মঙ্গলবার, ৯ মে, ২০১৭

শুভাশিস সিংহ


মীরা 

)

নাহ মীরা
তোকে বাজারি বলতে পারব না
অনুর্ধ্ব ঊনিশের ঠোঁট জাপটে ধরেছি
নিঃশ্বাসের তোয়াক্কা না করেই
স্বাদের গভীরতায় ডুব দিয়েছিলাম
কিছু অসত্যকে উপাচার ভেবে 
পাছে হ্যাংলা চোখে চোখ লেগে যায়
সরমের ওড়নায় আড়াল করেছিস
তোর ঠোঁট বহুবার ছুঁয়েছে 
আমার অবিন্যস্ত গাল 
কোন কারণ ছাড়াই 
নাহ মীরা 
তোকে বাজারি বলতে পারব না
যৌবনের একান্নবর্তী দুপুরে
নিঃশব্দে খুলেছিস ব্লাউজের হুক 
সর্পিল ঘাম নেমেছিল 
অন্তবর্তীকালীন বৃষ্টি ভেজা উঠোন জুড়ে 
সুযোগ'কে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে 
আদালতে অন্য কেউ উপস্থিত ছিল না ..
বাসন্তী শাড়িতে আঁচড়ানো শরীরের 
আনকোরা মন উত্তাপ নিতে না পারলেও
এগিয়ে দিয়েছিস তাপদগ্ধ চুল্লি
তোর ঘুম বহুবার জেনেছে 
দেহাতি মনের দলিত মৌতাত
সুখ সেদিন গুলিতে তল পায়নি 
সুশ্রূষা পেয়েছিল আদিমতা' 
তাই স্মৃতির অতলে এখনও জাবর কাটে 
আবারও বলছি
মীরা, 
তোকে বাজারি বলতে পারব না


)
কথার দূরে যে চোখ
শব্দ অপচয় আমার অভ্যাস নয়
বুকে জড়িয়ে নেওয়ার ইচ্ছেতে
বৃষ্টি কখনও ঋণী নয়

ঘুম আদপে একটা ক্লান্তি
খাটের ওপাশের চেয়ে কে বেশি জানে
ভালোবাসা দরদী বাহানা
চৌকাঠ থেকে বিছানার দূরত্ব তা মানে

)


একটা হুবহু নারী নিরাপদে চলছে
আমি তাকে অনুসরণ করি

ছায়া দীর্ঘ থেকে রুগ্ন হতে
অন্ধকারের হাত ধরে
আমি আঁচল উড়িয়ে জোছনা দেখি

পশ্চিমের সূর্য যেমন মাটিতে মেশে
সেও মেশে

আমি সেই জন্মান্ধ
যোনি-পথ খুঁজি মাটি সরিয়ে

কখনও লাল কিম্বা সবুজ অথবা গেরুয়া
অহংকারে মিশতে মিশতে মিলিয়ে যায়

আমি কবরের উপর ত্রিশূল দিয়ে
এপিটাফ লিখে রাখি

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন