দৃষ্টি -
(১)
চোখের তারায় ফুটে ওঠে ঠিক
কতখানি চাওয়া চাইতে পারো !
বুঝে নিতে হয় এক লহমায়-
ভালবাসা কতো কাছাকাছি আরো।
(২)
মুখ ফেরালেই
আমি বুঝি ঠিক
দৃষ্টি কুয়াশা
নোনতা জলেই-
তবুও তোমার
উজাড় চাহনি
গলে গলে পড়ে
আমার গালেই !
(৩)
একমুঠো ভালবাসা ছুঁড়ে দিয়ে তুমি
পালাবে কোথায় আমি তো জানি
সাগরের ঢেউ ঠিক ফিরে আসে
ফেরাবেই জানি সে চাওয়াখানি।
(৪)
চোখের পাতায় বৃষ্টি দেখেছি
কদমফুলের মতো ভিজে –
হাল্কা সুবাসে’র গন্ধ লেখে থাকা
সেই দৃষ্টি
এখনো যুদ্ধ থামাতে পারে।
আর সেই চোখে যদি কাজলের টান
লেগে থাকে –
তাহলে তো ঈশ্বর দু-দুবার ভাববেন
বাংলার পুকুরপাড়ে দুপুরের ছায়া
ঠিক কোনখানে ফেলবেন !
(৫)
বিগত কবি’রা মুঠো মুঠো পংক্তি
কালি দিয়ে মেখেছেন
নিজের শরীরে - ।
তোমাদের দৃষ্টিগুলো – ছেনি আর
হাতুড়ি’র ঘায়ে
এখনো মর্মর –
খাজুরাহে, কোনার্কে।
ফতেপুরসিক্রির লাল চাতাল অপেক্ষা
করে আছে
তুমি তাকাবে বলে।
একটু আড়চোখো দৃষ্টি’র জন্য কতোকাল
আমি
অপেক্ষা করে আছি -
তোমায় পাশ থেকে একবার দেখবো
বলে
সারা রেড রোড ধরে আমি হেঁটে
যাবো বারংবার।
গঙ্গা’র দিকে যেন বেশী তাকিও
না তুমি –
কলকাতা ভেসে যেতে পারে গঙ্গার
জলে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন