* হেমন্ত শব্দরা
আমি তোমার লেখা পড়িনা
তুমিও লুকিয়ে আমার চুপডাইরি পড়ো নি
---
এইদিন কাগজ কুড়ানি বস্তা ভরে নিয়ে গেছে
ছেঁড়া ফাটা শব্দের রুমাল, কাগজের ভুল,
কয়েকটা পুরনো ঋণ, স্পর্শের মত নাজুক চাহনি
আর কুজোয় রাখা ঠান্ডাজলের মত স্বচ্ছ আলিঙ্গন
--
গাছের পাতারাও জানে ওদের সবুজ মনের মধ্যে
আমাদের কলম হেমন্ত লিখছে সেই থেকে
যবে থেকে আমরা লিখতে শুরু করেছি একে অন্যের অভিমান!
* শুভ যাত্রা*
বছরের পর বছর দীর্ঘ যাত্রায়
একবারও সহযোগী কে দেখা হয় না
দেখলেও চেনা যায় না, মেঘাচ্ছন্ন মুখের ডৌল;
পায়ে পায়ে দুলছে দৃশ্য;
পাখি- গাছ- পোস্টে জড়ানো তার,
আর সম্পর্কের মতো কিছু গান;
কেটে যাওয়া ঘুড়ি দেখলে বোঝা দুষ্কর
ঠিক কত টা দূরত্ব পেড়িয়ে ওর উড়ান;
আর কতটাই নীল থেকে ধুলোয় পরাভব!
কু ঝিকঝিক চলছে, ড্রাইভার স্টেয়ারিং এ--
জানালার পাশে বসা প্যাসেঞ্জার!
* গানের ভাষা *
পাখিরা এখনো গান গায়, মানুষ শোনে--
বসন্তের চেরি গাছের বুক কাপিয়ে ডাকে আষাঢ়মাসে;
রাতের অন্ধকার যখন গিলে খায় রুপোর থালা,
আত্মজন হারানোর দুঃখে ডেকে যায় করুণ সুরে;
চৈত্রের পোড়া নদীর পেতে রাখা বুকে
কণ্ঠনালী শুকিয়েও কত পাখির কিচিরমিচির
ডেকে আনে পরিব্রাজকের ঘূর্ণাবর্ত ;
এতো শুনেও মানুষ পাখির গান শেখে না
কিন্তু তোতা ময়নার মত কিছু পাখিই
শিখে নেয় মানুষের ভাষা, খাঁচার ভাষা!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন