রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭

চয়ন ভৌমিক

অপেক্ষার বিকেল - 

এক-একটা দিন আসে, ব্যর্থ,
আর ঘুমের মধ্যে ভেসে বেড়ায় মেঘ।
মনে হয় কবিতা লেখা ছেড়ে দেওয়া উচিত আমার।
কোনো একটা ফাঁকা স্টেশনের স্বপ্ন দেখি,
আহাম্মকের মত মাথাব্যথা কমানোর ওষুধ খাই।
আমার হাতে জাদুদন্ড থাকলে জানো?
তোমাকে ডানা দিতাম আমি,
শীতের দুপুরে কমলালেবু দিতাম খোলা ছাড়িয়ে।
এই যে অন্ধকার বিকেলটা পরিহাস করছে আমাকে,
হ্যা হ্যা করে তাচ্ছিল্যের হাসি দিচ্ছে - 
এসব চিঠিতে লিখে যাবো আমি।
#
তুমি পাঠ প্রতিক্রিয়া পাঠিয়ো
পৃথিবীর কোনো দূরতম স্থান থেকে।

২)

ফিরে যাওয়ার আগে

তুমি কেটে টুকরো করছো সময়
আর চেপেচুপে ঢুকিয়ে রাখছো
একটা ঢাউস চাকা লাগানো ব্যাগে।
রাস্তাগুলো আপাতদৃষ্টিতে সব এক জানো,
আমরাই ঠিকানা বদল করি খালি।
কোথা থেকে এর মাঝেই,
বন্ধ দরজার ওপাশে বেজে ওঠে
'সকরুণ বেণু বাজালো কে হায়'।
#
বিদায়বেলায় অন্তর্বাস গুছিয়ে নিতে ভুলো না যেন।

৩)

স্মৃতি-গলি-অন্ধকার

আমি হারিয়েছি সেই সব আলোর বিকেল
যে সব দিনে, 
একটা অচেনা ফুল ফুটেছিল কোথাও।
অপরিচিত একটা হলুদ -
পাখি হয়ে উড়ে গিয়েছিল 
দূর থেকে আরো বহুদূরে।
আমি দেখেছিলাম ছাদে শুকোচ্ছে জামাকাপড়,
গাছের সাথে গাছ কথা বলছে
ফেলে আসা টুকিটাকি সংসারের।
আচ্ছা বলোতো, শুকনো কাঠ নাকি আমি?
অথবা বুকের মাঝে,
না বেরিয়ে আসা একটা দীর্ঘশ্বাসের দলা।
আমাকে হেমন্তের শূন্যতা ভাবলে যদি, 
কী দরকার ছিল, এতো গানের তবে।
অপ্রয়োজনীয় একটা মশারি মধ্যে বসে,
ধেয়ে আসা সমুদ্রের আওয়াজ শুনছি তবুও
#
সাঁতার কাটতে হবে ভাবলেই 
শ্বেত শঙ্খ, অনাবৃত ঝিনুক, এইমাত্র
এসে বসে গেল আমার দুহাতের তালুতে।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন