মঙ্গলবার, ৩১ জুলাই, ২০১৮

শোভন বাগ



#খোঁজ


"ছোটু, একটা স্পেশাল।"

চা খেতে খেতে একবার সময়টা দেখে নিল। সাতটা বাজতে দেরী আছে। বউ বাপের বাড়ি। অন্যান্যদিন এত তাড়াতাড়ি বেরোয় না অফিস থেকে। বাড়ি ফিরলেই তো সেই এক চিৎকার, ঝগড়া। অসহ্য।

বন্ধু দিয়েছিল নম্বরটা। বলেছিল – দারুন জিনিস। একটা রাত কাটিয়ে আয়, দেখবি পুরো ফ্রেশ লাগবে।

হঠাৎই কেমন যেন একটা অস্বস্তি। তাকিয়ে দেখে, ছোটু চেয়ে আছে ওর দিকে। 
"গাড়ীটা তোমার?"
"হ্যাঁ"
"বড় হয়ে আমিও এমন একটা গাড়ী কিনব আর তোমার মত বেশ চা খাব।"

কী যে ছিল ওই বাচ্চাটার কথার মধ্যে, ওর চাউনিতে! নিজের ছেলেবেলা?

"দাদা, ছোটুকে একটু ছেড়ে দিতে হবে।"
"মানে ! আপনাকে চিনিনা জানিনা। তারপর এখন ব্যবসার সময়।"
অবশ্য একটা দু হাজার টাকার নোট পেয়ে দোকানী আর বেশি কথা বাড়ায়নি। ওটা দিয়ে ছেলের নতুন বইগুলো হয়ে যাবে।

তারপর ওরা দুজনে অনেকক্ষণ ঘুরে বেড়িয়েছে। চা খেয়েছে। ধোসা। আইসক্রিমও। কখন পেরিয়ে গেছে সাতটা। ফোন বেজেছে, ধরেনি।

ফেরার পথে অবশ্য একবার মনে হয়েছিল, মালটাকে টেস্ট করা হল না।

ওদিকে কোন একটা ফ্ল্যাটে, নেলপালিশ পরা আঙুল বারবার টিপছিল মোবাইলের বোতামগুলো। রিং হয়েই যাচ্ছে। সাতটাও বেজে গেছে! একবার ভাবল, আজ আর বেরুবে না। শরীরটাও একটু বিশ্রাম চাইছে। কিন্তু পরশুদিন যে মেয়েকে নতুন স্কুলে ভর্তি করার লাস্ট দিন। টাকার দরকার।
মনেমনে একটা চার অক্ষর উচ্চারণ করে, নতুন একটা নাম্বারে ফোন লাগাতে লাগল সে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন