চুঁইয়ে পড়া বোধ
[আমার স্যার কবি সত্যপ্রিয় মুখোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে]
ধমনীতে বাজছে স্বরতন্ত্রী,
নাড়ীর ভেতর ডুবছে কথার সুর...
প্রণামগুলো ইথার পেয়ে ভাসছে
আপনি আছেন যোজন যোজন দূর-
দূরগুলোকে মাপছে কেবল ফিতে,
আপনি আছেন রক্তজালক ঘিরে....
সেই কথাটাই সত্য অনেক বেশি,
বাঁচবো যেদিন-
‘পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন’ তীরে....
একটি ফ্লাসের কথা
পাওনা আরো পাবো বলেই পলক
মন ক্যামেরায় দুই’শ জাদুর ঝলক।
আয় নিবি তো ফ্লাসের কিছু আলো
ফিসফিসিয়ে যদি বাসিস ভালো।
বৃষ্টি তবে ফটকবাড়ি ধরে
ভাসিয়ে দেবে তোকেই ঘরে-দোরে।
এমন করে বন্যা আনে কেউ ?
দুই’শ জাদুর আছড়ে পড়া ঢেউ....
নে খুলে নে মনের নরম জামা
শরীর জুড়ে টানুক ফ্লাসের হামা।
বন্যা আসুক আলো আসুক নেমে
পা গিয়েছে সর্বনাশে থেমে।
এমন করেই ফটক বুঝি হয়
মন ক্যামেরায় ধরেছে নিশ্চয়,
আমার মতি আমার দুখ ও শোক।
সমস্তটাই আজকে তোমার হোক....
ভুলভুলাইয়া...
সেই যে আমায় মানুষ পেলো
ঘাড়ের থেকে নামিয়ে নিলাম ভূত।
সেই যে আমি নেশায় গেলাম মেতে
আমার থেকে ছেলে হারিয়ে গেলো।
আমার থেকে হারিয়ে গেলো ভুল
আমি আবার রজতশুভ্র জ্বলি
পালিস হলেও হীরের মত কাটা।
ভুলের মত হইনি তো এক চুল।
যে অর্থে এই কথায় করি গান
ভুলের মত চর জাগা সম্মান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন