বুধবার, ১৪ জুন, ২০১৭

স্বপ্ননীল


পিছুটান                


ওর চলে যাওয়ার পর একা একাই বসে থাকল সায়নী।গরমে ্যানটা সোঁ সোঁ ঘুরছে।তবু মনে হয় গায়ে হাওয়া লাগছে না।মনে মনে নিজেকে জিজ্ঞেস করল-ঘেমে যাচ্ছি কি?না,তা তো মনে হয় নি। কেননা শরীরে কোথাও ঘাম জমে নেই।তবু একটা অস্বস্তি। ভিতরে হয়তো খুব ঘামছি।হয়তো রীতেশের জন্যই। রীতেশকে আজ বেশ খোশ মেজাজে লাগছে। যেদিন প্রথম ওর সঙ্গে আলাপ হয় সেদিন এমনি খুশি ছিল রীতেশ। দীর্ঘ। স্মার্ট।হ্যান্ডসাম।কথাগুলো ভাবছিল।এমন সময় দরজায় রীতেশের কণ্ঠস্বর-সায়নী?
ওর ডাক শুনে চমকে উঠেছিল। তাকিয়ে ছিল বিস্ময়ে। হাঁ করে তাকিয়ে থাকল বেশ কিছুক্ষণ সায়নী।ও বলল-ঘড়িটা তোমার টেবিলে ছেড়ে এসেছি
হুঁশ ফিরিয়ে সায়নী বলল-, আচ্ছা দেখছি
সায়নী ভেতরে গেল।দেখল, টেবিলের উপর ঘড়িটা সত্যি সত্যিই ছেড়ে ্যাছে। ওটা হাতে নিয়ে উল্টেপাল্টে দেখছিল।রীতেশের জন্মদিনে ওর প্রথম মাসের টিউশানের রোজগার থেকে ওটা দিয়েছিল। রীতেশ ওটা পেয়ে খুব খুশি। সেদিন প্রশংসায় প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিল সায়নীকে।আর সায়নীর সেসব শুনতে ভাল লাগছিল।কারন ততদিনে সায়নী পাগল পাগল মনটাকে রীতেশের কাছে দিয়ে বসেছিল।আর এখন?... রীতেশের মনে অন্য একজন। সুদেষ্ণা

অনেক্ষণ ফিরে আসছেনা দেখে রীতেশ ভিতরে গেল।দেখল ঘড়িটা সায়নীর হাতেই। তখনো দাঁড়িয়ে।বলল-আমার দেরি হচ্ছে সায়নী
সায়নী সম্বিত ফিরিয়ে- ্যাঁ।বলে ঘড়িটা ওর হাতে দিল। রীতেশওর হাত থেকে ঘড়িটা নিয়ে চলে আসছিল। সায়নী দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে। ওদিকে নিচ থেকে একটা মেয়েলি কণ্ঠস্বর।হাঁকদিল-রীতেশ?... রীতেশ?

রীতেশ উপর থেকেই সাড়াদিল-আসছি সুদেষ্ণা

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন