মঙ্গলবার, ৩১ জুলাই, ২০১৮

-অণুশ্রী ভট্টাচার্য্য মুখার্জী


পাওয়া না পাওয়ার মাঝে 



পল্লবী এক ছুটে ছাদে চলে এলো , বাইরে তখন স্নিগ্ধতা র শীতল হাওয়া বইছে .. অরুণ ওর জন্য অপেক্ষা করে থাকে রোজ ..চাঁদটা ওকে দেখে যেনো মুচকি মুচকি হাসছে , জোৎস্না  যেনো ওকে অন্ধকার সিঁড়ি র পথ দেখায় , আজ ওর আসতে আরও ভালো লাগছিলো তাই , জোৎস্না তে অরুণ কে যেনো আরও সুন্দর দেখাচ্ছে , ছুটে গিয়ে অরুণ কে জড়িয়ে ধরলো ,
-আজ আমার আসতে আরও দেরী হয়ে গেলো অরুণ , জানো তো দাদাদের চোখ এড়িয়ে কিভাবে তোমার কাছে আসি , বৃষ্টির  দিনে এমনিই তোমার সাথে আমার দেখা হয়না ,দেখো আজও তারা গুলো কেমন আমাদের দেখে মুচকি মুচকি হাসছে , এতো টুকু প্রাইভেসি নেই ! 
বলেই একগাল হেসে ফেলে পল্লবী ...
শীতল হাওয়ায় , অরুনের ভালোবাসার স্পর্শে , ওর চোখ জড়িয়ে আসে , আকাশের তারা গুলো কে দেখাতে দেখাতে অরুণ ওর মাথায় বিলি কাটতে থাকে , 
-যাও পল্লবী , এবার ঘুমিয়ে পড়ো , আমিও আসি , আবার কাল দেখা হবে , 
আকাশের দিকে শত শত তারা র মাঝে পল্লবী দেখে অরুণ ওকে হাত নেড়ে বিদায় জানাচ্ছে , প্রতিদিনের মতোই বাকরুদ্ধ হয়ে যায় পল্লবী , ছলছল চোখে চোখ বন্ধ করে ফেলে সে , এখন হয়তো অরুণ আবার আসবে তার স্বপ্নে .....

পল্লবীর দাদারা খুঁজতে খুঁজতে পৌঁছে যায় ছাদে ..
-নাহ্ এতো সাইক্রিযাটিস্ট দেখিয়েও কোনো লাভ হলো না , বিয়ের দু মাসের মাথায় অরুণের বাইক একসিডেন্টে মৃত্যু টা বোন টা এখনও মেনে নিতে পারলো না রে .. চল্ ওকে ঘরে নিয়ে যাই .....

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন