রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১

বনবীথি পাত্র

                         


#স্বপ্ন_বিভ্রাট
#বনবীথি_পাত্র

মহাষ্টমীর সন্ধিপুজো শেষ হওয়ার অল্পক্ষণের মধ্যেই প্যাণ্ডেল প্রায় ফাঁকা। ঢাকী দুজন প্যাণ্ডেলের একপাশে বসে ঢাকে হেলান দিয়ে নিজেদের মধ্যে গল্পে মশগুল। আর কাঁসর বাজায় যে বাচ্চা ছেলেটা, সে  প্যাণ্ডেলের মধ্যে মাটিতে পড়ে থাকা ক্যাপ বন্দুকের না ফাটা ক্যাপগুলো ধুলো ঝেড়ে তুলে এনে দালানে জমা করছে। তারপর দালানের ওপর রেখে একটা ইঁটের টুকরো দিয়ে ঠুঁকে ঠুঁকে ফাটাচ্ছে। আহা রে, বেচারার যদি একটা ক্যাপ বন্দুক থাকত কত খুশি হত। মানুষ ভাবে ঠাকুর দেবতারা বুঝি যা মন চায় তাই করতে পারে। এখন তো মা দুর্গার ওই বাচ্চাটাকে একটা বন্দুক দিতে ইচ্ছা করছে। কিন্তু ইচ্ছা করলেও কিছু করার নেই তাঁর। গতবছর সেই বুড়ি ভিখারীটাকে মণ্ডা খাওয়াতে গিয়ে যথেষ্ট শিক্ষা হয়েছিল। বুড়ি ভিখারীটাই শুধু শুধু সবার কাছে চোর বদনাম পেয়েছিল। মা দুর্গা ক্লাবের সেক্রেটারিকে রাতে স্বপ্নে দেখা দিয়ে বলতে গিয়েছিলেন যে ওই ভিখারী বুড়ি নির্দোষ। কিন্তু এখনকার মানুষগুলো সব যেন কেমন ধরনের, পুজো টুজো করলেও ভগবানে তেমন কোন বিশ্বাস ভরসা কিছুই নেই। সেক্রেটারি তো স্বপ্নে মায়ের দেখা পেয়েও সেটাকে শুধু একটা স্বপ্ন বলেই দিব্যি এড়িয়ে গেল। ভোলানাথ বোধহয় ঠিকই বলে, মূর্তি এনে দেবীর আরাধনা এখন শুধুই মানুষের আনন্দের একটা উপলক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। মনের ভক্তি বলে মানুষের মধ্যে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।
ভোলানাথের কথা মনে পড়তেই মা দুর্গার মনে পড়ে, সন্ধিপুজোর আরতির সময় তাঁর মোবাইলটা বাজছিল। ভাগ্যিস তখন ঢাক কাঁসর বাজছিল তাই কেউ শুনতে পায়নি। কেউ শুনতে পেলে ঠিক একটা হুলুস্থুল কাণ্ড বেঁধে যেত। পুজো শেষ হতে হতে ফোন আসার কথাটা ভুলেই গিয়েছিলেন মা দুর্গা। এখন মনে পড়তেই চারপাশটা খুব ভালো করে জরিপ করে নেন। এই বছর বেলা থাকতে থাকতে সন্ধিপুজো হয়ে গেছে বলে প্যাণ্ডেল এখন একেবারে ফাঁকা। ক্লাবের ছেলেছোকরার দলও বোধহয় বাড়ি গিয়ে খেয়ে দেয়ে একটু বিশ্রাম নিচ্ছে। ঢাকী দুজনও বাচ্চা ছেলেটাকে নিয়ে কোথাও বোধহয় খেতে গেছে। গণেশ আর কাতু গেছে মুভি দেখতে। সেই ষষ্ঠীর দিন মর্ত্যে এসে থেকে মুভিটা দেখতে যাওয়ার জন্য ছটপট করছিল ওরা। আজকে সন্ধিপুজো শেষ হতেই দুজনে আর অপেক্ষা করেনি, সোজা মাল্টিপ্লেক্সে রওনা দিয়েছে। অষ্টমীর সন্ধেতে প্যাণ্ডেলে মানুষের ঢল সবথেকে বেশি হয়। ওদের তো বারবার করে বলে দিয়েছে তার আগে ফিরে আসতে। কখন যে তারা ফিরবে কে জানে! মানুষ এখন যা সব উন্নত মানের যন্ত্রপাতি আবিষ্কার করছে, হয়ত দেখা যাবে মোবাইলে ফটো তুলতে গিয়ে কোনো বিশেষ ধরনের সেন্সরে ধরে ফেলল, কার্ত্তিক গণেশের মূর্তিটাই শুধু পড়ে আছে। মূর্তির মধ্যে থেকে দেবতা পুরো হাওয়া। উফ্ এমনটা যদি সত্যি সত্যিই হয় ভাবতেও ভয়ে বুকটা কেঁপে ওঠে মা দুর্গার। পৃথিবীর যত মিডিয়ার লোকজন এসে তখন ভিড় করবে এই প্যাণ্ডেলে। আজকাল মা দুর্গার এমনিতেই সবসময় কেমন একটা ভয় ভয় করে। মানুষের প্রতি তাঁর বিশ্বাসটা আর আগের মত নেই। দিনকটা কোন রকমে কাটিয়ে স্বর্গে ফিরে যেতে পারলে বাঁচেন।
লক্ষ্মী সরস্বতীও হয়েছে তেমনি। ভাইরা মুভি দেখতে গেছে বলে কী তোদেরও কোথাও ঘুরতে যেতে হবে! মেয়েরা নাকি মায়ের দুঃখ কষ্ট বোঝে। লক্ষ্মী সরস্বতী আদৌ কি মায়ের কষ্ট বোঝে! একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলেন মা দুর্গা। মেয়ে দুটোও দিন দিন কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে। ওদের বাবা ঠিকই বলে, ছেলেমেয়েগুলোর গায়ে মর্ত্যের হাওয়া লেগেছে।
কথায় কথায় আরতির সময়ে মোবাইলে কার ফোন এসেছিল সেটা দেখতেই ভুলে যান মা দুর্গা। আজ সারাদিনে ভোলানাথের সঙ্গে একবারও কথা বলা হয়নি। এরপর বেলা পড়তে না পড়তেই তো আবার লোকজন আসতে শুরু করবে। তখন সেই মাঝরাতের আগে আর কথা বলার সুযোগটাই পাবেন না! এই ভেবে শাড়ির আঁচলের ফাঁকে যত্ন করে লুকিয়ে রাখা মোবাইলটা টুক করে বের করেন। ও বাবা তখন তো ভোলানাথই ফোন করেছিল। আশ্চর্য লোক তো ওই ভোলানাথ! সন্ধিপুজোর সময়টা তো তাঁর অজানা ছিল না। ওই সময়টাতেই কেউ ফোন করে! মেজাজটা খিঁচড়ে যায় মা দুর্গার। কোথায় ভাবছিল ছেলেমেয়েদের একটু শাসন করার কথা বলবেন ভোলানাথকে, তা নয় ওপারে হ্যালো বলতেই ঝাঁঝিয়ে উঠলেন উনি।

-বলি আপনার কি কোনদিন কাণ্ডজ্ঞান হবে না! সন্ধিপুজোর আরতির সময় কেউ ফোন করে?

ওদিক থেকে গাঁকগাঁক গলায় ভোলানাথ উত্তর দেয়,

-নিজের বাঘছাল খুঁজে না পেলে অত শত আরতি অঞ্জলির সময় মনে থাকে না।

ভোলানাথের কথা শুনে তো আকাশ থেকে পড়েন মা দুর্গা। নিজের অজান্তেই তাঁর তিন নম্বর বাঁহাত নিজের মাথায় উঠে আসে। ভোলানাথের কোন তালজ্ঞান থাকে না বলেই আসার আগে ভোলানাথের সমস্ত জিনিসপত্র গুছিয়ে নন্দীকে সব দেখিয়ে বুঝিয়ে দিয়ে এসেছিলেন। অথচ এর মধ্যেই বাঘছাল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না! অথচ তিন তিনখানা বাঘছাল গুছিয়ে রেখে এসেছিলেন তিনি।

রাগী রাগী গলাতে তিনি বলেন,

-নন্দীকে তো সব দেখিয়ে দিয়ে .....

মা দুর্গা কথা শেষ করার আগেই রীতিমত চিৎকার করে ওঠেন ভোলানাথ।

-তোমার নন্দী গাঁজা খেয়ে তিনদিন ধরে চিৎপাত হয়ে পড়ে আছে পাহাড়চূড়ায়।

একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলেন মা দুর্গা।

-যেমন ভোলানাথ, তেমন হয়েছে তার দুই চ্যালা নন্দী আর ভৃঙ্গী!

ওপারে ভোলানাথের গলাটা এবার একটু নরম শোনায়।

-তুমি কবে ফিরছ বলো দেখি!

মা দুর্গা বলেন,

-আজ তো সবে অষ্টমী।

-উফ্ এখনও দুটো দিন!

ভোলানাথের করুণ গলাটা শুনে কষ্ট হয় মা দুর্গার। তাঁকে ছাড়া উনি যে সম্পূর্ণ অচল।

মা দুর্গাও এবার নরম সুরে জানতে চান,

-বাঘছাল তো খুঁজে পাননি। তাহলে আপনি কী পরিধান করেছেন প্রভু!

-কী আর পরব, কৌপিন পরে তো আর থাকতে পারি না! তোমার একটা শাড়ি পরেছি বুঝলে?

দেবাদিদেব শেষে কি না শাড়ি পরেছেন! কথাটা ভাবতেই কেমন যেন থতমত খেয়ে মা দুর্গার হাত থেকে মোবাইলটাই পড়ে যায়। আর ঠিক তখনই একদল ছেলেমেয়ে হৈ হৈ করতে করতে প্যাণ্ডেলে ঢোকে ঠাকুর দেখতে। মোবাইল খোঁজা বন্ধ করে তাড়াতাড়ি ঠিকমত পোজ দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন মা দুর্গা। ছেলেমেয়েগুলো ঠাকুর দেখে বেরিয়ে যেতেই তিনি মোবাইলটা খুঁজতে লাগলেন। সামনে তো একরাশ পুজোর উপাচার। সব সামলিয়ে খুঁজতে হচ্ছে। সামনের ওই ঘটেই তাঁদের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা আছে। এখন তিনি নিজেই যদি ওই ঘট নাড়িয়ে ফেলেন তো যা তা অনর্থ হয়ে যাবে।

বিকাল হওয়ার আগে থেকেই মানুষের আনাগোনা শুরু হয়ে গেল। লক্ষ্মী সরস্বতী সময়ে ফিরলেও কার্ত্তিক গণেশের ফিরতে সন্ধে পুহিয়ে গেল। প্যাণ্ডেলের সামনে তখন বিশাল লাইন। ক্লাবের স্বেচ্ছাসেবকরা ভিড় সামলাতে রীতিমত নাজেহাল হচ্ছে। এত লোকের সামনে মোবাইল খোঁজার কোন প্রশ্নই ওঠে না। কার্ত্তিককে একবার তার মোবাইলটা থেকে নিজের মোবাইলটায় রিং করার কথা বলার অবসরটুকুও পেলেন না মা দুর্গা। অন্যান্য বছরের থেকে এবারে মানুষের ভিড় যেন অনেক বেশি। মানুষের ভিড় কমতে কমতে মাঝরাতও পেরিয়ে গেল। অতক্ষণ একটানা দাঁড়িয়ে থেকে ছেলেমেয়েরা সব ক্লান্ত, তখন কী আর মোবাইল খোঁজার কথা বলা যায়!
সারাদিনের ক্লান্তিতে মা দুর্গাও ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। কতক্ষণ ঘুমিয়েছিলেন কে জানে! স্বপ্নে তিনি ভোলা মহেশ্বরকে দেখছিলেন। হঠাৎ ঢাক কাঁসরের আওয়াজে ধড়ফড় করে কাঁচা ঘুমটাই ভেঙে যায় দুর্গার। আজ তো অনেক সকাল সকাল পুজোর আয়োজন শুরু হয়ে গেছে! কাল কত রাতে ঘুমিয়েছে বাছারা। তবু ছেলেমেয়েদের ডেকে ঘুম থেকে তোলেন। মনটা ভালো নেই মা দুর্গার। স্বপ্নেও তিনি মহেশ্বরকে দেখলেন তাঁর একখানা শাড়ি পরে আছেন।
মুখভার করে দাঁড়িয়েছিলেন মা দুর্গা। পুজোর জোগাড় আর ঠাকুরমশাইয়ের কথা শুনে এতক্ষণে মনে পড়ে, আজকে তো নবমী-দশমী দুটো পুজো একদিনে। সেই জন্য কাল সন্ধেতে এত মানুষের ভিড় হয়েছিল প্যাণ্ডেলে। অন্যবার দশমীর দিন মনখারাপ হয়ে যায় মা দুর্গার। এবার মর্ত্যে একদিন কম থাকা হবে কথাটা ভেবেও মনখারাপের মধ্যে যেন একটা স্বস্তি অনুভব করছেন তিনি। ভোলানাথকে ওই শাড়ি পরা রূপে তিনি ভাবতেও পাচ্ছেন না। তাড়াতাড়ি ফিরে গিয়ে তাঁকে তাঁর বাঘছাল খুঁজে দিতে পারলেই এখন মায়ের শান্তি।
এরই মাঝে সবাই যখন নবমী পুজোয় ব্যস্ত,  গণেশকে মোবাইল হারানোর কথাটা বলেন মা দুর্গা। ইঁদুর এইসব ব্যাপারে একেবারে ওস্তাদ। সবার চোখের সামনেই দিব্যি মোবাইলটা খুঁজে নিয়ে এল, কেউ তাকে খেয়ালও করল না। নবমী পুজো শেষে দশমী তিথি এমনিতেই অনেকটা বেলায় ছিল। দশমী পুজো শেষ হয়ে ঠাকুরমশাই ঘট নাড়িয়ে দর্পণে বিসর্জন করে দিতেই আর একটু সময়ও নষ্ট করেন না মা দুর্গা। এবার নৌকায় গমন। ছেলেপুলে বাহন সবাইকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। ময়ূরপঙ্খী নৌকা ভাসিয়ে দেন নদীতে। কিন্তু আজকালকার দিনের ছেলেমেয়েগুলোর কী যে কেনাকাটার এত বাতিক মা হয়েও তিনি  বুঝতেও পারেন না। নদীর ধারে একটা মার্কেট দেখে এমন বায়না করে যে নৌকা পাড়ে ভেরাতেই হয়। বাহনদের রেখে সবাই হৈ হৈ করে নেমে যায় নৌকা থেকে। মা দুর্গা একবার ভাবলেন ছেলেমেয়েদের একটা বাঘছাল কিনে আনার কথা বলবেন। কিন্তু বলতে গিয়েও কথাটা আর বলে উঠতে পারেন না। নৌকাতেই আনমনে বসে থাকেন মা দুর্গা। বাপের বাড়ি থেকে ফিরে যাচ্ছেন, যতই হোক তাঁর মনটা একটু তো খারাপ। নদীর ধারের কাশফুলের শোভা দেখে মনটা কেমন যেন দুঃখ দুঃখ করছে তাঁর। সবাই বলে স্বর্গ সুন্দর। এত বছর তো কৈলাশে রয়েছেন, তাঁকে কিন্তু মর্ত্যের সৌন্দর্যই এখনও অনেক বেশি আকর্ষণ করে। আবার এক বছর পর তবে মর্ত্যে আসতে পাবেন। একটা বছর তো আর কম সময় নয়!
হঠাৎ তাঁর মোবাইলটা বেজে ওঠে। মহেশ্বরের ফোন।

একদিন আগে তাঁরা মর্ত্য থেকে ফিরে যাচ্ছেন বলে মহেশ্বরের দারুণ আনন্দ। খুশি খুশি গলায় বলেন,

-মর্ত্য থেকে আমার জন্য কী আনছ গিন্নি?

মা দুর্গাও হেসে বলেন,

-বাঘছাল।

ওমা ভোলানাথ খুশি হবে কোথায়, তা নয় রেগেমেগে বলেন,

-অতগুলো বাঘছাল আছে আবার বাঘছাল নিয়ে আমি কী করব? অকারণ টাকাপয়সা নষ্ট করে কী যে সুখ পাও!

-কাল তো আপনিই বললেন, বাঘছাল না পেয়ে আপনি আমার একখানা শাড়ি পরেছেন!

অভিমানী স্বর মা দুর্গার।

-মর্ত্যে গিয়ে তোমার মাথাটা পুরোপুরি খারাপ হয়ে গেছে মনে হচ্ছে। আমি কখন তোমায় ও কথা বললাম। ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখছ নাকি!

রেগেমেগে ফোন রেখে দেন মহাদেব।

-ও ঠাকুরমশাই, মা দুর্গার কি ঠিকমত প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়নি নাকি! মা তো ঘুমে ঢুলে পড়ছে মনে হচ্ছে।

শেষ কথাটা তো মহেশ্বের বললেন বলে মনে হল না। তবে কে বলল কথাটা? মা দুর্গা চোখ খুলে পিটপিট করে তাকাতেই কয়েক ফোঁটা গঙ্গাজল এসে পড়ল চোখের মধ্যে। দু চোখ বড় বড় করে তাকালেন মা দুর্গা। ওমা কোথায় নদী, কোথায় নৌকা! এখন তো সকালবেলা। পুজো শুরু হয়ে গেছে। এতক্ষণে আসল ঘটনাটা বুঝতে পারলেন মা দুর্গা। ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে পুরোটাই স্বপ্ন দেখছিলেন তাহলে! ঘাড় ঘুরিয়ে মূর্তির পিছনে মহাদেবের ছবিটা দেখে হেসে ফেলেন দুর্গা। কাল সরস্বতী বলেছিল,

-বাবার ছবিটা দেখো মা। বাঘছালটা কেমন পুরনো হয়ে গেছে। এবার কৈলাশে ফেরার আগে বাবার জন্য একটু নতুন বাঘছাল কিনে নিয়ে যাব।

এতক্ষণের স্বপ্ন কাহিনী মনে করে নিজের মনেই হাসতে থাকেন মা দুর্গা।

-ও মা দেখো দেখো দুর্গা মা কেমন হাসছে।

একটা বাচ্চা মেয়ে তার মাকে ডেকে কথাটা বলছে শুনতে পেয়েই নিজের হাসি সংবরণ করে নেন দুর্গা। তবে মনে মনে ভালো লাগে, নিষ্ঠুর পৃথিবীটাতে শিশুদের মধ্যে এখনও সরলতা টিকে আছে। তাই তো কত সহজে বাচ্চা মেয়েটা দেবদর্শন করতে পারল।

#সমাপ্ত 


চিত্রঋণ- সংঘমিত্রা মান্না





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন