মঙ্গলবার, ৩১ জুলাই, ২০১৮

বৈশাখী নার্গিস




ফ্ল্যাশব্যাক

মাঝে মাঝে ঋতুমতী হয়ে উঠি বিকেল নেমে এলে পসাইডন এসে বসে পাশে আর ধোঁয়ার পর্দা সরে সরে যায় রাতভর দু-চারটে কথা শেষে আমার চারপাশে ভীড় করে বেওকুফ শহর ঘাড় উচিয়ে হাঁটে নামফলক তবু অ্যালবামে আলো ফেলি নিয়ন আলো মাখামাখি রাস্তায় শিরশিরে ব্যথা এখানে ফোকাস হয় অ্যালজেব্রার কঠিন সংজ্ঞা সরলরেখা, বক্ররেখা, সমতল, বিসমতল মিলিয়ে সবকিছু বৃত্ত হয়ে যেতে দেখি জানি বেডসাইড সুইচ গল্প হতে হতে বহুদূর

রাতের বয়স তখন সবে এক মিনিট। সপ্ত ইন্দ্রিয় বলছে ট্রামলাইনে কয়েকশত কবিতার মিছিল। মোড় ঘুরতেই হ্যামলিন। ভিসা কার্ডে অসংখ্য জমা সুখ। আপাতত রঙ গুলছি। শীতের গান গাইতে আসবেন মিঃ ডিউক। একটা সিনেমার গতির চেয়েও দ্রুত চুম্বন নেমে আসুক ঠোঁটে।  একটা ক্যাডবেরি বিকেল সন্ধে হয়ে যাবার আগে দিকবদল হোক তোমার। মোমের যাদুঘরে পরির স্বপ্ন উড়ে যাক। তুমি এবং আমরা এক্সপ্রেস ট্রেনের সাথে হাত মিলিয়ে সমুদ্র শপথ নিই। আমার ৪২তলা শপথও নাম লিখিয়ে নিক দস্তাবেজএ।
একটা জন্মদিন মানে বিন্দু বিন্দু ক্ষয়ে যাওয়া জীবন মানে যেমন কাঠঠোকরাও নয় আমি আলমারির তাকে স্মৃতি ভাঁজ করে রাখি শব্দের হেঁটে যাওয়া গুনে নিতে নিতে ভাবি-ওসব আবার কথা ছিল নাকি স্বপ্ন স্বপ্ন গল্প সুরে ভরে নিয়ে শুধু গলায় চালান করে দেওয়া আসলে ফ্ল্যাশব্যাকে মুগলে আজম শিরায় নীল রক্ত অর্থাৎ সর্বনাশ স্লোগান উঠেছে, আপাতত নিপাত যাক বিচ্ছিন্নতা উপহারের বাক্সে খুচরো কয়েনবিরতির পর সবকিছুই আবার নতুন মনে হয়

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন