কোন অপরূপ সৃষ্টি ......বৃষ্টি.....বৃষ্টি
"এ মাই ভাত দে না।"- ফাঁকা থালার উপর হাত বোলাচ্ছে বছর ছয়ের মেয়েটা । লছমী এক হাতা ফেনা ভাত উপুর করে নুন ছড়িয়ে দেয় – "তাড়াতাড়ি গিলে লে।" । চারিদিকটা কেমন যেন গুমোট ।আকাশে তারা নেই । অন্ধকার আকাশে মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে । মেঘের হুঙ্কার কানে আসছে । কিছুক্ষনের মধ্যেই ঝড় বৃষ্টি শুরু হবে । লছমীর বড় ভয় করে এই আপদ বৃষ্টিটাকে । আর সঙ্গে যদি ঝড় হয় কথাই নেই । আসলে আস্তানা বলতে এই আমহার্স্ট্রীটের চারমাথার মোড়ের রাস্তার এক পাশে একটা ফুটপাথের কোনা । বৃষ্টি হলে এই আশ্রয়টুকুও চলে যায় । পাশ দিয়ে দুটো লোক কথা বলতে বলতে যাচ্ছে- "আর পারছিনা , এবার বৃষ্টি নাম ।" লছমীর বুক কেঁপে ওঠে । গলা বেয়ে ঘাম গড়িয়ে পরছে । হঠাৎ দমকা বাতাসের চোটে শরীরটা জুড়িয়ে যায় ।রাস্তায় শুরু হয়েছে ধূলোর ঝড় । মেয়েটা এখনও ভাতটা খেয়ে উঠতে পারেনি । লছমী মেয়েটার পিঠে দুমদুম করে দিলো দুঘা বসিয়ে । ততক্ষনে শুরু হয়েছে ঝড় আর মুষল ধারে বৃষ্টি । লছমী মেয়ের হাত ধরে টান দিল । সামনের হোটেলের নীচের ছাউনিতে দাঁড়াতে হবে কিছুক্ষন । বেশিক্ষন সেখানে দাঁড়াতে দেবে না যদিও । মেয়েটা থালায় একটা ইট চাঁপা দিয়ে মায়ের সাথে সুরক্ষিত আশ্রয়ে দাঁড়িয়ে পরল ।
হোটেলের দ্বিতীয় তলায় ব্যলকনি সংলগ্ন রুমটিতে উঠেছে নবদম্পতি - ঈশা আর সুজিত । এসেছে মেদিনীপুর থেকে । কাল সকালে ট্রেন ধরে চলে যাবে পুনে – মধুচন্দ্রিমা যাপনে ।- "সুজিত, কি ভালো লাগছে না আমাদের নতুন জীবনের প্রথম বৃষ্টি ।" মেঘের গর্জনে ভয়ে আঁকড়ে ধরছে সুজিতের হাত । আবার বৃষ্টির সাথে খেলা করছে । এখন দুজনেই সিক্ত ।আজ ধরিত্রীও সিক্ত হচ্ছে , সূর্যের দাবদাহ থেকে ।অনেকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভিজছে । ঈশার গলায় সুরের বৃষ্টি নেমেছে – এ কোন অপরূপ সৃষ্টি .........বৃষ্টি বৃষ্টি বৃষ্টি ।
ভাতের থালা জলে ভরে গেছে । বৃষ্টির জলে ভাত ভেসে যাচ্ছে । ছ বছরের মেয়েটার এখন খুব রাগ হচ্ছে । আরও রাগ হচ্ছে গানটা শুনে । তাদের বৃষ্টি চাইনা । আজ রাতে আর ফুটপাথে শোয়া হবে না । চারিদিকের নোংরা উড়ে এসেছে । বৃষ্টির জলে ভিজে গেছে রাতের অস্থায়ী বাসস্থান ।যদিও বৃষ্টি ধরে এসেছে তবু আজকের মতো খুঁজতে হবে নতুন ঠিকানা । হোটেলের দারোয়ান খেদিয়ে দিয়েছে ওদের ।ওরা অপরূপ বৃষ্টির শোভা বোঝে না । ওরা বোঝে বৃষ্টি মানেই আশ্রয়হীন এক রাত ।
"এ মাই ভাত দে না।"- ফাঁকা থালার উপর হাত বোলাচ্ছে বছর ছয়ের মেয়েটা । লছমী এক হাতা ফেনা ভাত উপুর করে নুন ছড়িয়ে দেয় – "তাড়াতাড়ি গিলে লে।" । চারিদিকটা কেমন যেন গুমোট ।আকাশে তারা নেই । অন্ধকার আকাশে মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে । মেঘের হুঙ্কার কানে আসছে । কিছুক্ষনের মধ্যেই ঝড় বৃষ্টি শুরু হবে । লছমীর বড় ভয় করে এই আপদ বৃষ্টিটাকে । আর সঙ্গে যদি ঝড় হয় কথাই নেই । আসলে আস্তানা বলতে এই আমহার্স্ট্রীটের চারমাথার মোড়ের রাস্তার এক পাশে একটা ফুটপাথের কোনা । বৃষ্টি হলে এই আশ্রয়টুকুও চলে যায় । পাশ দিয়ে দুটো লোক কথা বলতে বলতে যাচ্ছে- "আর পারছিনা , এবার বৃষ্টি নাম ।" লছমীর বুক কেঁপে ওঠে । গলা বেয়ে ঘাম গড়িয়ে পরছে । হঠাৎ দমকা বাতাসের চোটে শরীরটা জুড়িয়ে যায় ।রাস্তায় শুরু হয়েছে ধূলোর ঝড় । মেয়েটা এখনও ভাতটা খেয়ে উঠতে পারেনি । লছমী মেয়েটার পিঠে দুমদুম করে দিলো দুঘা বসিয়ে । ততক্ষনে শুরু হয়েছে ঝড় আর মুষল ধারে বৃষ্টি । লছমী মেয়ের হাত ধরে টান দিল । সামনের হোটেলের নীচের ছাউনিতে দাঁড়াতে হবে কিছুক্ষন । বেশিক্ষন সেখানে দাঁড়াতে দেবে না যদিও । মেয়েটা থালায় একটা ইট চাঁপা দিয়ে মায়ের সাথে সুরক্ষিত আশ্রয়ে দাঁড়িয়ে পরল ।
হোটেলের দ্বিতীয় তলায় ব্যলকনি সংলগ্ন রুমটিতে উঠেছে নবদম্পতি - ঈশা আর সুজিত । এসেছে মেদিনীপুর থেকে । কাল সকালে ট্রেন ধরে চলে যাবে পুনে – মধুচন্দ্রিমা যাপনে ।- "সুজিত, কি ভালো লাগছে না আমাদের নতুন জীবনের প্রথম বৃষ্টি ।" মেঘের গর্জনে ভয়ে আঁকড়ে ধরছে সুজিতের হাত । আবার বৃষ্টির সাথে খেলা করছে । এখন দুজনেই সিক্ত ।আজ ধরিত্রীও সিক্ত হচ্ছে , সূর্যের দাবদাহ থেকে ।অনেকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভিজছে । ঈশার গলায় সুরের বৃষ্টি নেমেছে – এ কোন অপরূপ সৃষ্টি .........বৃষ্টি বৃষ্টি বৃষ্টি ।
ভাতের থালা জলে ভরে গেছে । বৃষ্টির জলে ভাত ভেসে যাচ্ছে । ছ বছরের মেয়েটার এখন খুব রাগ হচ্ছে । আরও রাগ হচ্ছে গানটা শুনে । তাদের বৃষ্টি চাইনা । আজ রাতে আর ফুটপাথে শোয়া হবে না । চারিদিকের নোংরা উড়ে এসেছে । বৃষ্টির জলে ভিজে গেছে রাতের অস্থায়ী বাসস্থান ।যদিও বৃষ্টি ধরে এসেছে তবু আজকের মতো খুঁজতে হবে নতুন ঠিকানা । হোটেলের দারোয়ান খেদিয়ে দিয়েছে ওদের ।ওরা অপরূপ বৃষ্টির শোভা বোঝে না । ওরা বোঝে বৃষ্টি মানেই আশ্রয়হীন এক রাত ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন