শনিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২২

অরিত্র সোম

                  




সিঁড়ির আড়ালে - ৫ 


জানলার দিকে, সোজা চোখে 

তাকিয়ে আছে

ইডিয়ট চেয়ারটা 

দেখছে ঝুপড়ির ওঠানামা

দেখছে, সেসব গিলে নিলে কী করে

আরও পয়মন্ত রূপ পায় কিশোরী…


শিরদাঁড়া জমে যায় ঘামে

ক্রমশ আসবাব হয়ে ওঠার আগে

আমি শেষবার ডাকতে চাই নীহারিকা! 


চেয়ারটার মাথা থেকে খসে গেল মেঘ।

দেওয়াল নেই

টিভি নেই – ভেতরে 

ঝুপড়ির মেয়েটা ঘষে ঘষে 

বুকের ময়লা তুলে রাখছে


ছেঁড়া মাংসের ওপর ডলে দিচ্ছে সিগারেট 




নিজস্ব শহরের ওপার হতে – ২৬


মনে পড়ছে অ্যাম্বুলেন্সের কথা। ভারী হতে হতে মানুষটা হাত চেপে ধরল। গত দুদিনে নখ বেড়েছে। ডান কনুই ছড়ে যাচ্ছে মৃতের আঁচড়ে। এই করেই তুমি ঢুকে পড়ছ? চাদর থেকে সুন্দর জল পড়ে। ভিজে ওঠে সিঁড়ি। এইভাবেই পৌঁছতে চাও দরজায়। চাও, সময় থাকতে আঁচড় পড়ুক ডাকবাক্সে… 


তিনজনের লাইন পেরিয়ে এখন জংধরা দরোজায়। স্থির হাত আলতো ছুঁয়ে দিচ্ছ মুখে। ঘামে ভেজা জামা ছাড়তে পর্যন্ত পারোনি। ডাক পড়েছে। হোলিকার ঘর পেরিয়ে তোমায় তুলে নেওয়া কোলে। এখন তুমি শিশু; অসীম অক্লান্ত এক বালক মাত্র… 


কেন মনে পড়ছে আজ? কেনই বা দাগ লেগে আছে চাদরে? সারা বাড়ি ঘুরে আমার কাছে এসেছে যে, তাকে কী বলে জল দেব? নিম দেব? সে শুধু ছবি চেনে। স্পর্শ চেনে। 


তোমায় চেনে কি? 




পাগলের অন্তিম ডায়েরি – ১ 


একবিংশ শতকের এক অক্টোবর মাসে নিজেকে ছড়িয়ে রেখেছি বিছানায়। পরবর্তী দশ বছরের কথা ভাবতে গেলে ঘুম আসে না। জেগে থাকতেও ইচ্ছা করে না। এমনই এক আধিভৌতিক পরিস্থিতিতে পোকারা তা দেয়। প্রজন্ম বা অভিযোজনের ভাবনা তাদের কেউ শেখায়নি। ওসব বড়োলোকি কারবার – এমনটাই লেখা থাকে পাঠশালার নোটবুকে। 


হাবিজাবি লেখা ছাড়া আর বিশেষ কাজ নেই। পরবর্তী দশ বছরে আমার লেখা ঠিক ক’টা উইয়ের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করবে – এটা নির্ধারণ করতে পারিনি বলেই খাদান ভরে রাখছি। ঠিক যেমন বাবার দেরাজে ধুলো খায় মেডিক্লেইম। ঠিক যেভাবে এই মিনিট দুয়েক ধরে মায়ের চিৎকার কানে আসছে। ভাত পোড়ার গন্ধ পেতে পেতে একসময় মনে পড়ে নোবেল শান্তি পুরস্কারের কথা 


দোতলার লোকটা আবারও ফ্ল্যাট কিনেছে… 



পাগলের অন্তিম ডায়েরি – ২


এসব লিখতে লিখতে আবারও মনে হচ্ছে, আমি অজিতেশ হতে পারতাম। কিন্তু কোনো এক অজ্ঞাত কারণবশত আমি বেলঘরিয়ায়, মাছিমরা ড্রেনের পাশে অরিত্র হয়ে দাঁড়িয়ে আছি। সিগারেটের বোঁটা খসে রঙ পড়ছে। এমন অশ্লীল দৃশ্য উপভোগ করার জন্য এক বোতল বাংলা দরকার। সঙ্গে সিরকায় ভেজা আদা, আর ছোলা। কিন্তু আমি মদ খাই না। 


এবং এই মুহূর্তে আমার কাঁচুলি থেকে খসে পড়েছে আরও একটা ময়ূরপঙ্খী। 


একটা ন্যাংটা কালো ছেলে, আঙুল ঘোরাতে ঘোরাতে রাস্তা পেরিয়ে গেল। লোকে সাধারণত এদের পাগল বলে। 


যাই হোক, এই যে আমি সম্পূর্ণভাবে অজিতেশ হতে পারলাম না, এর জন্য দায়ী কে? হতে যে পারলাম না, এর ফলে ঠিক কী কী ক্ষতি হল? এসব ভাবতে পারছি, কারণ আমার মনে হচ্ছে সমান্তরাল বিশ্বের কারাগার থেকে কোনো এক উপস্থিতি আমাকে সম্ভোগ করছে। 


অজিতেশ কাকে বলে? সে কি উপস্থিত, আবার? 


আপনারা কিছু জানেন?




পাগলের অন্তিম ডায়েরি – ৩


মানুষ আর পাঁঠার অস্থির মধ্যে তফাৎ কোথায়? 


আত্মা বিসর্জন দিতে দিতে এই প্রশ্নটা আমাদের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। আমাদের; অর্থাৎ আমি এবং নীহারিকা। ছাব্বিশ বছরের জীবনে আমার প্রেমজ পরিণামের শতকরা হিসেব ১.০০২। বাকি জাহান্নামে ছায়ার মতো ঘুরে বেড়ায় যে পরিচিতি, তাহার নাম নীহারিকা। এক অনাবিল পাহাড়ি ধসের মতো সে আমার জীবন তছনছ করে দিচ্ছে। অথচ এতটুকুও ক্লান্তি নেই এই কাজে। নীহারিকা তার ওষ্ঠস্থিত রক্ত এই সভ্যতার নদীতে ঢেলে দিয়েছে। সেখান থেকেই এত যুদ্ধবিবাদ, ট্রয়ের ঘোড়ার দাপাদাপি এবং আত্মহনন পদ্ধতির আবিষ্কার। 


মৃত্যুতে কান্না আসে, এটাই স্বাভাবিক ধরে এগিয়ে যাচ্ছে বিধাতা। অটোস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করতে করতে মা’র মনেও কান্না আসে। নবমী নিশি পেরিয়ে পেরিয়ে গেছে দিন। বাজারের বাসি পাঁঠা মুখ ব্যাজার করে বসে আছে। বিবর্তনের ছোঁয়া? ঠিক উল্টোদিকেই অটোস্ট্যান্ড। পাশেই মা। ক্রন্দনরত…


মানুষ আর পাঁঠার মৃত্যুদৃশ্যে কোনো পার্থক্য নেই। এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে ইতিহাস থেকে উড়ে যেতে লাগল পাতার পর পাতা। মন্দির-পরব-হাঁড়িকাঠ-জিহাদ-গিলোটিন-


এবং, নীহারিকা…




পাগলের অন্তিম ডায়েরি – ৪ 


অজিতেশ আত্মহত্যাপ্রবণ। অতএব, আমিও। এমত সিদ্ধান্তে পৌঁছোবার জন্য কতকগুলো সিঁড়ি দরকার। আপাতত সেগুলোই একত্রিত করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু এমন নিকট স্বভাব পৃথিবীর পছন্দ নয়। সতত শান্ত ধরিত্রীকূলের স্বপ্ন দেখেন লেনন; কিন্তু ধরিত্রী কি তা ধারণ করেন? বরং সমস্ত সৃষ্টিই এক নিশ্চিত হত্যালীলার ফলপ্রকাশ – এমন সম্ভাবনাই বারবার খেলা করে খাতার পাতায়। 


এত কথার মাঝে ব্যাগভর্তি ধূপকাঠি নিয়ে স্টেশনের দিকে হাঁটা দিল ছেলেটা। প্রথমে খেয়াল করিনি, অজিতেশ দেখিয়ে দিল। দেখাল খাটো হয়ে আসা চাদর, রোগা থপথপে একটা ছায়া, আর মাঝরাস্তায় চলতে পারার প্রতিবাদ। গতকাল এই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে কেউ হয়তো লাথি মেরেছিল পাথরে। ফাটা পায়ে আমরা সেই পথ পেরোচ্ছি। রক্তের নিশান ট্রাফিক সিগনালের মতো। মধ্যরাতের উল্লাস ক্রমশ দাঁড়া চিপে ধরছে। পর্দার এককোণে গুটিসুটি শরীর খুলে দিয়েছে মধ্য তিরিশ। তারই মিইয়ে আসা সন্তান ধূপ দেখাতে দেখাতে মুখে তুলে দিচ্ছে অন্ন… 


অজিতেশের ঠোঁট চটচট করে। অগরু নেশা। 


পশ্চাৎদৃশ্যে স্পষ্ট হচ্ছে সিঁড়ি। 

ছেলেটা দেহ কুড়োচ্ছে। আমার, আপনার… 


অজিতেশ বেপাত্তা। 




পাগলের অন্তিম ডায়েরি – ৫ 


দাদা বলেছিল পাহাড়ি বাঁক কখনও একরকম হয় না। প্রতিটা দৃশ্যেই নতুন কেউ দাঁড়িয়ে থাকবে। হয়তো বা আদল পুরনো; একটু হেঁটে দেখলেই বোঝা যায় খাদের ধারেই লুকোনো আছে জন্মদিন। 


আমার অবশ্য এসব লেখার কোনো মানে নেই। পথচলতি লোকের মতে, কাঠামোহীন একদলা অবয়ব। এই শরীরও দুর্বোধ্য হয়ে উঠছে। ওজোনস্তর ভেঙে যাওয়ার প্রভাব আমাদের সম্পর্কে পড়তে শুরু করেছে। আমরা প্রতিবাদ গিলে খাই। ভুল বানানের পোস্টার ঘরময় ছড়িয়ে পড়েছে। সেই আলো দেখে আমার আবার মনে হচ্ছে, পৃথিবীর পাখিদের কোনো ডাকনাম নেই। ওদের শ্রাদ্ধ হয় না। রাত হলে সেই অসংখ্য অতৃপ্ত পাখির দল কুয়াশা হয়ে ঘুরে বেড়ায় পাহাড়ি বস্তিতে। 


কারা যেন অভিযোগ করছিল প্রেম নিয়ে। স্টেশন তখনও নিজের খোলস ছাড়ায়নি। অন্ধকার লোহা-লক্কড় পেরিয়ে, আরও অন্ধ একটা গাছের পাশে এই বক্তব্য শুনিয়েছিল অজিতেশ। প্রেম বললে আমার অভূতপূর্ব সাধারণ একটা বাসের কথা মনে পড়ে। বানান খেয়াল রাখুন, কমরেড। মনে পড়ে সামনের সিটে দলাপাকানো একজোড়া দেহ। খবরের শিরোনাম অবধারিতভাবে তাদের বাঁচার অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছিল। পৃথিবীপোড়া ক্ষত লিখতে লিখতে ভাইটাও নেমে গেল নদীতে। অতঃপর… 


পূর্ণিমার চাঁদ অথবা ঝলসানো রুটি নয়। এক আশ্চর্য শাদা চাদর মুড়িয়ে রাষ্ট্র বসে আছে। কবিতা লেখার আহ্বান এলে তোয়ালের ভেতর থেকে একজোড়া হাত বলে – ক্লান্তি দাও


একজোড়া হাত;

লাল সুতো হলুদ সুতো…

একজোড়া হাত; 

কঠিন। দুর্বোধ্য। আহাম্মক। 




পাগলের অন্তিম ডায়েরি – ৬ 


বছরের একটা সময় পোকাদের মৃত্যুসঙ্গম বেড়ে যায়। রাত পেরোলে করিডোর জুড়ে শুধুই বারুদের লাশ। পলক পড়লেই গোটা একটা সন্ধ্যার দাপাদাপি… ভুস! আর এমন বিপ্লবেই মনে পড়ে দেশ ও রাষ্ট্রের অভিধান। 


কীভাবে পোকারা হাঁটে, কতটা চওড়া হয় ডানা – এবং অধিকারবোধ ছিঁড়ে নিলে কীভাবে হাজির হয় নিয়তি। আপাতভাবে রাস্তা পেরোলে এই সমগ্র বিষয়ই আমার ভাগ্যরেখা ছুঁয়ে ফেলে। মানুষ নয়; অজিতেশ তো ছারপোকাজন্মই চেয়েছিল। আড়ালে-বনবাসে রক্ত চুষে কোষাগার ভরো, তারপর সুযোগ বুঝে হেনে ফেলো কমণ্ডলু। আমাদের দেশে কোনো বাঁশিওয়ালা নেই (?)। তবুও পোকারা ছুটে চলে। আলো দেখে খাবি খায়। গান শোনে। শরীরে শরীর ভেঙে যায়। 


অজিতেশ ছুটে মরে। 

এবং পায়ে পায়ে জবুথুবু দেহ, আরও গুটিয়ে ছড়িয়ে পড়ে রাস্তার ওপর। 


আপাতত এই নৃশংস বিশল্যকরণীর চাপে, আমাদের রুমাল নাড়ানো ছাড়া কোনো গতি নেই… 


রুমালের রঙ শাদা;

আমাদের ভাগ্যরেখা চিররুগ্ন, রক্তে-ক্রোধে আহাম্মক;

রুমাল ঘেমে ওঠে – জাহান্নাম… ইনকিলাব… 


বিগ ব্রাদার ইজ ওয়াচিং ইউ, অজিতেশ।    




পাগলের অন্তিম ডায়েরি – ৭


পঁয়তাল্লিশ মিনিট নিজেকে সময় দিয়ে সরিয়ে রেখেছি। এই পঁয়তাল্লিশ মিনিটে অনেক কিছু হতে পারে। তবে এই দৃশ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছে একটা চিমনি। দোনলা বন্দুকের মতো কাঁধ আঁকড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সে তার লক্ষ্য জানে না, শুধু জানে তাকে ধারণ করতে হবে। পেটের ভেতর নাগাড়ে ভেজে চলেছে পাপ-পুণ্য। একেকটা গলি, মোহিনী মিল, ওষুধের দোকান পার হয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে পড়েছে সংসার। সামনে ত্রস্ত মেঘ, চিলের ঠোকর খেয়ে মুখে জমে উঠেছে রক্ত। এইভাবেই নেশার কবলে পড়ে জীবন। হরিণের চোখ ঘনিয়ে ওঠে আততায়ীর স্পর্শে… 


পঁয়তাল্লিশ মিনিটে বারবার হোমিওপ্যাথির শিশিটির দিকে ফিরে গেছে ইন্দ্রিয়। অপেক্ষার মুদ্রা পড়ছে সেখানেও। সকাল আর রাতের হিসেবের ভেতর যে আয়ু থেমেছিল, তা আজ নদীতীরে নাইতে যাবে। পরিপাটি করে সেজে উঠল রাসমঞ্চ। তার মাঝেই ছেলেটা বায়না ধরেছে গঙ্গা ছোঁয়ার। নিজেকে দেখার আয়না কি সে পায়নি এখনও? হাত ছেড়ে ছুটতে ছুটতে চলে যাচ্ছে ভেলা। এদিকে সময় পেরিয়ে যাচ্ছে, ধর্মঠাকুরের ঠায় দৃষ্টি আমাদের দিকে। কিছু চোখ একে অন্যকে খুঁজবে বলে পেরিয়ে যাচ্ছে সাতজন্ম। তারা জানে, ঘণ্টা বাজলেই শেষ হয়ে যাবে অপেক্ষা। স্মৃতি ধুয়ে দেওয়ার পর আর পিছন ফিরতে নেই। তাকে রাত দাও, সমাধির ওম ছোঁয়াও… 


যে যার মতো দোর বন্ধ করে বসে আছে। পথ থেকে একটানা পোকার আওয়াজ। দরোজার গা থেকে এখনও পায়ের ছাপ শুকোয়নি। সেদিকে তাকিয়ে শাদা থান আড়াল করে নিচ্ছে দুজন। পঁয়তাল্লিশ মিনিটের ধুলো বয়ে এবার পেরোতে হবে বাকি পথটা। এবং মনে পড়বে, পৃথিবী একটি সতত নদীমাতৃক সাম্রাজ্য। যেখানে ধুলো পায়ে অনন্ত ভিজে চলা ছাড়া আর কোনো মুক্তি নেই।




পাগলের অন্তিম ডায়েরি – ৮


এক…

দুই…

তিন…

চার…

ঘুড়িটা গোঁত্তা খেয়েই চলেছে। অসময়ের আকাশে এমন ঘুড়ি কে ওড়ায়, সেটা জানতে ইচ্ছা করছে। আপাতত ঘুড়িটার কোনো নাম নেই। স্থান-কাল-সময়েরও ঠিক নেই। পঞ্চাশ বছর পুরনো একটা ল্যাম্পপোস্টের বোঁটা ধরে সে গোঁত্তা খাচ্ছে। দিনের হিসেব নেই। অথচ আজ, কোনো এক অজ্ঞাতস্পৃহাবশত সে আমার মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। 


পাঠক নিশ্চয়ই হিসেব করছেন বেকারত্বের আয়ু। দেখছেন আমার পায়ের পাতা কতটা ফেটেছে। 


ইতিমধ্যে আমাদের মধ্যে একটা ত্রিভুজ তৈরি হয়ে গেছে। একটা ঘুড়ি, তারকাটা ঘুড়ি, সেখানে সমানে দুলে চলেছে। মুহূর্ত আসন্ন – সেও জানে। তবুও অপেক্ষা করে আছে আমার জন্য। কীসের অপেক্ষা? 


এখনও শীত পড়েনি সেভাবে। স্মশানের ওম ঘুরে বেড়াচ্ছে মফস্বলে। এতক্ষণে বুঝে গেছেন, এই লেখার কোনো উদ্দেশ্য-বিধেয় নেই। ঘুড়িটার মতো সেও গোঁত্তা খাচ্ছে

খাচ্ছে

এবং প্রচণ্ড আর্তনাদে একটা সাইকেল ছিটকে যাচ্ছে রাস্তার পাশে।


বড্ড অসময় জানলার দিকে চোখ চলে গেল সবার। রতি! রতি! এবং, চেয়ার ভাঙার শব্দ… 


ঘুড়িটা প্রবল গোঙাচ্ছে। এখন আর কোনো টান নেই। পাঠকের দৃষ্টি খুঁজে নিয়েছে মাংসের দোকান। 

আমিও নামছি;

আপনিও নামছেন;

আমাদের পায়ের তালে একটা বেরসিক নাট্যদৃশ্যের পর্দা পড়ছে। 

1 টি মন্তব্য:

  1. ধৈর্য ধরে পাঠ করার মত। আবার আবার পাঠ করার মত।
    কিছু পাঠক 'পাগলের অন্তিম ডায়েরি' সিরিজের মত কবিতা বিশেষ রকম পছন্দ করেন, মনে হয় কবিতাগুচ্ছে কেবল এই সিরিজটি থাকলেই বেশি ভালো হত এই সংখ্যাতে।

    উত্তরমুছুন