রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭

ঝুমা চৌধুরী



#ক্যানভাস 

 লাল রঙ খুঁজতে গেলেই আমার কৃষ্ণচূড়ার কথা মনে পড়ে
কৃষ্ণচূড়া মনে এলেই আমি বসন্ত হাতড়াই
বসন্ত ছুঁলেই আমি অতি সহজে মেপে ফেলি
তোমার প্রেমের গভীরতা
তাই তো লাল আমার খুব প্রিয়!

তুমি নীলচে আকাশ ভালোবাসো
সমুদ্রের নীলে ঢেউ ভাঙো তুমি
মন্থিত সমুদ্রের অমৃত টুকু অবলীলায় ভাসিয়ে দিয়ে
বিষভান্ড বয়ে বেড়াও
নীল বুঝি তোমার ভীষণ প্রিয়!

তুমি হাত পাতো
তোমায় দিই এক তুলি লালচে কৃষ্ণচূড়া বসন্ত
আর আমি ভাগ করে নিই বিষাক্ত চুম্বন শেষে
নীলচে আলিঙ্গন অনন্ত!

                     
শুধু স্বপ্নে!!

যে কথা গুলো বলার পর কবিতা হয়ে যায়
সেরকম কিছু কথা গোপনীয়তা ভাঙে তোমার কাছে এসে
যে আদর গুলো ফোরানোর আগেই গল্প হয়ে যায়
এমন কিছু আদর ধরা পড়তে চায় লজ্জা ছুঁড়ে ফেলে
তারই মাঝে রেশারেশি চলে "কে প্রথম" খুঁজে দেখেছির বোকা সংলাপের
সময় মাপে অভিমান 
কৈফিয়ত চায় অভিমান
ঝগড়া ছোঁড়ে অভিমান
ভালোবাসা এসে বলে "আমি আছি তো!"

সময়ের এই স্রোতের তোড়ে আমরা যে বড়ো অসহায়!
যে প্রেম প্রশয় পাবার অধিকার রাখেনা
তাকে হাত ধরে পৌঁছে দিয়ে আসি স্বপ্নের বাড়ি
অথচ,
তুমিও জানো, আমিও বুঝি
"আমাদের" ঘর বাঁধার জন্য পৃথিবীতে কোনো জমি খালি নেই...

জীবন চক্র

তখন কারোরই ফেরার কথা ছিলো না
তবু ওরা ফিরে এসেছিলো পচা ডোবার ধার ঘেঁষে
তার কিছুটা দূরে ওই যে ভাঙা বাড়িটা!!
ওর বড়ো বড়ো থামের পেছনে কতো প্রেম নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো
নগ্ন শরীরের খাঁজেখাঁজে জ্বলে পুড়ে
আর একটু এগিয়ে বছর পুরোন বটের ঝুড়ি ধরে
দোল খেয়েছিলো যে শৈশব
মাঠেঘাটে পুকুরে জঙ্গলে অবশিষ্ট সরলতা টুকি রেখে
ওরা এখন সংসারী 
আজ কাল ওরা প্রতিদিন জীবন থেকে খুঁটেখুঁটে
মৃত্যু জমিয়ে রাখে
স্নান খাওয়া, রান্নাবাড়া প্রাত্যহিক কর্মের মতো
মধ্যরাতে ওদের বিছানায় যৌনতা নামে
ওরা আর কেউ নয়
ওরা "মানব জীবন"
ওরা "নারী পুরুষ"
ওরা ভালোবাসাহীন অভ্যাসের  সংগমে জন্ম নেয়
আর চাতকের মতো অতৃপ্তি নিয়ে ছাই হয়ে যায়
জীবনের শ্মশানে, সংসারের চিতায় জ্বলতে জ্বলতে.....



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন