বিষণ্ণ সরণি / ১
তুমি ঘুমিয়ে থাকলেও চাঁদ প্রতিফলিত হয় তোমার চোখের পাতায়। শব্দগুলো সূচিকর্মের মতো সূক্ষ্ম বুনে চলে একে অপরকে। ফুটে ওঠে শাশ্বত কথাদের ফিসফাস ঢল। আমি এডিট করি আমার ইহকাল আমার পরকাল। আমার তাবৎ জন্ম বৃত্তান্ত । বৃত্তাকার ঘুরতে থাকি তোমার ভিতর। অথচ তুমি আমার ভিতর আজও একা– এক বিষণ্ণ সরণি! সে ভূ-দৃশ্যে গলে যায় চোখ, অভ্রান্ত চিবুক আমার। ফুলের মতো কিছু ভুল অথবা ভুলের মতো কিছু ফুল– এমন শব্দবন্ধ আমি লিখতে পারিনি কখনো। ঘৃণার উপমায় আমি সরাসরি ঘৃণাই লিখেছি এযাবৎ। জলের উপমায় জল।
এখন তোমার উপমায় আমি কী লিখি বলতো?
বিষণ্ণ সরণি ২
কিছুই না থাকার অবকাশে যে হাত ধরা থাকে নক্ষত্রের হাতে, মরে যাওয়ার উদাসীনতা তাকে মানায় না। আমি সেই মহিমান্বিত দিনগুলির কথা ভাবছি। হারিয়ে যাওয়া একটা পদ্যের কিনারে এসে যখন কবিতার আদলে দুই হাতে তোমাকেই তুলে নিয়েছিলাম। তোমারই সুরে বেজে উঠতে চেয়েছিলাম প্রবল। কোথা থেকে এসেছো তুমি কোথায় মিলিয়ে যাবে, আমি জানিনা। তবু তোমারই সাথে অসাধারণ একটা ঘুরে দাঁড়ানোর নেশায় পথ হাঁটতে হাঁটতে বুঝতে পেরেছি, ' সুখ '– একটা সম্ভাবনার নাম।
চাঁদ তার অন্তরায়!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন