পাওয়া না পাওয়ার মাঝে
পল্লবী এক ছুটে ছাদে
চলে এলো , বাইরে তখন স্নিগ্ধতা র শীতল হাওয়া বইছে .. অরুণ ওর জন্য অপেক্ষা করে
থাকে রোজ ..চাঁদটা ওকে দেখে যেনো মুচকি মুচকি হাসছে , জোৎস্না যেনো ওকে অন্ধকার সিঁড়ি র পথ দেখায় , আজ ওর আসতে আরও ভালো লাগছিলো
তাই , জোৎস্না তে অরুণ কে যেনো আরও সুন্দর দেখাচ্ছে , ছুটে গিয়ে অরুণ কে জড়িয়ে
ধরলো ,
-আজ আমার আসতে আরও দেরী
হয়ে গেলো অরুণ , জানো তো দাদাদের চোখ এড়িয়ে কিভাবে তোমার কাছে আসি , বৃষ্টির দিনে এমনিই তোমার সাথে আমার দেখা হয়না ,দেখো আজও তারা গুলো কেমন
আমাদের দেখে মুচকি মুচকি হাসছে , এতো টুকু প্রাইভেসি নেই !
বলেই একগাল হেসে ফেলে
পল্লবী ...
শীতল হাওয়ায় , অরুনের
ভালোবাসার স্পর্শে , ওর চোখ জড়িয়ে আসে , আকাশের তারা গুলো কে দেখাতে দেখাতে অরুণ
ওর মাথায় বিলি কাটতে থাকে ,
-যাও পল্লবী , এবার
ঘুমিয়ে পড়ো , আমিও আসি , আবার কাল দেখা হবে ,
আকাশের দিকে শত শত তারা
র মাঝে পল্লবী দেখে অরুণ ওকে হাত নেড়ে বিদায় জানাচ্ছে , প্রতিদিনের মতোই বাকরুদ্ধ
হয়ে যায় পল্লবী , ছলছল চোখে চোখ বন্ধ করে ফেলে সে , এখন হয়তো অরুণ আবার আসবে তার
স্বপ্নে .....
পল্লবীর দাদারা খুঁজতে
খুঁজতে পৌঁছে যায় ছাদে ..
-নাহ্ এতো
সাইক্রিযাটিস্ট দেখিয়েও কোনো লাভ হলো না , বিয়ের দু মাসের মাথায় অরুণের বাইক
একসিডেন্টে মৃত্যু টা বোন টা এখনও মেনে নিতে পারলো না রে .. চল্ ওকে ঘরে নিয়ে যাই
.....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন