ভ্রমণ
খুলে রেখেছো জুতোর শৃঙ্গার,
বালির শরীরে গেঁথে দিচ্ছ লোমকূপহীনতা।
যে সমুদ্র বুকে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছে আশ্চর্যে মোড়া
নোনতা ., তার নিপুণতা থেকে অভিনয়
শিখছ তুমি। মৃত ঝিনুকের খোল থেকে
মুখ গুঁজে থাকা কুড়িয়ে রাখছি আমি, জমাচ্ছি
শাঁখের সমুদ্র ছেড়ে আসার কান্না। এরপর
বালিয়াড়ি থেকে দরদাম করে নুলিয়ার হাসি
ঘরে নিয়ে যাব আমরা – ওদের শিল্পী আঙুল আর
অভাবী ঠোঁট আমাদের বৈঠকখানার সাক্ষী দেবে
চিরকাল। বাৎসরিক সুখভ্রমণের সমুদ্র ছাড়া
আমাদের আঙুলশূন্য পাশাপাশি জুতো রাখাটুকু
আর কেউ জানতেই পারবে না
বেহালার গান
বেহালার কাঠটিও একদিন অরণ্য নামে আদর পেয়েছে।
পেয়েছে কাব্যে ভরা মধুসূদনরস !
বিচ্ছেদের যত সহ্যশক্তি, পিষে দেওয়া বসন্তের চাকা
শরীরে নিয়েছে গুঁড়ির বৃত্ত; ততটাই বল্কলের যোগবিয়োগ ক্ষত,
কোকিলের বাসার ভঙ্গুর !
কান পেতে শোনো জোনাকির কান্না থেমে গেলে
বেহালার কাঠ এখনো কণ্ঠ ছেড়ে গায় সমীকরণের গান –
কাঠ ফেটে ছড়িয়ে পড়ে মধুঝরা সুপ্রাচীন লালন গোঁসাই !
মশা
আমাকে কি তুমি ছুঁতে পেরেছ
আচমকা মশার মতো?
এক্ষেত্রে মশাকেই আমি ফার্স্ট প্রাইজ দেব,
আর তারপর
আমার রক্তে ঘনিষ্ঠতার সুগার লেভেল বেড়ে যাবে,
মশার চুম্বন থেকে জন্ম নেবে আদুরে পরজীবীর দল
ধীরে ধীরে মৃত্যুর পথে হাঁটব আমরা –
হাত ধরাধরি করে,
চুপচাপ।
আমার এই সুখের মহাপ্রস্থান তোমার চকচকে গালে
একটা পেল্লাই থাপ্পড় ছুঁড়ে মারবে,
মারবেই!
আমাকে কি তুমি একটুও ছুঁতে পেরেছ
অন্তত একটা ফালতু মশার মতোও?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন