বুধবার, ১৪ জুন, ২০১৭

তন্ময় ধর



শিলালেখ

এই জ্যামিতির ভেতর মাংসের কথা প্রথম আমিই বলেছিলাম হাসতে হাসতে তোমার মুখ মুছে গেল মাটি খুঁড়ে গেল একটা পশুর আর্তনাদ আর লাল ধাতব অন্ধকারে জমতে থাকলে তুমি সেই জমা পৃথিবীর খনিজ রঙের মতো নয়
চুঁইয়ে পড়া আমার খিদেয় আবার আর্তনাদ করে উঠল একটি পশুর উজ্জ্বলতা বোবা কামড় থেকে বিচ্যুত ঠোঁটের রঙ, আঙুলের রঙ, শব্দের রঙ, লিঙ্গের রঙ পাথর আঁকড়ে ধরলেই একটি সহজিয়া পশুর গর্ভপাত হবে আশ্চর্য ভ্রূণের শেষ হাসি থেকে অ্যাবসেন্ট হয়ে যাবেন ক্লান্ত পর্যটক
টকজল ছুঁয়ে ফেলে তুমি অর্থ বদলালে রাসায়নিক বিক্রিয়া শুরু হল থেমেও গেল একসময় অপ্রবেশ্য শিলাস্তর থেকে তোমার নাভির লাল অন্ধকারে শুকিয়ে উঠলাম আমি আমার থেমে থাকা আঙুল থেকে তোমার স্নানের সময় পেরিয়ে গেল... 

শিলালেখ
ছটফটে সেই পাথরটায় উপেক্ষার ময়লা অভ্যেসটুকুই আলো; তাকে আমি আত্মহত্যা ভেবে সরিয়ে রাখছি তিরতিরে একটা মাংসের শূন্যতার ভেতরে একা হয়ে গিয়েছি আমি তুমি একটু একটু মৃগশিরার আলো পেরোতে থাকো অস্বাভাবিক নখ আঁকড়ে ধরছে তোমার গুহার আশ্রয়
আগুনের অনেক দেরী এই অশ্বক্লান্ত বিদ্যুতে, দ্যাখো, পাশবিক চুম্বন থেকে খুলে যাচ্ছে রূপোলী আলো, আলো থেকে ছায়া, শস্যের অঙ্কুর কিছু জ্যামিতিক সূত্র এখনই জেনে নেওয়া ভাল নইলে শুকিয়ে ওঠা রক্তচন্দনের আলো থেকে তুমি লাফিয়ে উঠত পারো তেপান্তরে 
খিদে পেয়েছে ভীষণ তেতো হয়ে উঠছে জিভ, সময়, দুধের উথালপাথাল রঙের পুনর্জন্মের দিকে একবারও না তাকিয়ে একটি কবুতরের ছায়াকে ফেরৎ চাইছো তুমি অতিরিক্ত তেল-ঝালে শেষ করে দিচ্ছো রন্ধন ঝাঁঝে বিপন্ন দর্শক ...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন