মেকলোনি
একটি ছেলে
মেঘেদের ভেতর গলি দিয়ে
খবরের কাগজ নিয়ে ছোটে
একটি মেয়ে
বুকে তার ওড়না খেলা করে
চুলে তার রজনীগন্ধা ফোটে
একটি ছেলে
হাওয়াতে স্তব্ধ রাখে গতি
আকাশে উড়ায় প্রজাপতি
একটি মেয়ে
কপালে সূর্য-আলো জ্বালায়
দুচোখে রঙীন স্বপ্ন বানায়
রেড মুন
সূর্যাস্তের শেষ আলোটাই সঙ্গী তখন ।
পাহাড়ের বাঁ পাশের কাঁধ জড়িয়ে
আমি যখন মুসৌরি'র ঘন জঙ্গল ভেদ করে
ব্যোমকেশ চরিত্রে পৌঁছালাম,
দেখি, তোমার শরীরে কলঙ্কের
শেষ পেয়ালার চুমুক শেষ ।
তোমার লাল পোশাকি ঠোঁটে
ঠুমরির বিনয়ী মেজাজ নেই আর ...
আমার মধ্যবিত্ত আঙুলের ফাঁকে
হাই-ক্লাসিক সিগারেট,
মুখ থেকে বেরিয়ে আসে অভিজাত ধোঁয়া ---
এবং চাদর মোড়ানো কন্ঠের ভিতর-পথ বেয়ে
বিদেশী ওয়াইনের নিম্নগামী মিছিল বিস্মিত তখন ।
মোমের মৃদু আলোতে সুসজ্জিত
সুগন্ধময় ছায়ার বৃত্তে যে মানসীকে
জন্ম দিয়েছিলে প্রিয়া,
তাকে আমি আমার আকাশে
'রেড মুন' নামে চিহ্নিত করলাম ।
এখন আর খাদের ধারে দাঁড়াতে একা ভয় লাগে না ।
চিঠি
তোমার জন্য এমন একটা চিঠি লিখব
যার ইতি থাকবে না কোনও দিন ।
লেখাতে শ্যামল শস্যের দেশ উঠে আসবে ।
কৃষকের হাতের লাঙল, গরুর গাড়ি,
মেয়েদের সুতোর কাজ, উনুনের ধোঁয়া উঠে আসবে ।
সন্ধ্যারতি, শাঁখের আওয়াজ, তেলের প্রদীপে পড়তে বসা কচিকাঁচাদের শব্দ উঠে আসবে ।
আম চুরি, যাত্রার নাটক, কাশফুল, পাখির ডাক
আর ফুটবল খেলার কথা ফিরে আসবে ।
আজকাল এমনও মনে হয় সত্যজিৎ রায়ের ক্যামেরাটা
তোমার দিকেই ঘোরানো আছে ---
আর আমি পর্দার পিছন থেকে এখন
সাদা-কালো ছবিগুলো দেখছি ।
ভাবছি, সংক্ষেপে কি লিখব!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন