প্রথম কবিতা
বীজপত্র //
তুমি শিখিয়ে দিয়েছিলে কিভাবে পৌষের শীতেও হলুদ উরুর স্পর্শ থেকে দূরে যাওয়া যায়, মুছে ফেলা যায় চুম্বন চিহ্ন, অভিযোগের বীজপত্র ইতস্ততঃ এলোমেলো ছড়ানো রয়েছে ইচ্ছের বাগানে, সেখানে চুলে বিলি কেটে দেয় কিন্নরপুরুষ, প্রিয়তম দাগ যতটা গভীরে ছিল তা মিশে গেছে শীর্ণ শরীরে,বেঁচে থাকার দায় কিছুতো ছিল যার জন্য ষড়ঋতু জুড়ে এতো আয়োজন।
দ্বিতীয় কবিতা
উত্তরে হাওয়া //শর্মিলা ঘোষ
গমের দানার রঙে বেদনার রঙ সেজে উঠছে শীতের উৎসবে মাতবে বলে, কোনো শহুরে উত্তরের হাওয়া প্রেয়সীর শরীরে লেপটে থাকে পশমের মতো,সন্ধের আলো শার্সির রঙিন কাঁচে স্বপ্ন বোনে, উলকাঁটা জীবনে একঘর সোজা একঘর উল্টোর ফাঁদে দিনলিপি লেখা হয় নীল অক্ষরে,অ্যালেন পার্কের ভিড় ঠেলে দৌড়ে আসছে একদল ভিখিরি,একদল অর্ধ উলঙ্গ শিশু, ওরাই বাস্তব এখন চাঁদের কপালে ;
তৃতীয় কবিতা
নবান্ন //শর্মিলা ঘোষ
কতটা ক্লান্তিকর এবারের নবান্ন উৎসব, মেঠো ইঁদুরের বুক চিরে নেমে আসে ধূসর বেদনা, অন্নদাতার রক্তে সবুজ ঘাসে আসে অলক্ত রঙ, এমনি করে নবান্নের বীজ বোনে যারা বুকের ভিতর ,তাদের অবহেলার জীবন শুকনো পাতার মতো ফিকে,
কালশিটৈর দাগের মতো কালো তাদের ত্বক, ফাটা তাদের গোড়ালি অথবা ঠোঁট,
সমাজতন্ত্রের অলীখ স্বপ্ন চাষীর ঘরে বাসা বাঁধে, আর বিষের বোঝা নিয়ে গঙ্গার বুকে পলি জমে অবিরাম।
Copyright শর্মিলা ঘোষ
19/12/19
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন