রবিবার, ১৩ জুন, ২০২১

ধৃতিরূপা দাস

                                              


এই সংখ্যার কবি ধৃতিরূপা দাস ৷ জন্ম উনিশ শ চুরানব্বই সালের এগারো জানুয়ারি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাঠ শেষ করেছেন। দু'হাজার তেরো সাল থেকে নিয়মিত লেখালেখি শুরু বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনে। এখনও পর্যন্ত কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়নি।
বনগাঁ, উত্তর চব্বিশ  থাকেন
ধান ও দুঃখেরা

বৃষ্টি কিছুতেই পড়লো না বলে
স্মৃতিতে ব্যাং হই স্মৃতিতে গ্রাম
দুঃখে দুঃখে মহাকর্ষ
কমলো আমাদের।কমেছে ধান?
মণীন গুপ্ত'র অনিলে ভেসে আছে
তোমার টুকরো, তোমার বৃন্ত
তোমার পশু-ডাক, কী ভীতু চলে যাওয়া
অমোঘ আলোতে! মায়াতে টলছি
কবির মাথাটুকু,কবির ঢালু নিয়ে 
ছবির চাষা দেখি ছবির চাষানী
দুধে কাপড় নেই, দুপুর মাখলো
দুহাতে পোষা হাঁস রাঁধতে রাঁধতে
চাষী ও মাংসের মধ্যমণি হয়ে
মধ্য-পুকুরের জল নাড়ি
পূর্বজন্ম... পূর্বজন্মের
কাঁকড়া ভাঙলে দুধ ঝরে
হতাশ করেছো হতাশ করছো
হতাশ হচ্ছি কেননা জল কম
কেননা আমাদের লাঙ্গলে জ্যান্ত
কাদার ওম নেই ক্ষ্যাপা মোরগ নেই
পা ডেবে গেছিলো না থাকা জমিতে
ক্যানালে ,শরীরে। এখন তার মেঘ 
ফড়িং ধরছি যদিও ছেড়ে দেব 
মাঝে কিছুক্ষণ পলিতে ভুগছি
এ মায়া কৃষকের। কৃষক নেমে এলে
স্লোগান মুছে যায় রাস্তা মুছে যায়
যখন মুছে যায় -- অঘ্রাণ কুয়াশা...
অঙ্গ পুড়ে যায় ধানের ধুলোতে
রাস্তা মুছে গেলে স্লোগান মুছে গেলে
এ মাছে হাত রাখি ও মাছে হাতে রাখি
রেঁধে ও বেড়ে খাই রেশন, অন্ন
মায়া ও ইহলোক ধানের জন্য
হে মাছ কথা বলো! হে রং তোমাকে
ভীষণ মানিয়েছে যতটা রাগ হয়
যতটা মুগ্ধতা এ মাসে জমলো
জমলে আলোতে আহা খিদের তাপ!
১০
নেশাটা ফুরোলে নেশাটা ফুরোলেই 
ছায়াটা কাঁপছে পাতাটা কাঁপছে
ছেলেটা ফল ছিঁড়ে লাঙলে মাখলো
রাজাকে ভাগ দিই সে জড় ব্রহ্মের
১১
রাজাকে ভাগ দিয়ে এ শীতে গুড় আনি
সে গুড়ে রং আনি, রঙের সূত্রে
প্রাণীটি নড়লো, রাজাকে ভাগ দিয়ে 
প্রাণী-সম্পর্কের আলোটা নড়লো
১২
যে মথে ফেঁসেছি--এটুকু ভিটেতে
প্রেমিকা হাঁটছে পিঁপড়ে হাঁটছে
কবির পোড়া ঘাস পোড়াতে পোড়াতে
পরিত্যক্ত,এখানে আনলো
১৩
গ্রামের অভাবে যে পাশ ফিরে শুই
যে পাশে ধান বেশি, নিরপরাধ শিলা
যেটুকু স্রোতাঘাত,বিষ্ণু-চিহ্ন 
লুকোতে পারে নি,দুঃখ ভোগ করি
















৭টি মন্তব্য: