চৌকাঠ
(১)
নিভে গেছে একপশলা দুইপশলা বহু পশলা পশলা আলো
আমি ছুঁতে পারিনি
চৌকাঠ পেরিয়ে একটা ঘর ,
পৌছোনোর আগের মুহূর্তেই দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল
আমি নিভন্ত আলোর পাশে তাই জ্বালিয়ে রেখেছি আস্ত একটা গনগনে উনুন
প্রতিটা ব্যথার একটা করে নাম থাকা জরুরি
নইলে নক্ষত্র জন্ম দেবার সময়ও কেউ তোমার খোলা বুকে এঁকে দেবে না প্রসূতিকালীন গর্ভবতীর ছাপ ।
(২)
ডুবতে এসে কোন কৌশলে তুমি ভেসে যাচ্ছ ?
কেউ বলছে খড়কুটো, কেউ চিত্কার করে বলছে শ্যাওলা
আমি মাছেদের চিনি
নৌকাও চিনি
আঁশওয়ালা মাছকে বড্ড ভয় পেতো আমার মা
নৌকা টাঙিয়ে লুকিয়ে থাকত বরাবর
খাঁড়াবটি ছিলো না মায়ের
যেদিন চৌকাঠ ডিঙিয়ে আস্ত একটা নদী ঢুকে এলো শোবার ঘরে
সেদিন মা আর টাল সামলাতে পারলো না বাধ্য হয়ে খুলে ফেলেছিল নিজের যাবতীয় পোশাক ।
(৩)
থমকে যাওয়া পথের দুটো পাশই ভরে গেছে আগাছাতে
ভাবছি একটা দিক আমি পুড়িয়ে দেব ।
উনুন বিছিয়ে দেবো প্রচুর ।
অন্যপাশে দেবো বারিশ
বৃষ্টির আদরে পিছল হবে রাস্তা
ছাই দেখে তামাম দুনিয়া যখন হিসেব কষবে,
রাজনীতি রণনীতি আর দুর্নীতি আঁকবে মেঝেতে
আমি তখন ইঁদুরের বিষ খুঁজছি আর ব্যাঙের জন্য কুয়ো খুঁড়তে খুঁড়তে পৌঁছে গেছি তোমার বাড়ির সদর দরজায় ।
আলপথ আটকে রাখতে পারেনি চৌকাঠ
ভীড় ঠেলতে ঠেলতে অবশেষে শোবার ঘর চোখ ক্রমশ বন্ধ হয়ে আসছে
হাই উঠছে
উথলে উঠছে নিঃশ্বাস
আমি বিছানার একপাশে ধর্মকে শুইয়ে রেখে
বিপরীতে তোমাকেই চুম্বন করে চলেছি আজন্মকাল ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন