রাজগ্রাম বাজার মাঝে নবরত্ন বিশিষ্ট শ্রী ধর মন্দির গাত্রফলকে খোদাই আছে সপরিবার দূর্গা,দেবী পুত্রকন্যাদের থেকে পরস্পর বিচ্ছিন্ন ভাবে আছেন।
সোনামুখীর ১২৫২ বঙ্গাব্দে নির্মিত শ্রী ধরের পঁচিশরত্ন মন্দিরের প্রবেশ পথের খিলান র্শীষে শিবের বিবাহের পোড়ামাটির ফলক খোদিত আছে।
বাঁকুড়া শহরে দ্বারকেশ্বর নদের দক্ষিণ তীরে
রাজগ্রাম মৌজা,জে এল নং ১৮৩ ওয়ার্ড নং ১৪ অবস্থিত দুটি টেরাকোটা মন্দির বর্তমানে জীর্ণও ভগ্নপ্রায়।
প্রসঙ্গ টেরাকোটা: বাঁকুড়া
:তৃতীয় পর্ব:
১.
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ছাড়াও নানান গ্রামে শহরে অসংখ্য মন্দিরের গায়ে টেরাকোটা শিল্পের ছোঁয়া লক্ষ্য করা যায়।কালের করাল গ্রাস এখনো সব উজাড় করে নিতে পারেনি। সোনামুখির শ্রীধর মন্দির সেরকমই একটি নিদর্শন। একটু যদি সংস্কার করা যেত এগুলির তবে হয়তো আরো অনেকদিন টিকে যেত।প্রশাসনকে জানানো হলেও তারা উদাসীন।সব প্রশাসনই পুরাতত্ব, টেরাকোটা শুনলে কেমন যেন হয়ে যান সব! বাঁকুড়ার মন্দিরগুলি নিয়ে ভালো কাজ করছিলেন ডেভিড ম্যাককাচন। হয়তো কাজই তাঁকে অল্প বয়সে কেড়ে নিল।পাঠক পারলে দেখবেন তাঁর সৃষ্টি(David Mac.Catchion: The Temples of Bankura District,Writers workshop Pub.Cal. 1972). এছাড়াও অমিয় কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত বিখ্যাত দুটি বই -বাঁকুড়ার পুরাকীর্তি, বাঁকুড়ার মন্দির।এগুলিতে বিশদে আলোচনা ও ছবি আছে। কংসাবতী,শিলাবতী, গন্ধেশ্বরী, দ্বারকেশ্বর নদী তীরবর্তী ও অন্যান্য স্থানগুলিতে যে সব মন্দির আছে সেখানে দগ্ধমৃত্তিকার কিছু না কিছু কাজ আছে।রাঢ়ের ইতিহাস, ধর্ম, সমাজ, শিল্প, সংস্কৃতি ক্রমবিকাশের সাক্ষী এগুলি। সোনামুখি ছাড়াও মেটালা গ্রামের ( অমরকানন থেকে পশ্চিমে ছয় কিমি) লক্ষী- নারায়ণ মন্দির,মালিয়াড়া,ঘুটগড়িয়া,কাদাশোল,নড়রা,হদলনারায়ণপুর,রাজগ্রাম,হাড়মাসড়া,পুরন্দরপুর,বাঁকুড়া শহরের পাঠক পাড়া প্রভৃতিস্থানে এখনো দন্ডায়মান মন্দিরগুলি।
২.
বাঁকুড়ায় মন্দির টেরাকোটা ছাড়াও দৈনন্দিন লৌকিক জীবনেও টেরাকোটার বহুল প্রচলন দীর্ঘদিনের।গবেষকদের মতে আজ থেকে প্রায় চল্লিশ হাজার বছর আগে আগে এখানে মানুযের বসবাস শুরু হয়েছিল।আদিম মানুষেরা আদি অষ্ট্রেলিয়দের গোষ্ঠীভুক্ত ' নিষাদ '। বিবর্তনের পথ ধরে এখানকার টেরাকোটা শিল্পেরও বিকাশ হয়েছে ধাপে ধাপে।এগুলিকে ইট,টালি বা খোলা, রিলিফের কাজযুক্ত টালি এবং ছাঁচে বা চাকায় নানান প্রয়োজনীয় জিনিষ ( যেমন তৈজসপত্র,হাতি, ঘোড়া ইত্যাদি) তৈরী।মন্দিরে ব্যবহার করা হয়েছে রিলিফের কাজ যুক্ত টালি।যার প্রশংসা হয়েছে দেশ বিদেশে।
এখানে দেবতাদের কাছে হাতি,ঘোড়া উৎসর্গ ও মানত করার রীতি বহু প্রাচীন। ভাবলে অবাক লাগে, যেখানে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন অভাব সেখানের মানুষজন দেবতাকে হাতি,ঘোড়া মানত করেন কেন? হাতি ঘোড়া রাজা, জমিদার বা তথাকথিত অর্থবান লোকরাই ব্যবহার করতে পারতেন। সাধারণ গরীব মানুষের কাছে তা ছিল নাগালের বাইরে।নিজেদের রাখার ক্ষমতাও ছিল না তবুও তারা দেবতাকে উৎসর্গ করতেন জোড়া বা একক হাতি বা ঘোড়া! নিত্যদিনের খরা দারিদ্র দুঃখ বেদনাকে উপেক্ষা করে এই যে 'মানত' - এর মনটি এল কোথা থেকে? একসময় অরণ্য অধ্যুযিত হওয়ার কারণে এ অঞ্চলে হাতি ছিল প্রচুর। আজো দলমার ' দামাল' রা উৎপাত করে যান। কিন্তু ঘোড়া! রাজা জমিদারদের ঘোড়াশালে থাকত ঘোড়া,হাতিশালে থাকতো হাতি।বাঁকুড়ার " আম আদমি "দের মেজাজটা বোধ হয় রাজা- জমিদারদের থেকে কিছু কম ছিল না।তাই কি এখনো এখানের " থানে থানে " এত টেরাকোটার হাতি ঘোড়া! ঠা ঠা রোদে,গাছের তলায়,ভাঙা খড়ের চালার নীচে "গাদা হয়ে " পড়ে থাকে যে অপরূপ শিল্পকর্ম তার অপার রহস্য এখনো অনাবৃত। হয়তো অদূরেই কোনো গবেষক এই রহস্যের উদ্ঘাটন করবেন। প্রতীক্ষায় থাকলাম তা জানতে।
৩.
টেরাকোটা শিল্পের দুটি ভাগ। একটি অভিজাত অপরটি লোকায়ত।রকমারি মনোহারি বিনোদন দ্রব্য,মাটির পুতুল,পূজার বা গৃহীর ব্যবহারের জন্য যা পাওয়া যায় সেগুলি লোকায়ত টেরাকোটার নমুনা। মন্দিরগাত্রে যে সব কাজ দেখতে পাওয়া যায় সেগুলি অভিজাত টেরাকোটা শিল্পের মধ্যে ধরা হয়।যুক্তিতে শিল্পের এধরণের বিভাজন মেনে নেওয়া যায় না। আসল কারণ তো অর্থনৈতিক। সাধারণ একটি মাটির কলসির বাজার দাম আর ফুলকারি কুজোর দাম এক হতে পারে না। ক্রয় ক্ষমতা, দাম এসব ঠিক করে দেয় ঐ শিল্পটির ক্রেতাকে। এখানকার টেরাকোটা শিল্পীরা সাধারণ ব্যবহার্য জিনিষটিকে দক্ষতা,নিপুণতায় ও শিল্প ভাবনায় এক অনবদ্য রূপ লাভ করেছে। একবার ভাবুন লক্ষীর সচিত্র ঘটগুলির কথা। সবাই হাসেন, কিন্তু মনে করুন একবার, প্রনম্য অভিনেতা অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাসি। চোখ বন্ধ না করলেও উপলব্ধি করা যায় সেই বিশেষ ভঙ্গিমা ও শব্দ
তেমনি এ জেলার টেরাকোটা শিল্পীরা তৈরী করেছেন তাঁদের শিল্প সম্ভার।বিশ্ব পরিক্রমায় পাঁচমুড়ার 'অশ্বমেধের'ঘোড়ার কথা পাঠক আপনারা সকলেই জানেন সকলেই। বাংলার হস্তশিল্পের এর থেকে ভালো প্রতীক এখনো পাওয়া যায়নি।
পাঁচমুড়া ছাড়াওরাজগ্রাম,মুরলু,কেয়াবতী সোনামুখি,রাণীবাঁধ,বিবড়দা,সেঁদড়াতে টেরাকোটার কাজ হয়।একেক জায়গার একেক রকম স্টাইল।শুধু ঘোড়ার নির্মানকৌশলেই কত তারতম্য! রাজগ্রামের ঘোড়া বাস্তব আদলের।কেয়াবতীর ঘোড়ার লম্বা পা ও গলা,পাঁচমুড়ার ঘোড়ার সঙ্গে তার পার্থক্য অনেক।কেয়াবতীর ঘোড়াগুলিকে " আদিম বনবাসী শিল্পীদের অকৃত্রিম গঠন নমুনা" বলে মত প্রকাশ করেছেন শ্রদ্ধেয় রবীন্দ্রনাথ সামন্ত। ( পশ্চিমবঙ্গ, বাঁকুড়া জেলা সংখ্যা,১৪০৯, পৃষ্ঠা ৯৭) সেঁদড়ার ঘোড়া পাঁচমুড়া ঘোড়ার তুলনায় অনেক স্লিম। ওখানের গোল আকারের বোঙা হাতি টেরাকোটা শিল্পের এক আধুনিক রূপ।জেলার বিভিন্ন "থানে- থানে " যে 'একানে' ঘোড়া দেখা যায় সেগুলি স্থানীয় কুমোররা তৈরী করেন।পীরের মাজার,কররস্থান,দরগা,
দেবমন্দির " থান " ( লৌকিক দেবদেবীর স্থান) সর্বত্রই দেখা যায় যে হাতি ঘোড়াগুলি, সেগুলি কুমোরের চাকে তৈরী হয় না। তৈরী হয় আঙুলের টিপসি দিয়ে।
নিতান্ত হতদরিদ্র জীবন টেরাকোটা শিল্পীদের। এঁদের হাতের আঙুলে যতই যাদু থাক পেটের ক্ষিদে কি আর যাদুতে বশ হয়!
ছবি ও ছবি পরিচিতি : বিপ্লব বরাট
:তৃতীয় পর্ব:
১.
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ছাড়াও নানান গ্রামে শহরে অসংখ্য মন্দিরের গায়ে টেরাকোটা শিল্পের ছোঁয়া লক্ষ্য করা যায়।কালের করাল গ্রাস এখনো সব উজাড় করে নিতে পারেনি। সোনামুখির শ্রীধর মন্দির সেরকমই একটি নিদর্শন। একটু যদি সংস্কার করা যেত এগুলির তবে হয়তো আরো অনেকদিন টিকে যেত।প্রশাসনকে জানানো হলেও তারা উদাসীন।সব প্রশাসনই পুরাতত্ব, টেরাকোটা শুনলে কেমন যেন হয়ে যান সব! বাঁকুড়ার মন্দিরগুলি নিয়ে ভালো কাজ করছিলেন ডেভিড ম্যাককাচন। হয়তো কাজই তাঁকে অল্প বয়সে কেড়ে নিল।পাঠক পারলে দেখবেন তাঁর সৃষ্টি(David Mac.Catchion: The Temples of Bankura District,Writers workshop Pub.Cal. 1972). এছাড়াও অমিয় কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত বিখ্যাত দুটি বই -বাঁকুড়ার পুরাকীর্তি, বাঁকুড়ার মন্দির।এগুলিতে বিশদে আলোচনা ও ছবি আছে। কংসাবতী,শিলাবতী, গন্ধেশ্বরী, দ্বারকেশ্বর নদী তীরবর্তী ও অন্যান্য স্থানগুলিতে যে সব মন্দির আছে সেখানে দগ্ধমৃত্তিকার কিছু না কিছু কাজ আছে।রাঢ়ের ইতিহাস, ধর্ম, সমাজ, শিল্প, সংস্কৃতি ক্রমবিকাশের সাক্ষী এগুলি। সোনামুখি ছাড়াও মেটালা গ্রামের ( অমরকানন থেকে পশ্চিমে ছয় কিমি) লক্ষী- নারায়ণ মন্দির,মালিয়াড়া,ঘুটগড়িয়া,কাদাশোল,নড়রা,হদলনারায়ণপুর,রাজগ্রাম,হাড়মাসড়া,পুরন্দরপুর,বাঁকুড়া শহরের পাঠক পাড়া প্রভৃতিস্থানে এখনো দন্ডায়মান মন্দিরগুলি।
২.
বাঁকুড়ায় মন্দির টেরাকোটা ছাড়াও দৈনন্দিন লৌকিক জীবনেও টেরাকোটার বহুল প্রচলন দীর্ঘদিনের।গবেষকদের মতে আজ থেকে প্রায় চল্লিশ হাজার বছর আগে আগে এখানে মানুযের বসবাস শুরু হয়েছিল।আদিম মানুষেরা আদি অষ্ট্রেলিয়দের গোষ্ঠীভুক্ত ' নিষাদ '। বিবর্তনের পথ ধরে এখানকার টেরাকোটা শিল্পেরও বিকাশ হয়েছে ধাপে ধাপে।এগুলিকে ইট,টালি বা খোলা, রিলিফের কাজযুক্ত টালি এবং ছাঁচে বা চাকায় নানান প্রয়োজনীয় জিনিষ ( যেমন তৈজসপত্র,হাতি, ঘোড়া ইত্যাদি) তৈরী।মন্দিরে ব্যবহার করা হয়েছে রিলিফের কাজ যুক্ত টালি।যার প্রশংসা হয়েছে দেশ বিদেশে।
এখানে দেবতাদের কাছে হাতি,ঘোড়া উৎসর্গ ও মানত করার রীতি বহু প্রাচীন। ভাবলে অবাক লাগে, যেখানে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন অভাব সেখানের মানুষজন দেবতাকে হাতি,ঘোড়া মানত করেন কেন? হাতি ঘোড়া রাজা, জমিদার বা তথাকথিত অর্থবান লোকরাই ব্যবহার করতে পারতেন। সাধারণ গরীব মানুষের কাছে তা ছিল নাগালের বাইরে।নিজেদের রাখার ক্ষমতাও ছিল না তবুও তারা দেবতাকে উৎসর্গ করতেন জোড়া বা একক হাতি বা ঘোড়া! নিত্যদিনের খরা দারিদ্র দুঃখ বেদনাকে উপেক্ষা করে এই যে 'মানত' - এর মনটি এল কোথা থেকে? একসময় অরণ্য অধ্যুযিত হওয়ার কারণে এ অঞ্চলে হাতি ছিল প্রচুর। আজো দলমার ' দামাল' রা উৎপাত করে যান। কিন্তু ঘোড়া! রাজা জমিদারদের ঘোড়াশালে থাকত ঘোড়া,হাতিশালে থাকতো হাতি।বাঁকুড়ার " আম আদমি "দের মেজাজটা বোধ হয় রাজা- জমিদারদের থেকে কিছু কম ছিল না।তাই কি এখনো এখানের " থানে থানে " এত টেরাকোটার হাতি ঘোড়া! ঠা ঠা রোদে,গাছের তলায়,ভাঙা খড়ের চালার নীচে "গাদা হয়ে " পড়ে থাকে যে অপরূপ শিল্পকর্ম তার অপার রহস্য এখনো অনাবৃত। হয়তো অদূরেই কোনো গবেষক এই রহস্যের উদ্ঘাটন করবেন। প্রতীক্ষায় থাকলাম তা জানতে।
৩.
টেরাকোটা শিল্পের দুটি ভাগ। একটি অভিজাত অপরটি লোকায়ত।রকমারি মনোহারি বিনোদন দ্রব্য,মাটির পুতুল,পূজার বা গৃহীর ব্যবহারের জন্য যা পাওয়া যায় সেগুলি লোকায়ত টেরাকোটার নমুনা। মন্দিরগাত্রে যে সব কাজ দেখতে পাওয়া যায় সেগুলি অভিজাত টেরাকোটা শিল্পের মধ্যে ধরা হয়।যুক্তিতে শিল্পের এধরণের বিভাজন মেনে নেওয়া যায় না। আসল কারণ তো অর্থনৈতিক। সাধারণ একটি মাটির কলসির বাজার দাম আর ফুলকারি কুজোর দাম এক হতে পারে না। ক্রয় ক্ষমতা, দাম এসব ঠিক করে দেয় ঐ শিল্পটির ক্রেতাকে। এখানকার টেরাকোটা শিল্পীরা সাধারণ ব্যবহার্য জিনিষটিকে দক্ষতা,নিপুণতায় ও শিল্প ভাবনায় এক অনবদ্য রূপ লাভ করেছে। একবার ভাবুন লক্ষীর সচিত্র ঘটগুলির কথা। সবাই হাসেন, কিন্তু মনে করুন একবার, প্রনম্য অভিনেতা অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাসি। চোখ বন্ধ না করলেও উপলব্ধি করা যায় সেই বিশেষ ভঙ্গিমা ও শব্দ
তেমনি এ জেলার টেরাকোটা শিল্পীরা তৈরী করেছেন তাঁদের শিল্প সম্ভার।বিশ্ব পরিক্রমায় পাঁচমুড়ার 'অশ্বমেধের'ঘোড়ার কথা পাঠক আপনারা সকলেই জানেন সকলেই। বাংলার হস্তশিল্পের এর থেকে ভালো প্রতীক এখনো পাওয়া যায়নি।
পাঁচমুড়া ছাড়াওরাজগ্রাম,মুরলু,কেয়াবতী সোনামুখি,রাণীবাঁধ,বিবড়দা,সেঁদড়াতে টেরাকোটার কাজ হয়।একেক জায়গার একেক রকম স্টাইল।শুধু ঘোড়ার নির্মানকৌশলেই কত তারতম্য! রাজগ্রামের ঘোড়া বাস্তব আদলের।কেয়াবতীর ঘোড়ার লম্বা পা ও গলা,পাঁচমুড়ার ঘোড়ার সঙ্গে তার পার্থক্য অনেক।কেয়াবতীর ঘোড়াগুলিকে " আদিম বনবাসী শিল্পীদের অকৃত্রিম গঠন নমুনা" বলে মত প্রকাশ করেছেন শ্রদ্ধেয় রবীন্দ্রনাথ সামন্ত। ( পশ্চিমবঙ্গ, বাঁকুড়া জেলা সংখ্যা,১৪০৯, পৃষ্ঠা ৯৭) সেঁদড়ার ঘোড়া পাঁচমুড়া ঘোড়ার তুলনায় অনেক স্লিম। ওখানের গোল আকারের বোঙা হাতি টেরাকোটা শিল্পের এক আধুনিক রূপ।জেলার বিভিন্ন "থানে- থানে " যে 'একানে' ঘোড়া দেখা যায় সেগুলি স্থানীয় কুমোররা তৈরী করেন।পীরের মাজার,কররস্থান,দরগা,
দেবমন্দির " থান " ( লৌকিক দেবদেবীর স্থান) সর্বত্রই দেখা যায় যে হাতি ঘোড়াগুলি, সেগুলি কুমোরের চাকে তৈরী হয় না। তৈরী হয় আঙুলের টিপসি দিয়ে।
নিতান্ত হতদরিদ্র জীবন টেরাকোটা শিল্পীদের। এঁদের হাতের আঙুলে যতই যাদু থাক পেটের ক্ষিদে কি আর যাদুতে বশ হয়!
ছবি ও ছবি পরিচিতি : বিপ্লব বরাট
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন