আয়না
ক্যালেন্ডারে পাশাপাশি চৈত আর বোশেখ।
একপাশে সংকোচন ও অন্য পাশে ব্যপ্তি,
কোথাও চাবুক কোথাও পালক,
কোথাও বাণ তো কোথাও স্নান,
এভাবেই, ঠিক এভাবেই বোধ সূচিত হয়,
ডানা মেলে স্বচ্ছতা পাপ পূন্যের।
বৈশাখি সূর্যের মত এক মাথা সিঁদুরের চেয়ে এক মাথা স্নিগ্ধ চাঁদের কলঙ্ক ঢেঁড় ভালো।
আমার আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রাখা চাঁদ,
আমার আলোয় আলোয় ভরিয়ে রাখা চাঁদ।
অধিকার
নিজের বলেতো কিছু রাখিনি!
সবটুকু গচ্ছিত সে বাম বুকপকেটে।
তবে? কিসের অন্বেষণ!
কেনই বা টান ধরে প্রত্যয়ে!
কেনই বা হারায় চোখ প্রতি পলে!
খুঁজতে থাকা হাত খুঁজছে অবিরাম
নিবিড় থেকে আরো নিবিড়ে...
এমন হয়নি তো কখনো আগে!
কেউ কখনো এঁকে দেয়নি আগে লক্ষণ রেখা
নিজস্ব জলরঙ দিয়ে,
গড়েনি যৌথ খামার পরম যত্নে।
অতঃপর!...
ক্রমশ গুটিয়ে যাচ্ছে কেউ, আদরে আলহাদে।
কী নাম যেনো এর! কী নামে ডাকা যায় তারে, বাঁধন?
যদি ডাক নাম দিই শাসন, আর ভালোনাম ভালোবাসা!
আলো
ছুঁয়ে থাকতে থাকতে কখন যে মিশে গেছি অনায়াসে, নিজেই বুঝিনি।
এই যে এতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ, এতো পরীক্ষা সরকারি !
সব কাটিয়ে উঠি নির্বিঘ্নে, ভুলে যাই যত ব্যথা খোলস জনিত।
বরং ওদের সাথে মধু মিশিয়ে জাবর কাটি অমৃতের মত।
যতবার দূরে যাই আরো বেশি করে কাছে আসি,
আরো বেশি বেশি মায়া ঘর,
আরো বেশি বেশি মুখ খোঁজে প্রিয় বুক।
তুমিই তো শিখিয়েছো সেদিন,
যখন ভেদ করে যায় বামদিক!
তখন সবটুকু আলো হয়ে যায়।
চিত্র- ঈষা চৌধুরী
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন