে জলে চাঁদ পড়ে যাওয়ার মত
লেবুফুলের সবুজ বউ আর জাল ফেল না
ভাবো আমরা পথের মানুষ ইতু কুড়বো হাটে হাটে
বটগাছে জ্যোতস্না পা রাখতে রাখতে
জেদি কোমর লবণ চিকিৎসা কপালেই ছিল
খিদে রাজধানী এক্সপ্রেস বনবিভাগে ছুটছে
নদী এখনো নিম্নচাপের ছোট ছোট বাচ্চা
ধুতরাফুল একটা সোমত্থ জিরাফ
কলসি চিহ্ন খাচ্ছে কি খাচ্ছে না শুধু উঁকি দেবে
*****
2/ মেঘের ডাক / যাদব দত্ত
গলা ফাটিয়ে মেঘ ডাকে বৃষ্টি নেই
সেই অবোধ পাথর তবু সুন্দর রচনা প্রনালীতে
প্রণব শাসায় অনেক পতাকা দেখেছিস খাজোরাহের
রাতে বড় আলোটির দিকে আজ এগোবি না
বুকভাঙ্গা গানের একা মেঘগুলি পড়ে থাকবে
এখানে শুধু মাসকলাই এর চাষ
মাটির নীচে সামান্য ঝিরিঝিরি চিনে বাদাম
নাকে বিশ্রাম নিয়ে পরিপুষ্ট খালি আলোর ফুয়ারা
অমল অনড় মন্দিরে বায়ুকোনে শুয়ে পড়
জর্জরিত চুপ মেরে যাবি বিকেলের আলোয়
হলুদ মুখের হাতছুট সিক্ততা দেখে
তাপের অভাবে কাউকে ছুঁইনি কোনোদিন
খরকরে ডিমনা সড়কে ছোট বড় ভেজা
এমন রান্নার অবুঝ গ্রামোফোন
তেলে জলে ঢিল দাও স্পর্শ পায়ে পায়ে হাঁটবে
একটা পরিমাপের নীল স্টেসন
এজন্মে এতগুলো সাদা কালো হাত
খলবল গরল চূড়া তবু ছোঁয়া যাবে না
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন