বুধবার, ১৪ জুন, ২০১৭

অরিজিৎ বাগচী

বাঁশি ওয়ালা
_______________

নগ্নতা যখন আর্নিকার মতো ঠাসা
সমস্ত ঘরে ঘরে
আমি সেই সময় দ্রাঘিমার মুখোমুখি হয়ে দেখেছি, চারিদিকে সবাই কে রুগীর মতো দেখতে লাগছে
মাঝে কেবল একরাশ নীরবতা আর শুধু উষ্ণ নিমন্ত্রণ বইছে বাতাসে,এবেলা ওবেলা এবং কালবেলাতেও একই চলাচল,তাই 
প্রেম করা আমার আর হল না
:
ইতি মধ্যে অনভিজ্ঞ বাচাল হরমোন কয়েকবার
বিষ দেহে ছিটিয়ে পড়েছে সালফিউরিকের মতো
আর কিছু মাতৃভাষা যোগার করে
উপন্যাস লিখে ফেলেছে ভালবাসার ,
সরকার তাতে ঘটা করে আবার প্রাপ্ত বয়স্কদের শিলমোহর দিয়েছে
শহর থেকে ওলি গলি ফুঁসছে খাই খাই উৎসবে
:
আমি হ্যামলিনের বাঁশি ওয়ালা তখন
বার বার আকাশে চোখ রাখি অবাক হয়ে,
দেখি কখনো পূর্ণিমার চাঁদে লাল ঋতুচক্র ধরা পড়ছে,কখনো বা দেখি জোছনায় 
ট্যাবলেটের রসায়নে বেঁচে থাকা কিছু কলম আজও মুক্তি নিয়ে লিখে চলেছে প্রাণপণে,
তারা লিখছে যৌনতা নয়, নিখাদ প্রেমের পাঁচালি মন্ত্র,
:
বুঝলাম শহর শুদ্ধতা চায় মনে মনে, তাই আবার নিজের মার্জিনে ফিরে এলাম সময়ের চাকা ঘুরিয়ে , ফিরে এলাম একাদশ শতাব্দীর চেনা সুরে , ভাঙা গির্জার দেওয়ালে,
ফিরছে ধ্বংস ধ্বনি আঁকতে
:
কোপেলবার্গে তাই আবার কবর দেবো
শয়ে শয়ে বিকৃত ভালবাসার
যারা আজ শুধু মাত্র
অবক্ষয়ের পথে চলছে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন