রবিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১

পিয়াংকী

                        




গতকাল যাহা গোলারুটি আজ তাহাই প্যানকেক 


একটা আলসে দুপুর, ঝিমঝিমিয়ে বৃষ্টি হচ্ছে। পাঁচিলের গায়ে শ্যাওলা। একটা ছোট্ট শালিক কাকভেজা হয়ে বসে আছে পাতার আড়ালে...এসব দেখতে দেখতে কখন যে  লাঞ্চটাইম চলে এল টেরই পাইনি।কি করি কি করি ভাবতে ভাবতে রান্নাঘরে বিড়ালের মত ঘুরঘুর করছি,আচমকা চোখ পড়ল কৌটোঘরের তৃতীয় তাকে।এখানে আটা ময়দা ব্যাসন ওটস চালগুঁড়ো এসব রাখা থাকে। দেখা মাত্রই মাথায় কিলবিল করে উঠল খাদ্যপোকারা।

     


একটা বড় ডিপ বাটি নিলাম।সেখানে চারচামচ করে ব্যাসন ওটসগুঁড়ো আর আটা, দু'চামচ করে ময়দা কর্ণফ্লাওয়ার এক পিঞ্চ বেকিং সোডা স্বাদমতো নুন দু'চামচ চিনিগুঁড়ো নিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিলাম, এরপর  একটা ডিম একটা কলা অল্প দুধ দিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে মাঝারি ঘনত্বের ব্যাটার তৈরি করে নিয়ে একটা ননস্টিক প্যানে দু'ফোঁটা অলিভ অয়েল ব্রাশ করে তৈরি করে রাখা মিশ্রণ কিছুটা ঢেলে গোল করে ঘুরিয়ে নিয়ে একটা ঢাকনা দিয়ে পাঁচ মিনিট গ্যাসের আঁচ কমিয়ে রাখলাম।এরপর ঢাকা খুলে অপর দিক উল্টে দিয়ে আবার দু'মিনিট।  


মা খুব ভালো গোলারুটি করত। ঝাল হোক বা মিষ্টি মায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল মা নিজেই।আজ যাকে আমরা প্যানকেক বলি বহুবছর ধরেই বাংলার রান্নাঘরে সে ই ছিল গোলারুটি। 


এর সাথে সাইড ডিশ হিসেবে খেলাম  খাকড়ি গুড়।এখন আপনারা বলবেন এটা কি বস্তু? এর খায় নাকি মাথায় দেয়?আমি বলব এটা দারুণ লোভনীয় পদ।যারা বাড়িতে ঘি তৈরি করেন তারা জানবেবই ঘি ছেঁকে নেবার পর ছিবড়ে অংশটা পড়ে থাকে, অনেকেই গরম ভাতে বা মুড়ি দিয়ে ওটা খান,আমি খাকড়িটার সাথে একটু গুড় মিশিয়ে একটা প্যানে একদম লো স্টিমে ক্রমশ নেড়ে তৈরি করেছি খাকড়িগুড়।


গোলারুটি বলুন বা প্যানকেন, খাকড়ির সাথে জমে গেল বৃষ্টিধোঁয়া একাকী লাঞ্চ।.

            


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন