শুক্রবার, ১৫ মে, ২০২০

শাশ্বতী সান্যাল



কিছু নষ্ট মানুষের রোদ


অনেকটা পথ হেঁটে কজন মানুষ
তাদের নারীর কাছে ফিরতে চেয়েছিল
রেশন ভিক্ষার কাছে,
রুটি আর শরাবের কাছে,
ধুলোমাখা, প্রায় আদুল, কিছুটা অনুন্নত
কোনো এক স্বদেশের কাছে

ভোরের সূর্যের সঙ্গে ঘুম ভেঙে লাফিয়ে উঠেছে
তাদের কর্তিত মুণ্ড। ওই দেখ
ক্ষুধিত ও একা মানুষের রক্তে
পুবআকাশ লাল হয়ে এল...

দশাশ্বমেধের ঘোড়া,এই দেশ, সাময়িক গতিরুদ্ধ করে
দেখেছে একঝলক, সূর্যের গায়ে
কিছু নষ্ট মানুষের রোদ লেগে আছে...























যেকোনো মৃত্যুর পর

শ্মশানবন্ধুর গল্প প্রাসঙ্গিক নয় আর। সমস্ত শহরে
শোকের বরাদ্দে আছে কাচেঢাকা শববাহী গাড়ি
বাতাস লজ্জিত, ছদ্ম-সামাজিক, ভারী,
যেকোনো মৃত্যুর পর আমাদের দেশে
সে বড় নিঃশব্দে আসে, কুণ্ঠিত  গ্রামীণ স্বজন
যেভাবে বিকেলে আসে, গঙ্গা লেখা চিঠি হাতে নিয়ে

প্রেতযোনি পুরুষের মতো তুমি ইদানীং আমার ছবিতে
জোড়া শিং এঁকে রাখছ। মুদ্রাদোষে আমিও মাংসাশী
নিজেকেই ছিঁড়ে খাব, অন্ধকারে,
যেন অন্য লোক...

খই বাতাসার অপচয় আর প্রাসঙ্গিক নয়,
স্মৃতিগন্ধী এ সরক। ধূপ নিভে গেলে
শোকের বরাদ্দে থাকে শুধুমাত্র কুসুম-স্তবক...









২টি মন্তব্য: