রবিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২২

সমর্পিতা ঘটক,

                       



নির্ঘুম কাল


ঘুম ভালো করে হয় না আর, তন্দ্রা আসে বেলার দিকে
আধোজাগরণে সাজাই ফ্রিজের তাক, আচ্ছন্ন গোপনে লঙ্কা, ধনে পাতা সাজাই ভেজিটেবিল বক্সে
কাবাবের মাংস টুকরো করি, দই দিয়ে ম্যারিনেট...
কবিতায় শব্দ পাল্টাই, যতি চিহ্ন সরিয়ে দিই... ড্রাগের নেশায় মাতাল
যেমন সরিয়ে দেয় ভেঙে যাওয়া প্রেম, প্রেমিকার ছবি, চুম্বন-ঘোর...
ওয়াশিং মেশিনে ঘুরতে থাকে নাইটি, চাদর, লখিমপুরের চাষি,
নেতাদের কটু কথা, কাটা হাত, আমাদের ঠোঁট ওল্টানো উন্নাসিকতা
ঘুম কেটে যায়... ভয় হয়, আর কোনোদিন যদি না আসে ঘুম?
টোটকা, গঞ্জনা, কাজের ফিরিস্তি সবই বেহায়া বিজ্ঞাপনের মতো
কানের পাশে ভনভন করে...
নদীর মতো ঘুমের সুতো-পথ আছে
সেখানে জোয়ার আসে, ভাটা, পয়সা ছুঁড়ে দেওয়া মানত, কাদা-মাটি মেখে শ্রদ্ধা, অঞ্জলি, প্লাবন...
ঘুম কাব্য রেখে দিই, নদীর বারোমাস্যা শুনে মনে হয় এ কোন মানুষ আমি!
ঘুমপাড়ানি গান নেই, হাক্লান্ত মায়ের হাত থেকে পাখা পড়ে যাওয়ার
কৌতুক নেই, ঘুম-জড়ানো শব্দে জোলার গল্প নেই...
কৈশোরের স্বপ্নে সুনন্দন গোলাপি হাতে চুমু খেয়েছিল... রাজভবনের খিলান থেকে নেমে এসে একটা সিংহ পথ হেঁটেছিল ভর দুপুরে, আকাশবাণী পর্যন্ত... 
সেসব যক্ষিণী ঘুম কেড়ে নিল কে?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন