ঝুম্পা তোদের দুর্গাপুজোয়
ঝুম্পা তোদের বাড়ির দেওয়াল
নক্সীপুকুর গাছ
সেখানে সবুজ ঘাসবনে চরে
হারানো সকাল স্বপ্ন
হাসিরা কখন ছেড়ে চলে গেল
ফের ফিরে এল শরতে
ঝুম্পা তোদের গোলবারান্দা
জুড়ে শোয় রোদ্দুর
ঝাঁকে ঝাঁকে আসে কিচিরমিচির
সোনালি ধানের সুখ
শারদ সকাল দুপুর সন্ধ্যে
ধুনুচি নাচের ধূম
ঝুম্পা এবার খুঁজে নিস তুই
ভীড়ের মধ্যে মুখ
তোদের দুর্গা দালানে এবার
শতভীষা ঝিকমিক।।
*****
খর্ব বৃত্ত অধুরা গল্প
স্বর্ণলতা লাগিয়েছিলেম রূপোলী টবে
ব্যালকনিতে ঝুলতো লতার কথকতা
সরু চোখের প্রতিবেশী গলতো রাগে
আমার ছাতি তখন বেড়ে পঁয়তাল্লিশ।
স্বর্ণলতা স্বর্ণখনির ব্যাকুল আবেগ
ধিন কেটে ধিন তা কেটে তাক রঙ উচ্ছ্বাস
গোলাপী ঠোঁট গভীর চোখে ধ্বংস আবেশ
অলিন্দ আর নিলয় জুড়ে রাগ মালকোষ।
শুদ্ধস্বর সকাল হলেই সুরেলা আজান
মাঝ কার্তিক মাঠকর্মী হিম ছড়িয়ে
বরফ ছোঁয়া রাত ফুরোলেই চমকে দেখি
গল্প শেষের আগেই উধাও স্বর্ণলতা।
*****
একনায়কের ঝুন্ড
জেগে থাকা আর ঘুমোনোর গল্প শুনলেই
আমার হিটলারের সূক্ষ্ম বুদ্ধির কথা মনে পড়ে যায়,
কি অনায়াসেই না কমেডিয়ান মার্কা ভদ্রলোক
কয়েকটা দেশের সব জেগে থাকা মানুষদের
ঝেড়ে পুছে সাফ করে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছিলেন!
অবশ্য হিটলার এটা শিখেছিলেন
মহামহোপাধ্যায় বীর নেপোলিয়নের কাছে,
নেপোলিয়ন আবার ক্রেয়নের কাছে
আর এভাবেই দেশ কালের কাঁটাতার আর
নোম্যানসল্যান্ডের উঁচানো
তরোয়াল কিম্বা কালাসনিকভের ভয়াল
সবুজ চোখ টপকে
চলতি সব পার্লামেন্টেরিয়ান
আইন কে কাচকলা দেখিয়ে উত্তরাধিকার
সূত্রে ঢুকে পড়ে রাজকীয় আগুনখেকো দর্শন।
মাঝেমধ্যে দু একটা পাগল বিড়বিড় করে
কথকিঞ্চিৎ বিড়ম্বনায়
সুইমিংপুলের মউ মউ মৌতাতে
মজে থাকা জল ঘুলিয়ে ফেললে
নিরো জেগে ওঠে ঝুরঝুরে পুরনো কবরের
তলা থেকে হাতের গুপ্তি থুক্কু বীণা নিয়ে
হতভাগা পাগলগুলোর আইডেন্টিফিকেশন প্যারেড হয় -
নাম্বার ওয়ান, ব্রুনো,
টু লোরকা,
থ্রি মোলায়েজ
ডট ডট ডট...
একচোখোমি মাতাল হয়ে গেলে
বড্ড অসহ্য লাগে, আরেবাবা
শুধু অ্যানিমিয়া কেসের মত রক্তকণা কাউন্ট
করে গেলি! এমন ঝক্কাস ক্ল্যাসিক দর্শনের
কদর করতেই শিখলি না!
তেজালো কবিদের বাপের ভাগ্য এখনো
সকাল হলেই চা, খবরের কাগজ
আর ধারালো পেন পেয়ে যাচ্ছেন;
ঘুম পাড়ানোর লিস্ট কখন যে জেগে ওঠে,
কে জানে!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন