রবিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২২

শীর্ষা মণ্ডল

                                




না-ফেরা কবিতাগুলির উড়ালপুল




সুদীর্ঘ পথটির শেষ – মাখামাখি আঁকা ফুলের পাপড়ি দ্যাখো জারুলের রঙে দ্রবীভূত গড়াগড়ি; যেন একদা একটি গাঢ় অস্তমিত সূর্যাস্তের ময়দান – লণ্ঠন নিবু নিবু হয়ে আসা আকাশী শরীর চিরে যায় পাখিটির নিস্তব্ধ উড়ানে 



এভাবে ফেলে রেখে যাওয়া – ঘর-বাড়ি-কফিহাউসের ময়দান জুড়ে বাউণ্ডুলে আঙুলের প্রলাপ, যেন শান্ত কোনো পাখি আরও শান্ত হয়ে গেছে ইলেক্ট্রিসিটির নব্য ছোঁয়ায়, মরা রাতের পেট চিরে সকালের ছানা বের করে আনছে প্রকৃতি, আর অতীব সন্তর্পণ দিয়ে ফ্যাকাশে চলে যাওয়ার কপালে এঁকে দিচ্ছে না ফেরার চুমু



তোমার চলে যাওয়া দিয়ে একটা আস্ত ক্যালেণ্ডার এঁকে ফেলা যায়, অথবা ভাস্করের যে কোনো কবিতা – হু হু করে কাঁদতে থাকা হাওয়ার নিঃসঙ্গতা – মরুভূমির বুকে, ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া রক্তসংবহনহীন ক্যাকটাসের অস্ত্রকেও, এরকম চলে যাওয়া বুকে নিয়ে আমারই মতো মরে গেছে পৃথিবীর সমস্ত প্রণয়ী মৌমাছির দল – শুধুমাত্র পুরুষ হবার শাপে যারা অমরত্ব নামের কবিতাগুলিকে তাচ্ছিল্য করেছিল একদা

1 টি মন্তব্য: