শুক্রবার, ১৫ মে, ২০২০

অনিন্দ্য পাল


হতভাগ্য 
=================

আমায় লিখতে দিল না 
মুখোশ, বেড়াতে দিল না শব্দের বনে 
অসহায় চিৎকার, ভাবতে দিল না গভীর পংক্তি 
অন্যায়ের গুটিপোকা ...

তবু আমাকে অন্তঃসত্ত্বা করে যায় প্রতি যামে 
শতাব্দী পেরিয়ে আসা জোনাকির আলো।
===============================


শিকার 

========
বনের আইন কানুন ভেঙে ভেসে গেছে 
যে কাঁকড়াশিকারি উদ্বাস্তু 
তার তো মৃত্যু হতোই
বনে বাঘের খাবার হয়ে যদি গুমখুন না হত 
তবে মরে যেত পেটের মধ্যে ওত পেতে থাকা 
খিদে জন্তুটার কামড়ে 
দশ -পাঁচ টাকায় জীবন বেচে দিয়ে তাই 
কিনতেই হয় আজন্ম পালন করা 
উদর হিংস্রতার সুখ, 
মৃত্যু দিয়ে আলু-ভাত মেখে মুহূর্ত কয়েক 
সেরে ওঠে জাতীয় অসুখ ...

ফেরার নৌকা ফিরে যায় শেষ ইচ্ছা চোখে নিয়ে 
বনের পাকশালে সুসিদ্ধ হতে থাকে রাজার শিকার 
কাঁকড়ার অভিসম্পাত মিশে যেতে থাকে 
নদীর বিশ্বজনীনতায় ...

এরপর আবারও নৌকো ছাড়ে 
আবারো বস্তা বোঝাই হয় নদীর ফসল 
শুধু নিরুদ্দিষ্টের ছেঁড়া কাপড় আটকে থেকে যায় 
লবনাম্বু ঝোপের কাঁটায়। 
==============================


এসক্যলেটর 
===========
আমরা কেউ কারো হাত ধরে নেই 
সবাই ধরে আছি একটাই রড 
তার আগুপিছু জানিনা, দেখিনি বংশপরিচয় 
শুধু উঠতে চাইছি মেঘ বাড়িটার ছাদে 
একে অন্যকে পিছিয়ে দিয়ে, সঙ্গী লোভ আর ভয় 

এভাবে পৌঁছে গেছি একে একে 
প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় থেকে আসমানী ছাদে 
নীচে যারা আছে আসছে তারাও প্রত্যেকে
এখানে বাড়ছে ভিড়, উষ্ণতা বাড়ছে বাতাসে 
ভেবেছিলাম এটাই শেষ ছাদ, এই অবকাশে 

থামেনি নির্মম সিঁড়ি, চলেছে অবিরাম অকারণ 
আমাদের সময় শেষ ,আরও উপরে তার স্টেশন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন