মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯

ঋষেণ ভট্টাচার্য্য

#মনের_জানলা_ও_স্বপ্ন

#মনের_জানলা_ও_স্বপ্ন



স্বপ্নেরা রঙিন না সাদা কালো? প্রায়ই ভাবি, চোখের সামনে ছবি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করি কিন্তু তা ঝাপসা স্বপ্নের মতোই মিলিয়ে যায় - বুঝতে পারিনা।

তিনটে স্বপ্ন আমি প্রায়ই দেখি৷ বহু বছর ধরে দেখে আসছি। একই স্বপ্ন, আমার মুখস্ত হয়ে গেছে স্বপ্নগুলো, তবু দেখি। কী জানি, কার্য কারণ হয়তো মনোবিদরা বিশ্লেষণ করতে পারবেন।

রাজস্থান বা মধ্যপ্রদেশে কিম্বা দক্ষিণ ভারতের কিছু জায়গায় যেমন বিশাল ধাপে ধাপে সিঁড়ি বাঁধানো চারচৌকো পুকুর দেখা যায় - মানে, চারধার থেকে ধাপ ধাপ সিঁড়ি নেমে গেছে একদম তলা পর্যন্ত, চারদিকই বাঁধানো, চারচৌকো আয়তাকার বা বর্গাকার পুকুর। সিঁড়ির একদম ওপরের ধাপের কোনো এক ধারে একপাশে একটা পাকুড় গাছ। অবশ্য পাকুড় গাছ আমি কখনো দেখিনি। জানিনা পাকুড় গাছ কেমন দেখতে, তবু পেয়ারা গাছের মতো দেখতে ওই গাছকে দেখলেই আমার মনে হয় পাকুড় গাছ।

ফাঁকা মাঠ কিম্বা ফুটিফাটা ন্যাড়া চাষ-জমি... আমি ধু-ধু প্রান্তরে দাঁড়িয়ে আছি... বেশ অনেকটা দূরে ওই পুকুর ধারে পাকুড় গাছ... ঘাঘরা চোলি কিম্বা লং স্কার্ট আর কুর্তি জাতীয় টপ পরে একটি মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে পাকুড় গাছতলায়... ওড়না কিম্বা বড় স্কার্ফে মাথায় ঘোমটা... মেয়েটি তাকিয়ে আছে পুকুরের দিকে... অ্যাতো দূর থেকেও স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি ওর পায়ের কাছে একটা ছোটো ছোটো ফুলের ছাপ দেওয়া রুমাল পড়ে আছে... ওই রুমালটা আমি চিনি... আমি এগিয়ে যাচ্ছি পুকুরের কাছে আর মেয়েটি একধাপ একধাপ করে সিড়ি দিয়ে নামছে... পা কোমর কাঁধ মাথা একটু একটু করে অদৃশ্য হচ্ছে তার...

এতে ভূত প্রেতের কোনো ব্যাপার নেই। আমি সমতলভূমিতে থাকলে কেউ যদি সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামে, আস্তে আস্তে সে আমার চোখে অদৃশ্য হবেই। খুবই স্বাভাবিক।

আমি পুকুর পাড়ে পৌঁছে দেখি গাছ তলায় রুমালটা পড়ে আছে... মেয়েটি জলের কাছাকাছি শেষ ধাপে। গভীর পুকুরে অনেক নীচে জল... রুমালটা আমার বড্ড চেনা... কোথাও যেন দেখেছি... কিছুতেই মনে পড়ে না... আমি নিচু হয়ে রুমালটা কুড়োলাম... বেশ মিষ্টি গন্ধ... মাথা তুলে দেখি মেয়েটি অদৃশ্য... আমার অবাক লাগে... আদিগন্ত বিস্তৃত ফুটিফাটা ধু ধু চাষজমির মাঝে আমি একা... কেউ কোথাও নেই... আমি পাকুড় গাছতলায় বসলাম... মনে হচ্ছে একটু পরেই আবার দেখতে পাবো মেয়েটিকে...

এ স্বপ্ন আমি ক্লাস নাইন-টেন থেকে মাঝে সাঝেই দেখি। এখনো দেখি, প্রায়শই। জানিনা আর কত দিন দেখবো!

আমার দ্বিতীয় স্বপ্নটি নিয়ে এখনো ঘুমের ঘোরে আতঙ্কিত হই আর ঘুম ভাঙ্গলেই হাসি পায়।

আজ মাধ্যমিকের বাংলা পরীক্ষা... প্রশ্নপত্র দেখছি... কী সহজ সমস্ত প্রশ্ন... সবই তো আমার জানা... ভীষণ আনন্দ হচ্ছে... দারুণ নম্বর পাবো... খাতায় রোলনাম্বার টাম্বার লেখা হয়ে গেছে... হঠাৎ ঘরে ঢুকলেন যে স্কুলে পরীক্ষা দিতে গেছি, সেখানকার অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডস্যর... একটানে আমার হাত থেকে খাতা কেড়ে নিয়ে যিনি গার্ড দিচ্ছিলেন তাঁকে বললেন, এই ছেলেটার রোল নম্বর মার্ক করে রাখুন... এ ছেলে মেয়েদের স্কুলে সরস্বতী পুজোর কার্ড দিতে গিয়ে আমার মেয়েকে চোখ মেরেছিলো...  শেষ ঘন্টা পড়ার ঠিক পাঁচ মিনিট আগে একে খাতা দেবেন... পাঁচ মিনিটই লিখুক... দেখি ছোঁড়া কেমন করে পাশ করে... এটাই ওর শাস্তি...
সবাই হুহু করে লিখছে... অনেকে পাতা নিচ্ছে... অনেকে কী সব ভেবে খাতায় কাটাকুটি করে আবার লিখছে... ঘর ভর্তি ছেলের মাঝে আমি প্রশ্নপত্র হাতে হাঁ করে দাঁড়িয়ে আছি... সবাই লেখার মাঝে করুণার দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকাচ্ছে... আমি ফেল করবো... বাংলায় ফেল... আমার দরদর করে ঘাম হচ্ছে....
চূড়ান্ত আতঙ্ক, কিন্তু ঘুম ভাঙ্গলেই হাসি পায়। আজ এতো বছর পরও কেন মাধ্যমিকে ফেল করার ভয়ে স্বপ্ন দেখি, জানিনা!

তৃতীয় যে স্বপ্নটা প্রায়ই দেখি সেটা বড়ই করুণ।
আমার ক্লাস থ্রি কী ফোর... আমি স্কুলে যাচ্ছি... বাড়ি থেকে বেরোলেই রাস্তায় শুয়ে থাকা লাল্টু ছুটে আসে আমার দিকে... আমিও বিস্কিট ছুঁড়ে দিই... আজও ছুঁড়লাম... লাল্টু মাথা ঘুরিয়ে ছুটতেই ধাক্কা খেলো বাসের সাথে। দমাশ করে ধাক্কা খেয়ে ছিটকে পড়লো উল্টো দিকের ফুটে... ওর শরীরটা থর থর করে কাঁপছে আর শুয়ে শুয়েই আমার দিকে তাকিয়ে আছে... আমার বাবা রাস্তার ওপারে ছুটলো... এখনো লাল্টু আমার দিকে তাকিয়ে লেজ নাড়ছে... ও একটু বাদেই মারা যাবে... আমার ভীষণ কান্না পাচ্ছে... আমার বাবা বাড়ির ভেতর ছুটলো কাকাকে ডাকতে...  লাল্টুর জন্য ডাক্তার ডাকতে হবে...
সন্ধ্যে বেলা লাল্টুর শরীরটা ফুলে বেঢপ হয়ে গেছে... কিন্তু বাসের ধাক্কা খেয়েও একটুও রক্ত বেরোয়নি লাল্টুর... বড়রা সবাই বলছে হ্যামারেজ... ইন্টার্নাল হ্যামারেজ... আমি ভীষণ কাঁদছি আর আমার ঠাম্মা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে...

যেদিন এ স্বপ্নটা দেখি, সারাটা দিন মনটা বিষণ্ণ হয়ে থাকে...

এছাড়াও কতো স্বপ্ন দেখি, কিছু ভুলে যাই, কিছু মনে পড়ে ঝাপসা ছবির মতো কোনো স্বপ্ন আবার মনে থাকে হুবহু। তেমনই এক স্বপ্ন দেখে একটি গল্প লিখেছিলাম একবার।
কিন্তু কোনো স্বপ্নই আর দ্বিতীয়বার দেখিনি কিম্বা দেখলেও মনে থাকেনা সেভাবে। কেবল এই তিনটি স্বপ্ন ছাড়া।

অবশ্য শুনেছি মানুষের মন যেমন কোনো কিছু চিন্তা না করে একদম ফাঁকা থাকতে পারেনা, তেমন কোনো রাতই নাকি বিনা স্বপ্নে কাটেনা। অবচেতন মনের চিন্তারা স্বপ্নে ফিরে আসবেই। একই স্বপ্ন কি সত্যিই আমরা দেখি? নাকি তাতে সামান্য হলেও পরিবর্তন থাকে? জানিনা, তবে সত্যিই অবাক হই একেকদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে!

ধন্যবাদ জানাই মেঘাকে (Megha Shree), এমন সুন্দর একটি বিষয় দেওয়ার জন্য।

স্বপ্নেরা রঙিন না সাদা কালো? প্রায়ই ভাবি, চোখের সামনে ছবি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করি কিন্তু তা ঝাপসা স্বপ্নের মতোই মিলিয়ে যায় - বুঝতে পারিনা।

তিনটে স্বপ্ন আমি প্রায়ই দেখি৷ বহু বছর ধরে দেখে আসছি। একই স্বপ্ন, আমার মুখস্ত হয়ে গেছে স্বপ্নগুলো, তবু দেখি। কী জানি, কার্য কারণ হয়তো মনোবিদরা বিশ্লেষণ করতে পারবেন।

রাজস্থান বা মধ্যপ্রদেশে কিম্বা দক্ষিণ ভারতের কিছু জায়গায় যেমন বিশাল ধাপে ধাপে সিঁড়ি বাঁধানো চারচৌকো পুকুর দেখা যায় - মানে, চারধার থেকে ধাপ ধাপ সিঁড়ি নেমে গেছে একদম তলা পর্যন্ত, চারদিকই বাঁধানো, চারচৌকো আয়তাকার বা বর্গাকার পুকুর। সিঁড়ির একদম ওপরের ধাপের কোনো এক ধারে একপাশে একটা পাকুড় গাছ। অবশ্য পাকুড় গাছ আমি কখনো দেখিনি। জানিনা পাকুড় গাছ কেমন দেখতে, তবু পেয়ারা গাছের মতো দেখতে ওই গাছকে দেখলেই আমার মনে হয় পাকুড় গাছ।

ফাঁকা মাঠ কিম্বা ফুটিফাটা ন্যাড়া চাষ-জমি... আমি ধু-ধু প্রান্তরে দাঁড়িয়ে আছি... বেশ অনেকটা দূরে ওই পুকুর ধারে পাকুড় গাছ... ঘাঘরা চোলি কিম্বা লং স্কার্ট আর কুর্তি জাতীয় টপ পরে একটি মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে পাকুড় গাছতলায়... ওড়না কিম্বা বড় স্কার্ফে মাথায় ঘোমটা... মেয়েটি তাকিয়ে আছে পুকুরের দিকে... অ্যাতো দূর থেকেও স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি ওর পায়ের কাছে একটা ছোটো ছোটো ফুলের ছাপ দেওয়া রুমাল পড়ে আছে... ওই রুমালটা আমি চিনি... আমি এগিয়ে যাচ্ছি পুকুরের কাছে আর মেয়েটি একধাপ একধাপ করে সিড়ি দিয়ে নামছে... পা কোমর কাঁধ মাথা একটু একটু করে অদৃশ্য হচ্ছে তার...

এতে ভূত প্রেতের কোনো ব্যাপার নেই। আমি সমতলভূমিতে থাকলে কেউ যদি সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামে, আস্তে আস্তে সে আমার চোখে অদৃশ্য হবেই। খুবই স্বাভাবিক।

আমি পুকুর পাড়ে পৌঁছে দেখি গাছ তলায় রুমালটা পড়ে আছে... মেয়েটি জলের কাছাকাছি শেষ ধাপে। গভীর পুকুরে অনেক নীচে জল... রুমালটা আমার বড্ড চেনা... কোথাও যেন দেখেছি... কিছুতেই মনে পড়ে না... আমি নিচু হয়ে রুমালটা কুড়োলাম... বেশ মিষ্টি গন্ধ... মাথা তুলে দেখি মেয়েটি অদৃশ্য... আমার অবাক লাগে... আদিগন্ত বিস্তৃত ফুটিফাটা ধু ধু চাষজমির মাঝে আমি একা... কেউ কোথাও নেই... আমি পাকুড় গাছতলায় বসলাম... মনে হচ্ছে একটু পরেই আবার দেখতে পাবো মেয়েটিকে...

এ স্বপ্ন আমি ক্লাস নাইন-টেন থেকে মাঝে সাঝেই দেখি। এখনো দেখি, প্রায়শই। জানিনা আর কত দিন দেখবো!

আমার দ্বিতীয় স্বপ্নটি নিয়ে এখনো ঘুমের ঘোরে আতঙ্কিত হই আর ঘুম ভাঙ্গলেই হাসি পায়।

আজ মাধ্যমিকের বাংলা পরীক্ষা... প্রশ্নপত্র দেখছি... কী সহজ সমস্ত প্রশ্ন... সবই তো আমার জানা... ভীষণ আনন্দ হচ্ছে... দারুণ নম্বর পাবো... খাতায় রোলনাম্বার টাম্বার লেখা হয়ে গেছে... হঠাৎ ঘরে ঢুকলেন যে স্কুলে পরীক্ষা দিতে গেছি, সেখানকার অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডস্যর... একটানে আমার হাত থেকে খাতা কেড়ে নিয়ে যিনি গার্ড দিচ্ছিলেন তাঁকে বললেন, এই ছেলেটার রোল নম্বর মার্ক করে রাখুন... এ ছেলে মেয়েদের স্কুলে সরস্বতী পুজোর কার্ড দিতে গিয়ে আমার মেয়েকে চোখ মেরেছিলো...  শেষ ঘন্টা পড়ার ঠিক পাঁচ মিনিট আগে একে খাতা দেবেন... পাঁচ মিনিটই লিখুক... দেখি ছোঁড়া কেমন করে পাশ করে... এটাই ওর শাস্তি...
সবাই হুহু করে লিখছে... অনেকে পাতা নিচ্ছে... অনেকে কী সব ভেবে খাতায় কাটাকুটি করে আবার লিখছে... ঘর ভর্তি ছেলের মাঝে আমি প্রশ্নপত্র হাতে হাঁ করে দাঁড়িয়ে আছি... সবাই লেখার মাঝে করুণার দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকাচ্ছে... আমি ফেল করবো... বাংলায় ফেল... আমার দরদর করে ঘাম হচ্ছে....
চূড়ান্ত আতঙ্ক, কিন্তু ঘুম ভাঙ্গলেই হাসি পায়। আজ এতো বছর পরও কেন মাধ্যমিকে ফেল করার ভয়ে স্বপ্ন দেখি, জানিনা!

তৃতীয় যে স্বপ্নটা প্রায়ই দেখি সেটা বড়ই করুণ।
আমার ক্লাস থ্রি কী ফোর... আমি স্কুলে যাচ্ছি... বাড়ি থেকে বেরোলেই রাস্তায় শুয়ে থাকা লাল্টু ছুটে আসে আমার দিকে... আমিও বিস্কিট ছুঁড়ে দিই... আজও ছুঁড়লাম... লাল্টু মাথা ঘুরিয়ে ছুটতেই ধাক্কা খেলো বাসের সাথে। দমাশ করে ধাক্কা খেয়ে ছিটকে পড়লো উল্টো দিকের ফুটে... ওর শরীরটা থর থর করে কাঁপছে আর শুয়ে শুয়েই আমার দিকে তাকিয়ে আছে... আমার বাবা রাস্তার ওপারে ছুটলো... এখনো লাল্টু আমার দিকে তাকিয়ে লেজ নাড়ছে... ও একটু বাদেই মারা যাবে... আমার ভীষণ কান্না পাচ্ছে... আমার বাবা বাড়ির ভেতর ছুটলো কাকাকে ডাকতে...  লাল্টুর জন্য ডাক্তার ডাকতে হবে...
সন্ধ্যে বেলা লাল্টুর শরীরটা ফুলে বেঢপ হয়ে গেছে... কিন্তু বাসের ধাক্কা খেয়েও একটুও রক্ত বেরোয়নি লাল্টুর... বড়রা সবাই বলছে হ্যামারেজ... ইন্টার্নাল হ্যামারেজ... আমি ভীষণ কাঁদছি আর আমার ঠাম্মা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে...

যেদিন এ স্বপ্নটা দেখি, সারাটা দিন মনটা বিষণ্ণ হয়ে থাকে...

এছাড়াও কতো স্বপ্ন দেখি, কিছু ভুলে যাই, কিছু মনে পড়ে ঝাপসা ছবির মতো কোনো স্বপ্ন আবার মনে থাকে হুবহু। তেমনই এক স্বপ্ন দেখে একটি গল্প লিখেছিলাম একবার।
কিন্তু কোনো স্বপ্নই আর দ্বিতীয়বার দেখিনি কিম্বা দেখলেও মনে থাকেনা সেভাবে। কেবল এই তিনটি স্বপ্ন ছাড়া।

অবশ্য শুনেছি মানুষের মন যেমন কোনো কিছু চিন্তা না করে একদম ফাঁকা থাকতে পারেনা, তেমন কোনো রাতই নাকি বিনা স্বপ্নে কাটেনা। অবচেতন মনের চিন্তারা স্বপ্নে ফিরে আসবেই। একই স্বপ্ন কি সত্যিই আমরা দেখি? নাকি তাতে সামান্য হলেও পরিবর্তন থাকে? জানিনা, তবে সত্যিই অবাক হই একেকদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে!

ধন্যবাদ জানাই মেঘাকে (Megha Shree), এমন সুন্দর একটি বিষয় দেওয়ার জন্য।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন