মঙ্গলবার, ৯ মে, ২০১৭

শুভ আঢ্য


রেইন - পেইন এণ্ড মেশিনারি  



পাখীর ঝাঁক নেমে আসে, ওড়ার রাস্তায়
সেখানে মেঘের আঙুল ক্ষয়ে একটার পর দু'টো,
দু'টোর পর তিনটে... তরিবৎ করে হাজার তিরিশেক
পাখী নামে, তাদের নামের কোনো বাহুল্য নেই,
ওড়ার রাস্তায় পাখীর ঝাঁক নেমে আসে জলের মতই

শ্যুটিং-য়ের প্যাক আপ নিয়ে ডাউন হচ্ছে পাখীগুলো
সেখানে জেলফেরত জলেরা একহাজার গ্যালন 
বৃষ্টি নিয়ে নেমে আসছে, আর সিঁড়িগুলোর কোনো বিকল্প নেই
সেই ল্যাণ্ডিং-য়ের ওপর জলের পাখীগুলো নেমেই আসছে
তাদের ডাকের চিহ্নগুলো ভিজিয়ে দিচ্ছে তাদেরই ওড়ার রাস্তাটুকু



তারপর ভিজে ওঠে সেই লোহালক্কড়
সেই মেশিনকোড থেকে ঝাঁঝরি অবধি, বর্ষাতি অবধি
ভিজে ভিজে গান হয়, সরিয়ে রাখে সুরের অঞ্চল ভি জে -টি
অথচ সেই সুর নেশার মত পড়ে, নেশারঝোঁকের মতই
লোহামুখ থেকে পাটিগণিত ছিঁড়ে বেরিয়ে আসে
অংকের খাতা থেকে সংকেতময় বেরিয়ে আসা হয় তার

মেঘালয় আসে, মেঘালয় বৃত্তাকারে ঘুরে ওঠে
ওই লোহার মেশিনের ভেতর, আর চেরাপুঞ্জির বানান থেকে
দীর্ঘতর হয় বারিষ, এই ড্রামাটিক ঋতু 

এবং ভি জে -টি ভিজে টিজে মেশিনকোড থেকে মুছে
রাখে মেঘালয় অঞ্চল, গান ভিজে ওঠে তার... বুকের
ওপর জমা হয় মিলিমিটার আর রেডিওর সতর্কবার্তা



যন্ত্রণার ধারে তারা জমে, সেই এক কালো আকাশ
গর্ভ খসিয়ে নামিয়ে দেয় লাখ লাখ বাচ্চা, ন্যাংটো...
অথচ ধারণ ক্ষমতা ছাড়া ধর্ম বলে যা কিছু ভাবা যেত
সেগুলো বৃষ্টির নাম নিয়ে কাঁটাঝোপের পাশে পড়ে থাকে

সেই মেশিনচালক গর্ভাশয় থেকে তুলে নিলে পুরুষাঙ্গ,
লাখ লাখ বাচ্চা বেওয়ারিশ নেমে আসে,
তারা একে অপরের ওপর লাফায়, মিশে ওঠে, কোনো ধর্ম
নেই তাদের, শুধুই ধারণ ক্ষমতার বাইরে তারা বেজন্মা
কাঁটাঝোপের ওপর পড়ে থাকে শুধু, যন্ত্রণার ধারেই জমে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন