মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯

তপন কুমার বসু


আদি থেকে মধ্যযুগ বাংলা ভাষার রূপান্তর ---
 বিদ্যাপতি থেকে রবীন্দ্রনাথ।

বাংলা ভাষার আদি বলতে গেলে অনেক পূর্ব কথন এসে যায়। সে সব আলোচোনায় না গিয়ে বরং দেখি সংক্ষেপে এর উৎপত্তি।
     সংস্কৃত ভাষা লোকের মুখে মুখে রূপান্তরিত হয়ে প্রাকৃত ভাষায় পরিণত হয়। এই প্রাকৃত ভাষা ভেঙ্গে আবার বিভিন্ন আধুনিক ভাষা-যেমন বাংলা, আসামী, উড়িয়া, মৈথিলি, হিন্দী ইত্যাদি উৎপন্ন হয়েছে। আধুনিক ভাষায় পরিণত হওয়ার ঠিক আগে প্রাকৃতের যে রূপ ছিল তাকে বলা হয় অপভ্রংশ। 'সৌরশ্রেণী' ও 'মাগধী' এই দুই শাখায় প্রাকৃত ভাষা বিভক্ত ছিল। আর এই মাগধী প্রাকৃত অপভ্রংশ থেকেই বাংলা ভাষার জন্ম খ্রিষ্টীয় দশম শতাব্দী মতভেদে তারও কিছু আগে।
মোটামুটিভাবে বাংলা ভাষার ইতিহাসকে তিন পর্বে ভাগ করা যায় :-
১। প্রাচীন যুগ বা প্রাচীন বাংলা-- চর্যাপদ, ভক্তিমূলক গান এই সময়ের নিদর্শন।
২। মধ্যযুগ (১২০০ --১৮০০ খ্রিষ্টাব্দ)--এই সময়কার গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন চন্ডীদাসের 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন', কৃষ্ণদাস কবিরাজ রচিত "চৈতন্যচরিতামৃত", বিদ্যাপতি পদাবলি ইত্যাদি।
৩। আধুনিক যুগ (১৮০০ খ্রিষ্টাব্দের পর থেকে বর্তমান) -- আধুনিক যুগের দুটি ভাগ। আর একটি হল যুগসন্ধিক্ষণ (১৭৬১ -- ১৮৬০)

   প্রাচীন যুগের আদি ও একমাত্র নিদর্শন-'চর্যাপদ'
মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপাল দরবারের গ্ৰন্থাগার ঘেঁটে এই পুঁথি আবিষ্কার করেন। চর্যাপদ হচ্ছে গান ও কবিতার সংকলন যাতে আছে বৌদ্ধ সহজিয়া ধর্মের সাধনতত্ত্ব। চর্যাপদের ভাষা অবিমিশ্র বাংলা নয়। চর্যাপদের ভাষার নাম সন্ধ্যাভাষা। উদাহরণস্বরূপ অতি পরিচিত শবরপদের নরনারীর প্রেমের এক অপূর্ব চিত্রণ
কটি লাইন :-
উঁচা উঁচা পাবত তঁহি বসই সবরী বালী।
মোরঙ্গী পীচ্ছ পরহিণ সবরী গীবত গুঞ্জরী মালী।।
উমত সবরো পাগল শবরো মা কর গুলী গুহাডা তোহৌরী।
ণিঅ ঘরনি ণামে সহজ সুন্দারী।।
ণাণা তরুবর মৌলিল রে  গঅণত লাগেলি ডালী।
একেলী সবরী এ বণ হিগুই কর্ণ কুন্ডলবজ্রধারী।।
পদ ২৮,অর্থাৎ- উঁচু পর্বতে শবরী বালিকা বাস করে। তার মাথায় ময়ূরপুচ্ছ, গলায় গুঞ্জমালিকা।
নানা তরু মুকুলিত হলো। তাদের শাখা-প্রশাখা আকাশে বিস্তৃত হলো। শবর - শবরীর প্রেমে পাগল হলো। কামনার রঙে তাদের হৃদয় রঙিন ও উদ্দাম। শয্যা পাতা হলো। শবর-শবরী প্রেমাবেশে রাত্রিযাপন করলো।
     চর্যাপদের পরে পাওয়া যায় শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের ভাষা। চর্যাপদ থেকে শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের ভাষায় যেতে আরো কিছু স্তর অতিক্রম করতে হয়েছে। কিন্তু সে ভাষার কোন নিদর্শন হাতে পাওয়া যায় না। চর্যাপদের ভাষা হচ্ছে প্রাচীন বাংলা ভাষা আর শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের ভাষা হচ্ছে আদি মধ্যযুগের ভাষা।
  বাংলা ভাষায় মধ্যযুগের সময়কাল ১২০০ -১৮০০ খ্রিষ্টাব্দ। দ্বাদশ ও ত্রয়োদশ শতাব্দীতে তুর্কী আক্রমণ শুরু হয়। বাঙালির চিন্তা ও সাহিত্যচর্চায় বিরাট ধাক্কা লাগে। দেশে শান্তি নেই।সাহিত্যচর্চার প্রশ্নই নেই। ফলে দুই শতাব্দীতে কোন বাংলা কাব্যের সন্ধান পাওয়া যায় না।
     চতুর্দশ শতাব্দী থেকে রাজকর্মচারীদের সহায়তায় পুনরায় বিদ্যা ও সাহিত্য চর্চা শুরু হয়। এ সময়ের বাংলা ভাষার নিদর্শন পাওয়া যায় মালাধার বসুর 'শ্রীকৃষ্ণবিজয়', কৃত্তিবাসের 'রামায়ণ পাঁচালী', কবীন্দ্র-পরমেশ্বর শ্রীকর নন্দীর 'মহাভারত পাঁচালী', বিপ্রদাস পিপলাই-বিজয় গুপ্তের 'মনসামঙ্গল', মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর 'চন্ডীমঙ্গল', ভারতচন্দ্রের 'অন্নদামঙ্গল' প্রভৃতি কাব্যে। 'মনসামঙ্গল' ছাড়া এসব কাব্যে পশ্চিমবঙ্গ-বিহারের বিভিন্ন অঞ্চলের উপভাষা ব্যবহৃত হয়েছে। ব্যবহৃত হয়েছে অনেক সংস্কৃত শব্দ।
   'মনসামঙ্গল' কাব্যে পূর্ববাংলার আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহারের প্রবণতা বিশেষ ভাবে লক্ষণীয়। কারণ 'মনসামঙ্গল' প্রধানত পূর্ববঙ্গে রচিত হয়েছে।
     চৈতন্যদেবের আবির্ভাবের পর মধ্যযুগে প্রচলিত ভাষায় ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়। বৈষ্ণব ও অনুবাদ সাহিত্যে প্রচুর তৎসম শব্দ ব্যবহৃত হতে থাকে। বৈষ্ণব পদাবলিতে বিদ্যাপতি ও গোবিন্দদাসের ভাষায় বাংলার পাশাপাশি মৈথিলি ভাষা স্থান পায়।
  মধ্যযুগে দুটো বিরামচিহ্ন ছিল। বিজোড় সংখ্যক লাইনের পর এক দাড়ি আর জোড় সংখ্যক লাইনের পর দুই দাড়ি।
    অন্যদিকে ষোড়শ শতাব্দী থেকে মুসলিম কবিদের রোমান্সমূলক প্রণয়কাব্যে প্রচুর পরিমাণ আরবি-ফারসি শব্দ ব্যবহৃত হয়ে বাংলা ভাষার ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা সঞ্চারিত হয়।শাহ মুহম্মদ সমীর,আলাওল, মুহম্মদ কবির, প্রমুখ কবি এক্ষেত্রে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেন। ভারতচন্দ্র রায় গুণাকরও তার কাব্যে প্রচুর সংখ্যক আরবি-ফারসি শব্দ ব্যবহার করে বাংলা ভাষার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
     ১৭৬০ সালে ভারতচন্দ্র মারা যাবার পর মধ্যযুগের সমাপ্তি হয়। কারণ মঙ্গলকাব্যের চারশ বছরের কাব্যধারার সমাপ্তি। কিন্তু এই কারণের সাথে আরও একটা কারণ জড়িত। রাজনৈতিকভাবে এই এলাকার পটভূমি পরিবর্তন হতে থাকে।১৭৫৭ সালে পলাশির যুদ্ধে সিরাজউদ্দৌলা পরাজিত হওয়ার মধ্য দিয়ে ইংরেজ তথা বৃটিশদের শাসন বলবৎ হয়। তখন যে সাহিত্যের আবির্ভাব হয় যা আধুনিক সাহিত্য ধারার প্রবর্তন করার অন্যতম কারণ।
    যুগসন্ধিক্ষণ - (১৭৬১-১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দ) - যুগ সন্ধিক্ষণ মানে দুই যুগের মিলন। এটি এমন একটি যুগ যে যুগে মধ্য এবং আধুনিক যুগের মিশ্র বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়।
যুগসন্ধিক্ষণের কবি : ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত।
   উনিশ শতকে বাংলা ভাষা পদ্য ও গদ্য এই দুই ধারায় বিকশিত হয়েছে। ঔপনিবেশিক শক্তি নিজেদের প্রয়োজনে কাজের গদ্য সৃষ্টিতে সহযোগ দিয়েছিল। ক্রমেই কাজের গদ্য থেকে জন্ম নিল বাংলা গদ্য ভাষা। ঔপনিবেশিক শাসন আমলে বাংলা ভাষায় ঢুকে পড়েছে ইংরেজি, ফরাসি, পর্তুগীজ, ওলন্দাজ প্রভৃতি ভাষার অনেক শব্দ। চিঠিপত্র, দলিল-দস্তাবেজের পরিধি অতিক্রম করে ক্রমেই এসব ভাষা সাধারণ মানুষের কাছাকাছি চলে আসে। উনিশ-বিশ শতকে বাংলা ভাষা নানা মাত্রিকতায় বিকশিত হয়েছে। মধুসূদনের হাতে বাংলাভাষা পেয়েছে পেশির লাবণ্য। রবীন্দ্রনাথ তাঁকে করে তুলেছেন মানচিত্রের সমুদয় ভাবের প্রকাশক্ষম। ধরণীর রূপ রস যেন তাঁর চোখে নতুন মায়া বিস্তার করেছে। কাব্য, ছোট গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, চিঠিপত্র প্রতিটিক্ষেত্রে তিনি সাহিত্যসৃষ্টিতে বিস্ময়াবহ বিচিত্র প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গেছেন। রবীন্দ্রনাথের জীবন সাধনা তাঁর সৃষ্ট সাহিত্যে চিরন্তন শিল্পরূপ গ্ৰহণ করেছে। আর তাঁর গানে সুরে তাঁর রসসিদ্ধি প্রকৃতির ঋতুচক্রের বিচিত্র সৌন্দর্যের সঙ্গে এক হয়ে গিয়ে দুর্লভ ভান্ডার সঞ্চিত করে রেখেছে।
কবির কথায়--।                                                 'গানের ভিত্তর দিয়ে যখন দেখি ভুবনখানি,
তখন তারে জানি আমি তখন তারে চিনি।'

গদ্য ভাষার ক্ষেত্রে প্রথমেই স্মরণে আসে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কথা। অবশ্য তার আগে উইলিয়াম কেরি, রামরাম বসু, ম‌ত্যূঞ্জয় বিদ্যালয় কাম বা ভবাণীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাও চলে আসে।
   তবে বাংলা ভাষাকে প্রথম সুশৃঙ্খল ও শিল্পিত করে তোলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।। বাংলা গদ্যে বিরাম চিহ্নের সুষ্ঠু ব্যবহার ও বিষয়ানুগ ভাষা প্রয়োগ বিদ্যাসাগরের অক্ষয় কীর্তি। এরপর বঙ্কিমচন্দ্র, মোশারফ হোসেন, রবীন্দ্রনাথ, প্রমথ চৌধুরীর শিল্পিত হাত বাংলা গদ্য ভাষাকে নিয়ে গেছে শিল্পের সিদ্ধিচূড়ায়।
      ভাষা নিয়ত পরিবর্তনশীল। পরিবর্তন-প্রক্রিয়ার পেছনে থাকে নানা ঘটনা, নানা অনুসঙ্গ।

যথাসম্ভব পরম্পরা মেনে কিছু নমুনা কাব্য ও গদ্য রীতির রূপান্তর নীচে দেওয়া হল :-

প্রাচীন বা আদি যুগ : চর্যাপদ- বৌদ্ধভাষার নমুনা-
কাআ তরুবর পঞ্চ বি ডাল।
চঞ্চল চীএ পইবো কাল।।
মানে-(দেহরূপ) বৃক্ষের পাঁচটি শাখা। চঞ্চল চিত্তে কাল প্রবিষ্ট হইল।
মধ্যযুগ :(কাব্য)
বিদ্যাপতি পদাবলী - নয়ন বয়ন দুই উপমা দেল।
                                এক কমল দুই খঞ্জন খেল।।
চন্ডীদাস পদাবলী- পূর্বরাগ:
            রাধার কি হৈল অন্তরে ব্যাথা।
            বসিয়া বিরলে    থাকয়ে একলে
                   না শুনে কাহারো কথা।।
বিজয় গুপ্ত-মনসামঙ্গল :
আইলা মনসা দেবী না করি বিচার
উনকোটি নাগ লইয়া দিলা পাটায়ার।।
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী- চন্ডীমঙ্গল :
ধীরে ধীরে কহে রামা যত দুঃখ-বাণী।
ভাঙ্গা কুঁড়েঘর, তালপাতার ছাউনি।।
ভারতচন্দ্র রায় - অন্নদামঙ্গল :
বুড়াটি কহেন ব্যাস তুমি ত পন্ডিত।
কিঞ্চিৎ জিজ্ঞাসা করি কহিবে উচিত।।
সৈয়দ আলাওল - ঈশ্বর স্তোত্র :
প্রথমে প্রণাম করি এক করতার।
যেই প্রভু জীব-দানে স্থাপিল সংসার।।
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত (যুগসন্ধিক্ষণ)
বন হতে এল এক টিয়ে মনোহর।
সোনার টোপর শোভে মাথার উপর।।

আধুনিক যুগ -- মধুসূদন দত্ত-চতুর্দশ পদাবলী
যশ : লিখিনু কি নাম মোর বিফল যতনে
       বালিতে, রে কাল, তোর সাগরের তীরে?
বিহারিলাল চক্রবর্তী - সমুদ্র দর্শন
একি এ প্রকান্ড কান্ড সম্মুখে আমার।
অসীম আকাশ প্রায় নীল জল রাশি!
নবীন চন্দ্র সেন - কীর্তিনাশা
সকলি কি স্বপ্ন! বল' ছিল কি এখানে
অভ্রভেদি সেই একবিংশতি রতন?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর : বধূ
"কেহ বা দেখে মুখ কেহ বা দেহ,
কেহ বা ভাল বলে, বলে না কেহ।
ফুলের মালাগাছি,  বিকাতে আসিয়াছি
পরখ করে সবে, করে না স্নেহ'।।

আধুনিক যুগ - গদ্য রীতি
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর - শকুন্তলা
" ..... মহর্ষি শোকাকুল হইয়া মনে মনে কহিতে লাগিলেন, অদ্য শকুন্তলা যাইবেক বলিয়া আমার মন উৎকন্ঠিত হইতেছে; ..আমি বনবাসী, স্নেহবশত আমারও ঈদৃশ বৈক্লব্য উপস্থিত হইতেছে; না জানি সংসারীরা এমন অবস্থায় কি দুঃসহ ক্লেশ ভোগ করিয়া থাকে, বুঝিলাম, স্নেহ অতি বিষয় বস্তু। ..."
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় - বিড়াল
 "........ দেখ, আমি তোর বটে, কিন্তু আমি সাধ করিয়া চোর হইয়াছি ? খাইতে পাইলে কে তোর হয় ? দেখ যাঁহারা বড় বড় সাধু, চোরের নামে শিহরিয়া উঠেন, তাঁহারা অনেকে চোর অপেক্ষাও অধার্মিক। ..."
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর - ক্ষুধিত পাষাণ
"... প্রায় আড়াই শত বৎসর পূর্বে দ্বিতীয় শা-মামুদ ভোগবিলাসের জন্য প্রাসাদটি এই নির্জন স্থানে নির্মাণ করিয়াছিলেন। তখন ইহাতে স্নানশালার ফোয়ারার মুখ হইতে গোলাপগন্ধী জলধারা উৎক্ষিপ্ত হইতে থাকিত এবং সেই শীকরশিতল নিভৃত  গৃহের মধ্যে মর্মরখচিত স্নিগ্ধ শিলাসনে বসিয়া কোমল নগ্ন পদপল্লব জলাশয়ের নির্মল জলরাশির মধ্যে প্রসারিত করিয়া তরুণী পারসিক রমণীগণ স্নানের পূর্বে কেশ মুক্ত করিয়া দিয়া সেতার কোলে দ্রাক্ষাবনের গজল গান করিত।"

গ্ৰন্থ ঋণ :                                                      বঙ্গভাষা প্রবন্ধ- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বাংলা সাহিত্যের কথা- সুকুমার সেন
Intermediate Bengali Selection - University of Calcutta
প্রাথমিক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস
গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
             



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন