রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭

শম্পা মাহাতো,

অন্তর্দ্বন্দ্ব
------------
আমি পলক ফেলেছি শুধু
এখন রোজ রোজ প্রদর্শনী
কোনও প্রবেশমূল্য লাগছে না
শুনছ
আরও কিন্তু অনেক কাজ বাকি
আজ বাকি কাল বাকি পরশু বাকি।
যতবার হাওয়া দিচ্ছে ততবার রেগে যাচ্ছি
এবার মাধুকরী করে দাও সাহচর্য
অথবা
অবাধ্যতায় স্মিত হাসি দাও,
নিশ্চিত পরাজয়ে গ্ল্যাডিওলাস,
না ফেরার নীলাকাশ দাও আদিগন্ত...
আদর চাই না
দূরত্বের উৎসাহ দাও প্রতিটি আলিঙ্গনে
একবার অন্তত ভিতর বাহির ইচ্ছাধীন
হোক স্বেচ্ছায়
আর আমরা একসাথে অন্য কিছু নিয়ে ভাবি।
সূচক
-----------
সুদূরে সীমাবদ্ধতা ছিল, পরীক্ষায় সমাধি,
আমি সাজগোজ শেষ করে
রাস্তা পার হতে গিয়ে দেখে ফেলি হাইড্রেন
যেখানে বীভৎস মায়া নিয়ে বসে আছে অদ্ভুত ভাবাবেগ।
যেমন চূড়ান্ত দৃশ্য, অকপট, উলঙ্গ
আর তার চেয়েও বেশী উলঙ্গ সভ্যতা পুরে রাখা
মাদুলীতাবিচমন্ত্রগুরুসাধুসন্ন্যাসী
তেমনই লিঙ্গ লিঙ্গ হাহাকার ছুটে আসে নিশ্চিন্তপুর থেকে
পেরেক পোঁতা সভ্যতায়
কুঁচকে যায় সৃষ্টি বারবার।
ইউরেকা
------------
সব জেনেও ওরা ভালোবেসেছিল
নগ্নতায় আহুতি দিয়েছিল মনপ্রাণ
দ্বিধার কাছে দ্বিধাহীন সমর্পণ
আস্তানা চুঁইয়ে পড়ে জেনেও অপেক্ষা
যদিও প্রসবকালীন ইউরেকা বলা হয়নি
এবং আইনত দন্ডনীয় অপরাধ থেকে
পোড়া গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছিল হাওয়ায়।
আমি ঠিক করলাম পাহাড়ে ঘুরতে যাব
অসাবধনতার আগামীকে
বরফ চেনানো দরকার।
বরফ তুমি তুখোড় হও
জরুরি উষ্ণতা খুঁজে নাও জ্বলন্ত কাঠে
শুষ্কতায় সামিল করো চোখ
এখানে অমৃত কোনও সাধনার নাম নয়
বিষই একমাত্র জীবনধারণ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন