মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯

পিয়ালী বসু ঘোষ

জানালা _______
_______

ছোট্ট একটা জানলা ছিল তোমার
ছদ্মবেশী অতিথি  আমি
চোখ রাখতাম মাঝে সাঝে ...

তোমাদের জ্যোৎস্নার মতো প্রেম আমার লাগোয়া ঘরে আলো হয়ে ফুটতো
তুমি বললে সে নাকি আমার দিনগত সাফল্যের ব্যর্থ সাশ্রয় ....

আলোর ডুবসাঁতারে ঝলসে গেলো চোখ
আমার খেলার পুতুল টা বললো " মা,নিভিয়ে দেব আলো.....?"

আমি দুহাতে জানলাটা বন্ধ করে দিলাম
যেভাবে আমার মৃত বাবার স্থির চোখের পাতা দুটো আমার তির তির করে কাঁপা আঙুলে বন্ধ করে দিয়েছিলাম ....

একটা গোটা দুপুর দাঁড়িয়ে রইলো ঠায় গত জন্মের ওপারে
বৃষ্টি এসে বললো"  সহমরণে যাবে ?"
বললাম ,আমার তো হিমঘরেই বাস
চৌকাঠ মাড়িয়ে চিতায় উঠব কি করে ....

তার'চে শূন্যতায় কান পেতে আমার হৈমন্তী স্মৃতিকথার পান্ডুলিপিটা
ওই ফ্রেমবিহীন জানলায় রেখে
পুড়িয়ে দিলাম অনন্ত সর্বনাশ

চুপিসারে নিভে গেলো জমানো দীর্ঘশ্বাস ....


#চেনা_শব্দের_এসরাজ______


সেই যে একদিন আমি করমচা আলোয়
টুকটুকে লাল শাড়ি আর ভারী গয়নায় সাজিয়ে নিজেকে রোদ্দুর বানিয়ে ফেলেছিলাম

তুমি দেখে বলেছিলে "কাদম্বরী দেবী "

সেই রোদে এখন এসরাজ রেখেছি শুইয়ে ....
নির্জনে বেজে ওঠে ওর ব্যক্তিগত গূঢ় কামনা
আমি বড় অকারণে নীল অমৃতের মত রোদমেখলা পরি
প্রতারক বুলিরা পরাক্রান্ত স্বপ্ন প্রসব করে

অহংকারে টান লাগলে সলমাজরি সুজন ছায়া দেবে বলেছিলো
এখন তীব্র আলোতে মাখামাখি হয়ে আছে তার  'বেশ 'আর 'ছদ্মবেশ '
 ইন্দ্রিয়ে ইন্দ্রিয়ে ,অভিলাষী বর্ষণে যাবতীয় স্বরলিপি প্রতিবেদনায় গাঢ় হলে
সোনার নূপুর খানি ভেসে থাকে মায়াকাজলে

তুমি কেমন শিল্পী হয়ে উঠলে ধীরে
আলো ছায়া শিলুয়েটে বন্দী করলে ছাইভস্ম দিন
পরাঙ্মুখ নদীজলে ভেসে বেড়ালো তোমার বাসনাকুসুম
আর আমাদের অবহেলার আখ্যানমঞ্জরী

#সেইগল্প
_________
আজন্মের সেই গল্প পাঠ শেষ
নাকি হঠাৎ আঁধারে ডুব দিয়েছে বাউল দোতারা
এ গল্পের একমাত্র পাঠক শুধু তুমি
চরিত্রের ভিতরে ঢুকে কখন নিজেই মেঘপিয়ন হয়েছ
শরীরে জড়িয়ে নিয়েছ বিষ,নদী- অশ্রুধারা
কঠিন মাটির ফুটিফাটা বুকে,তখন বাটিকছাপ রোদ
গল্প ছিলনা বেশী বাকি আর . . .
অনিশ্চয়তার " সবুজ" জন্ম দেবে বলে,
সন্তানসম্ভবা মেঘ এসেছে তখন প্রসবের নিরিবিলি জায়গা খুঁজতে এক !

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন