ক বি তা
১)
হুইসেল বাজিয়ে বাজিয়ে পাখি ওড়া দেখি
পাখিটিও বাজায় ফ্রু ফ্রু
আমাকে দ্যাখে আপ্রাণ
নিঝুম বনজ গান যে কটা জমিয়েছি এতকাল
জঙ্গুলে শ্যাওলাধরা পাত্রে পাত্রে রেখেছিলাম
রেখেছিলাম মান্ধাতার আমলে
আঙুল দিয়ে ডাকি এখন
গানগুলো গড়িয়ে আসে রসের ধারায়
চলছে না-মেঘ না-রোদের খেলা
২)
অসমাপ্ত ডানা নিয়ে
যে পরী নামলো এই সন্ধ্যায়
সে কি করে খেলবে এখন
উড়ে উড়ে সেই সব খেলা পরীটির সাথে
আর কী হবে না এ জীবনে তার
চাঁদ ভেসে যদি না আসে আর
নদীর তীরে ভিজে বালির ওপর
আবছা যোনীর দাগ
আলতো দাগ নতুন স্তনের
মিছিমিছি সজিনার ফুল
আর তার বাসি গন্ধের মতো
খেলা পড়ে আছে সবুজ তটিনীর গায়ে
৩)
কোথা থেকে গন্ধ আসছে
শুনতে পাচ্ছি না
জল ঢেইয়ে আলো রঙের মেয়ে মাধবী যেন
ঈষৎ নত চোখে নিচু মেপে মেপে
টিপে টিপে চলন্ত সব এদিক ওদিক ছড়িয়ে
শিহরণের কালে মেয়েটির গায়ে কাঁটা ফুটে উঠেছে যেন
তা ব্যাতিত আর কিছু শোনা ও জানার বাইরে
তবু সে চোখ তোলে
ছিঁটকে আসে সন্ত্রাসী হাসি
নির্জন আমাকে শুইয়ে বুকে উঠে আসতে চাইলো ঠিক তখনি
নির্জনের গন্ধ আমাকে
মাধবীর ঘাঘরার গোপনে আমাকে
আমার নাকে চেপে ধরছে ঋতুর গন্ধ যেন
দিব্য।
উত্তরমুছুন