মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯

মেঘাশ্রী ব্যানার্জী

ঠিকানা

তোর ঠিকানা এখন মনে নেই
অণু পল সঙ্গে ছিলাম তোর,
বেলাশেষে ছুটির টিকিয় হাতে
অস্ত পানে ঝুঁকে ছিলিস তুই।।

ফিরে দেখার সময় কোথায় তোর?
অপেক্ষাটা আমার ভাগেই জমে
তুই তখন গোলক পারের দেশে
জাদু ছোঁওয়ায় জাগাস নতুন ভোর!

ওই পারেতে আছে আমার ঘর
যেথায় তোর নিত্য যাতায়াত;
নাড়ি ছেঁড়ার যন্ত্রণা তোর নেই
দুই আকাশেই বিলাস রবিকর।

ভারসাম্য

হাতে একটা লাঠি নিয়ে দড়ির উপর ছোট্ট ছোট্ট পা রেখে ব্যালান্স করে এগিয়ে চলে যে মেয়েটা তার অভ্যাস হয়ে গেছে ভারসাম্য।
সে জানে পদচ্যুতির খেসারতের চেয়ে অনেক দামি মোটা চালের গরম ভাত।

বম্ব স্কোয়াডের যে কর্মচারী সঠিক তারটা কেটে আজ নিশ্চিন্ত চওড়া হাসিতে ঢাকা দেয় আশঙ্কা  --
সে জানে আগামী কালের বিস্ফোরকে হয়তো তার মৃত্যুবাণ লুকিয়ে।

কে.সি. নাগের তেল মাখানো বাঁশের খুঁটিতে নিয়ত ওঠানামা আমার। পাটিগণিতের সূত্রে সন্তোষজনক উত্তর মিললে লাঠির শীর্ষে বাঁদরের পৌঁছনো শক্ত নয়।
আমি জানি আসলে মঞ্জিল অধরা!

আলো-আঁধার

ছায়াপাতে আলোর রূপে লাগে চাঁদের কলঙ্ক।
কেউ কি ভাবে ছায়ার উৎস আসলে আলোই?
পতঙ্গরা যুগে যুগে পুড়েছে আগুনের মুগ্ধতায়
তবু গনগনে সে আলোক শিখার ঔদ্ধত্যের জয় জয়কার।
প্রদীপের নিচের অন্ধকার আর আগুন মরা ছাই দুইই কলুষিত ভস্ম।
অন্ধকারের এই কলুষটুকুই আমার থাক


1 টি মন্তব্য:

  1. অসাধারণ। আগামী বছর এই কলুষ মুছে দিয়ে যাক তার রৌদ্রোজ্জ্বল হাসিতে এটাই কামনা করি।

    উত্তরমুছুন