ঘুমোও—রাধামন
কণ্ঠিমুখে পিরিত নাকি কণ্ঠ জুড়ে নিশির ডাক— বিষের বাঁশি বাজলো যদি
ও রাধা-মন, ঘুমিয়ে থাক! সুবাস যত মত্ত মধুর বাউল পথে ফুলের ঝাঁক, বিষের বাঁশি
বাজলো যদি ও রাধা-মন, ঘুমিয়ে থাক! চাঁদের ঘায়ে মূর্ছা গেলে কলঙ্কদল পুড়েই খাক—
বিষের বাঁশি বাজলো যদি ও রাধা-মন, ঘুমিয়ে থাক! আন্ লোকে কয়, মান সোহাগীর স্পর্শে
বেজায় দুর্বিপাক। বিষের বাঁশি বাজলো যদি ও রাধা-মন, ঘুমিয়ে থাক! রাত—কে রে কয়,
কামের বোঝা? তোর রাতে দিন লজ্জা পাক, বিষের বাঁশি বাজলো যদি ও রাধা-মন, ঘুমিয়ে
থাক!
আমি এবং তথাগত
আচ্ছা ধরো এমন হল একটা দিন— তোমার আমার মুখোমুখি পথের পাশ। সেদিনও
কি রাখবে আড়াল বল্কলের! কিংবা কিছু বলতে বসবে— অপ্রকাশ? ধুলোর আসন পাতাই আছে
আজন্মের— একদিন তার পরেও তোমার পায়ের ছাপ, সেদিন নাহয় ধুলোয় কিছু আমার নাম~ তোমার
পাশে লিখব, এ যে কী স্বপ্নের! বসব এবং বসাব সেই অনাথ ঘর, এই নামে তো তোমায় সবাই
ডাকছে আজ। চেনে যারা তাদের আবার আদর ডাক— শূন্য হাতের পূর্ণ সে এক মহারাজ! বসবে
তো? না, এড়িয়ে যাবে বাহানায়! বিশেষ কিছু চাই না, আগেই বলছি তো, দেখব শুধু— তথাগত
তোমার সাথ, সত্যি আমার কতটা আর কী মানায়!
সন্ধে নামার পরে
সন্ধে কি নামল সুরঞ্জন! তবে চলো হেঁটে আসি প্রান্তের দিকে— হাতে
হাত? কী বা প্রয়োজন। নক্ষত্রের মতো পাশাপাশি, ধীর পায়ে। ছায়াপথ টানে~ শোনোনি সে
আবাহন—জনান্তিকে! দেরি নয়, আর দেরি নয়, কুয়াশার পথঘাট মেঘ হয়ে যাওয়ার আগে চলো তবে
দিয়ে আসি পায়ে পায়ে ছাপ। আলো আঁধারির বুকে আলপনা হয়ে তারা জুড়ে দেবে সব— প্রেম আর
ক্লান্তির কঠিন সময়! উচ্চারণের বাইরেও যারা রয়ে গেল— আমাদের সেই সংলাপ ভরে আসি
কমলায় অস্তের ফাগে! দেরি নয় আর দেরি নয়— হাতে হাত? মিছিমিছি কেন বন্ধন! চলো
তবে—সন্ধে যে নামল সুরঞ্জন!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন